।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।।ডিসেম্বর সংখ্যা।।
।।শীত বিষয়ক কবিতা / ছড়া— ৬।।
ক্লোজার
যশোধরা রায়চৌধুরী
সবকিছু শান্ত হয়ে যাক
চলে যাক কিছু কিছু নদী
সমুদ্রের ভেতরে গহনে
সবকিছু শান্ত হয়ে যাক
খুটি তুলে প্যান্ডেল গুটিয়ে
কোথাও নীলাভ এক নতুন চাঁদোয়া
তৈরি হোক ফের
কোথাও নারকেল কুরে নিয়ে
মন্ডা পাকানো হোক ফের
ঘিয়ের হাতের তালু প্রচ্ছন্ন নরম
দেখা গেলে একবার, দেখা যায় না আর
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্তর্হিত হলে
প্রহেলিকা মনে হয় সবকিছু কেন
এইসব মর্ত্যের এইসব জীবিতের
কাদা মাটি মরণশীলের
সবকিছু শান্ত হয়ে যাক
ধিকি ধিকি অগ্নি জলা আঁচে
সামান্য একমুঠো হাড়গোড়ে
ফেরত দেবার মত জল নেই কোন?
শান্তি জল শান্তি জল ভাঁড় ভেংগে দিও তারপরে
দুটি তিনটি মৃত্তিকাখন্ডের
ভেতরে চিকচিক করে সোনা
সবকিছু শান্ত হোক তবে
বারান্দার থেকে তুলে নিয়েছো গা- মোছা
সামান্য কাপড় আর তিন টব বিষন্ন গাছেরা
জল পায় না বলে কেউ ফিরে আসবে ছায়াপথ দিয়ে?
আসলে তো ছায়াই প্রবণ
আসলে তো সময়ই মলম
আসলে তো নতুন কাজের জন্য মাটি লেপা হল
উঠোনে নতুন করে কাটা হলো খোপ
বিন্তি খেলার ।
দু পায়ের লাফ দিয়ে যে মেয়েটি এক্কাদোক্কা খেলে
কোমরে কশিতে তার কাঁচা আম বাঁধা
হোমিওপ্যাথি শিশি ভর্তি সরষে তেল
কাগজে করকচ নুন মুড়ে নিয়ে গেছে ইশকুলে
বার্তাহীন শর্তহীন শান্ত এক আঁচে
সে এখনো বাঁচে
পেয়ারা পাতার নিচে নধর ফলের পাশাপাশি
খুব লোভ নেই আর তার বহুদিন
নীলাভ চাঁদোয়া ছেড়ে চলে যাবে আরো কিছু দূরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন