অণুগল্পের আড্ডা -৩৩
বক্স নাম্বার ফোর
পাপড়ি ভট্টাচার্য
একসময় স্মার্টফোন ইন্টারনেট হীন জীবন ছিল পোস্ট বক্স,লেটার বক্স আর খামবন্দি চিঠি পত্রের মাধ্যম।বক্স নাম্বার ফোর এর চিঠি বাছতে বাছতে একদিন... চাকুরীরত স্বাতীর মা বললেন--কি দিনকাল পড়ল।বেকার ছেলে চাকুরীরতা মেয়ে চাইছে।স্বাতী বলল--চাইতেই পারে। একটা বেকার মেয়ে যদি চাকরি করা ছেলেকে বিয়ে করতে পারে...তুই চুপ করত।এমা এরা কারা? পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিয়েছে।আর এসব কি...স্বাতীর বাবা মিটি মিটি হেসে বললেন,বেশ ব্রিলিয়ান্ট বায়োডাটা দুটো ছেলের- ই। একটা সিলেক্ট কর দেখি গিন্নী।বাবা মাকে অবাক করে দিয়ে স্বাতী রিসিভার তুলল।-- হ্যালো, নমস্কার একটু অতনু সেনগুপ্ত কে দেবেন?--বলুন আমি অতনু।
--আপনার ইন্টারভিউয়ের ডেট কি পার হয়ে গেছে?--আমার কল তো আসেনি।
--আসবে কি করে, বায়োডাটা তো পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন বক্সে ফেলেছেন।
--ও মাই গড,রাণা এই ভুল করলো?
--ওনার খামটা ও রয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।সময় আছে, আমরা আবার পাঠাব।
--শুনুন, আমার বাড়ির ঠিকানা দিচ্ছি। এসে নিয়ে যেতে পারেন।
ঢাকুরিয়ার বাড়ির সামনে পড়ন্ত বিকেলে দুটি ছেলে এসে বাইক থেকে নামল।স্বাতী দেখল সুন্দর দুটি যুবককে।অতনু হাত বাড়িয়ে খাম দুটি নিল।রাণার চোখে অপার মুগ্ধতা।স্বাতী মিস্টি হেসে বলল-অল দা বেস্ট।ওপরে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখলেন মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সব্যসাচী হালদার। তাঁর নামের চিঠি দুটো অফিস নয়, ভুল হয়ে এসেছে বাড়িতে। গিন্নী খেয়াল করেনি, মেয়ে ঠিক দেখেছে।
একসময় স্মার্টফোন ইন্টারনেট হীন জীবন ছিল পোস্ট বক্স,লেটার বক্স আর খামবন্দি চিঠি পত্রের মাধ্যম।বক্স নাম্বার ফোর এর চিঠি বাছতে বাছতে একদিন... চাকুরীরত স্বাতীর মা বললেন--কি দিনকাল পড়ল।বেকার ছেলে চাকুরীরতা মেয়ে চাইছে।স্বাতী বলল--চাইতেই পারে। একটা বেকার মেয়ে যদি চাকরি করা ছেলেকে বিয়ে করতে পারে...তুই চুপ করত।এমা এরা কারা? পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিয়েছে।আর এসব কি...স্বাতীর বাবা মিটি মিটি হেসে বললেন,বেশ ব্রিলিয়ান্ট বায়োডাটা দুটো ছেলের- ই। একটা সিলেক্ট কর দেখি গিন্নী।বাবা মাকে অবাক করে দিয়ে স্বাতী রিসিভার তুলল।-- হ্যালো, নমস্কার একটু অতনু সেনগুপ্ত কে দেবেন?--বলুন আমি অতনু।
--আপনার ইন্টারভিউয়ের ডেট কি পার হয়ে গেছে?--আমার কল তো আসেনি।
--আসবে কি করে, বায়োডাটা তো পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন বক্সে ফেলেছেন।
--ও মাই গড,রাণা এই ভুল করলো?
--ওনার খামটা ও রয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।সময় আছে, আমরা আবার পাঠাব।
--শুনুন, আমার বাড়ির ঠিকানা দিচ্ছি। এসে নিয়ে যেতে পারেন।
ঢাকুরিয়ার বাড়ির সামনে পড়ন্ত বিকেলে দুটি ছেলে এসে বাইক থেকে নামল।স্বাতী দেখল সুন্দর দুটি যুবককে।অতনু হাত বাড়িয়ে খাম দুটি নিল।রাণার চোখে অপার মুগ্ধতা।স্বাতী মিস্টি হেসে বলল-অল দা বেস্ট।ওপরে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখলেন মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সব্যসাচী হালদার। তাঁর নামের চিঠি দুটো অফিস নয়, ভুল হয়ে এসেছে বাড়িতে। গিন্নী খেয়াল করেনি, মেয়ে ঠিক দেখেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন