আগমনী বন্দনা -৩৭
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
ছোটোবেলার দুগ্গামা ১
বছর ঘুরে দুগ্গা এলেন টাক ডুমা ডুম ডুম
ছোট্টবেলা কেমন ছিল ফিরে দেখছিলুম
কুমোরকাকু বেঁধে ফেললেন খড় বাঁশে কাঠামো
মাটির কাজে কত না শ্রম -- পেরোয় মধ্যযামও
দুদিন পরে রং আর তুলির নিখুঁত কারুকাজ
গর্জন তেল দিতেই অমনি দেবীদুর্গার রাজ।
ছোটোবেলার দুগ্গামা ২
পুজো মানেই নতুন জামা, পুজো মানেই হুল্লোড়
সকাল- সন্ধে ঠাকুর দেখা, এক-একদিন রাতভোর
আস্ত প্যাকেট কালিপটকা, আগুন দিতেই দুমদাম
বন্ধুরা সব একজোট হয়ে আড্ডা চলে উদ্দাম
বাজছে মাইক উড়ছে দেদার এইচএমভি গানের কলি
অষ্টমীতে নতুন সাজে সবাই মিলে অঞ্জলি।
ছোটোবেলার দুগ্গামা ৩
পকেটে ভর্তি টোটাক্যাপে,হাতে খেলনা-পিস্তল
বন্ধু বলল, এক্সট্রা ক্যাপ থাকলে আমায় দিস তো
দোদোমা বোম ফাটল কোথায়, বুকের ভিতর সে কী কাঁপ
হাঁড়িকাঠে আলতা-পোরা লাউ বলি দেয় গজেনকা
সন্ধিপুজো যেই না শুরু মায়ের দু'চোখ রুদ্রতেজা
পুরুতজেঠু হাঁক পাড়লেন সামনে থেকে যা সরে যা।
ছোটোবেলার দুগ্গামা ৪
সকাল থেকে মনটা খারাপ বিসর্জনের বাদ্যি বাজে
বাজছে কাঁসি বিষাদ সুরে কিছুই ভালো লাগে না যে
তবুও যাই ঘুরঘুর করি, হোক রোদ্দুর বেজায় কড়া
সারসার বসে কলাপাতায় পান্তাভাত আর তালের বড়া
দর্পণ যেই ভাসল জলে অমনি সাজো সাজো রবে
বলছে সবাই, বিদায় মাগো, আসছে বছর আবার হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন