প্রকৃতি -ই সুর সংখ্যা —২৩
জয়শ্রী সরকার
১.
শ্রাবণের ধারার মতো
রূপ ছড়িয়ে যাও কোথা যাও বসুন্ধরা?
শ্রাবণ মেঘে কাটছে দেখো সকল খরা।
ছলাৎ ছলাৎ নুপূর পায়ে কৃষ্ণ মেঘে
ওই দেখো আজ বর্ষারানি আসছে বেগে!
বৃষ্টি নামেতে এক যাদুমেঘ আছে
শ্রাবণের ধারা বেয়ে ওই আসে কাছে
কাঠফাটা মাটি ছিল ভুখা এতদিন
শ্রাবণের জল খেয়ে নাচে ধিন্ ধিন্!
কদমের ডালে বসে ওই সাদা বক
আপন খেয়ালে মেতে করে বক্ বক্।
ময়ূরেরা নেচে যায় পেখম তুলে
চাষীবউ মাঠে চলে শোক-তাপ ভুলে!
শ্রাবণের ধারা যেন মনে আনে সুখ
রবিঠাকুরের গানে ভরে ওঠে বুক।
গ্রীষ্মেরই দাবদাহ বনভূমি সয়
শ্রাবণধারাতে ওরা ঋতুমতী হয়!
ব্যাঙেদের সমবেত কন্ঠেরই ডাক
সুরে-তালে-ছন্দেতে লেগে যায় তাক।
গরীবের কুঁঁড়ে ঘরে নদী বয়ে যায়
পেটেতে আগুন জ্বলে দ্বিগুণ জ্বালায়!
রবিঠাকুরের লেখা "সোনার তরী"
একা একা আনমনে শুধুই পডি।
শ্রাবণের ধারা দেখে আজকের কবি
অক্ষর-তুলি দিয়ে এঁকে যায় ছবি!
২.
এসো, হেমন্ত-ঘ্রাণ মাখি
হৈমন্তিকার হাস্যমুখে মধুর প্রকৃতি আজ
হিমেল হাওয়ার মিষ্টি সুরে সকালের নব সাজ।
ওই শোনা যায় ভোরের আজান , শুনছি পাখির গানও
দূরের ঝিলে গাঙশালিখের মিষ্টি কলতানও!
নয় বেশি শীত , নয় তো ঊষ্ণ , মিষ্টি রোদের ছোঁয়া
হৃদয় বলে এমন পরশ পবিত্রতায় ধোয়া।
সোনার ধানে মাঠ ভরে যায় যেন সোনার তরী
চতুর্দিকে আনন্দগান নবান্নসুখ ভরি!
নিশির শিশির মেখে গায়ে হেমন্তিকা এসে
নরম রোদের মিষ্টি ছোঁয়ায় থাকবে ভালোবেসে।
হেমন্তিকার রূপের ছটা ঠিকরে পড়ে ঠোঁটে
হিমের কুঁড়ি লাগলে গায়ে আনন্দফুল ফোটে!
নিয়ম মেনে শরৎ উধাও হেমন্তকে ডেকে
তবু শরৎ চললো যেন শিউলি সুবাস মেখে।
হৈমন্তী রূপসী বাংলা সত্যিই মনোলোভা
রোদে ঝলমল সারা আকাশ অপরূপ এক শোভা!
মোবাইল নম্বর -৮৭৬৮৫২৭০৭০
দুটি কবিতাই খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুন