যুদ্ধ বিরোধী কবিতা -১১
অশোক রায়
১.
এত কষ্ট কেন বিধাতা
তোমার চোখে জল কেন সোনা?
জানো না আজ আমি মাতৃহারা
আমাদের ঘর বোম মেরে ভেঙেছে
বাংকারে কেটেছে থরথর রাত
হাউই রকেট বোমারুর হুঙ্কার
বাবা গেছে দেশ বাঁচানোর যুদ্ধে
শেষ রাত্তিরে একটা গ্রেনেড
ছোবল মেরে আমার মা কে তুলে নিল
মা -হারা চির দুঃখী উদভ্রান্ত আমি
নিজেকে বাঁচাতে ছুটি বর্ডার -পানে
হাতিয়ার যদি পেতাম
দেখিয়ে দিতাম যুদ্ধ কাকে বলে
ছুটতে ছুটতে আমার আকাশ
নীল থেকে কমলা থেকে সাদা
মা বাবা আর যে পারিনা তোমরা গেলে কোথায়
আমার দু চোখে কেন ঘনায় নি:সীম অন্ধকার...?
২.
একটি শস্ত্রের বদলে অযুত প্রাণ
অনেক শস্ত্র তৈরী হয়ে কারখানায় পড়ে আছে, ক্রেতা নেই
তাই যুদ্ধের দামামা বাজাও দিকিনি
দুর্বলকে করো আক্রমণ
ফাটাও ভ্যাক্যুম বম্ব মিসাইল নতুন আবিষ্কার যতকিছু
যুদ্ধ বাধবে দেশে দেশে
রাজা ভরবে তার তোশাখানা
লড়বে রাজার সেপাই মরবে মানুষ অগুনতি
কৃষ্ণসাগরে সুর্যডুবি রক্তের স্রোত মৃত শরীরের হাহাকার
কত সবুজ যে পুড়ে ছাই
তবু লক্ষ্মীর ভান্ডার উপছে পড়া চাই
বিশ্বযুদ্ধ লাগা চাই শীত -যুদ্ধের শেষে।
দুটি কবিতাই খুব সুন্দর। ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন🙏🙏🙏🙏
উত্তরমুছুন