অণুগল্পের আড্ডা -২৯
উপচিকীর্ষা
ভবানীশংকর চক্রবর্তী
ডিউটি সেরে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল শ্রুতি। বটতলার কাছে এসে স্কুটির আলোয় দেখতে পেল একটা লোক রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে। কাছাকাছি এসে চিনতে পারল।বিশু মাস্টার। বিশ্বেশ্বর বটব্যাল।কাছাকাছি একটা স্কুলে জুলজির টিচার।ব্যাচেলর।একটু খ্যাপাটে।পাড়ার লোকের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে।নাওয়া খাওয়া ভুলে যায়। মাস্টারি পাওয়ার আগে বাড়িতে টিউশনি পড়াত। শ্রুতিও পড়েছে বিশু মাস্টারের পাঠশালায়।
স্কুটি থেকে নামল শ্রুতি।দেখল জ্ঞান আছে। ধরে বসাল।
- গাড়িতে বসতে পারবেন?
ঘাড় নেড়ে হ্যাঁ বলল বিশু মাস্টার। শ্রুতি স্কুটি ঘোরাল।
-আমাকে ভালো করে ধরে বসুন। স্কুটি ছুটল চন্দন পুকুর হাসপাতালের পথে। যেতে যেতে জানল, কয়েকটা অল্প বয়েসি ছেলে বটতলায় বসে মদ খাচ্ছিল।বিশু মাস্টার তাদের নিষেধ করেছিল।তাইতেই এমন কান্ড করেছে তারা। শ্রুতি নার্স। রোগীর সেবা তার কাজ। কিন্তু বিশু মাস্টারের রক্তাক্ত গায়ের গন্ধে এই প্রথম বুঝতে পারল একটা পবিত্রতা ও ভালো লাগা তার সমস্ত দেহ মনে ছড়িয়ে পড়ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন