রবিবারের গল্প
আত্মজ
গৌতম বাড়ই
আড়ংঘাটা থেকে দক্ষিণ কলকাতার এই বনেদী বাড়িতে নিরঞ্জন যখন এসে ঢুকলো তখন বিকেল তিনটে।ট্রেন বন্ধ তাই সোজা পথটার এখন কত হ্যাপা।বাড়ির ভেতর অনেক লোকজন ।
দরজায় এক ভাঙ্গাচোরা বিবর্ণ লোক বসে রয়েছে। এই লোকটি আর প্রীতি প্রায় একসাথেই এ বাড়িতে এসেছিল।জনার্দন সেন পা ছড়িয়ে আরাম কেদারায় মাথা এলিয়ে চোখ বন্ধ।রাহুল তাদের ঊষর দাম্পত্য জীবনে দশবছর পরের একমাত্র সন্তান।একটু বাদেই তার মৃতদেহ আসবে।বাইরে কাঁদছেন অঝোরে নিরঞ্জন আর ভেতরের ঘরে প্রীতিকণা সেন। হঠাৎ মেঘলা করে তুমুল বৃষ্টি সন্ধের বিকেলে।বাবুকে কোলে পিঠে মানুষ করেছেন।দেশের বাড়িতে খবরটা তাই যায়।এরকম বাদলা এক বিকেলে তার নিঃসন্তান বৌদিমণি জনশূন্য বাড়িতে খুব কেঁদেছিলেন তার কাছে ।নিরঞ্জন উঠে পড়ে তড়িঘড়ি। শব বাহনের গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে গেটে।
----------------------------------------------------------------
এই বিভাগে মৌলিক ও অপ্রকাশিত লেখা পাঠান। মতামত জানান।
ankurishapatrika@gmail.com
----------------------------------------------------------------

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন