আষাঢ়ে গপ্প কথা -৪
মিতা নাগ ভট্টাচার্য
আর্জেন্ট
খুব দ্রুত হাঁটতে হাঁটতে ওষুধের দোকান অবধি এসে একবার দম নেয় লীনা। মায়ের প্রেসারের ওষুধ নিতে হবে। বাইরে অবধি লাইন ,বড্ড রোদ আজকাল রোদ চড়লে লীনার কষ্ট হয়।
বাবা মারা যাবার পর থেকে মায়ের ওষুধ , আরো অনেক কিছুই লীনার ব্যবস্হা করে।লক গাউন , ছেলের বাবার আপত্তি সত্ত্বেও বের হতে হয়েছে।দমদম থেকে শ্যামনগর এসে ছে গাড়ি ভাড়া করে।মা বারবার না করেছেন,এ পরিস্হিতি তে একদম দেখা করতে আসার দরকার নেই। লীনা মনে মনে জানে দরকারআছে, এই মায়ের কাছে আসাটুকু একমাত্র অক্সিজেন।
সারাদিন ঐ বাড়িতে সকলের চাহিদা মেটাতে গিয়ে তার নিজের শরীরটা নিয়ে ভাবার সময় নেই,আজ মায়ের কাছে আসামাত্রই বিজয়া মেয়েকে জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন। করোনা আতঙ্ক, হঠাৎ লকডাউন মনে হচ্ছিল যদি মেয়েটার সঙ্গে আর দেখা না হয়।
মাকে জড়িয়ে ধরে এ বয়সে ও কী এক নির্ভরতা।সারাজীবন যদি মাকে কাছে রাখা যায়।
কতক্ষনে তার লাইন আসবে, ফিরতে হবে। টাইম নির্দিষ্ট করা ভাড়া গাড়ি,।দেরী করলে বাড়ি ফিরে অশান্তি। হঠাৎ কানে আসে,-"প্লিজ আমাকে এগিয়ে যেতে দিন আমার আর্জেন্ট ওষুধটা দরকার।"প্লিজ কেউ একটু,__"
কেউ যেন শুনতে পায় নি। লীনার পালা এখন। সে ডাক দেয়,"আসুন আসুন, আপনি নিয়ে,,,,।
লীনাও যে মায়ের জন্যই।
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/07/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_18.html
খুব সুন্দর গল্পটি। খুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন