অনীশ ঘোষ
ছুপা হুয়া গোষ্ঠীতোষণ
যদি কখনো বেঁধে বুকে
তার ঘায়েতে যেও না মূর্ছা
লাভ নেই ভাই গর্তে ঢুকে!
তার চাইতে নিজেও পাল্টা
বোমবাস্টিক কিছু ছোড়ো
ছড়ার গোলা টপকে দিয়ে
শয়তানদের মুখে মারো!
ছড়া-ছররায় ঘায়েল হবেই
হামবড়া সব একঠেঙে
যারা শুধু আখের গোছায়
পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে!
দুষ্টবুদ্ধি করে কিলবিল
ঘুরপাক খায় যাদের মাথায়
যাদের জন্যে সরলসিধে
মানুষগুলো পড়ে জাঁতায়।
খবরদারি চালায় তারাই
সর্বক্ষণ সব জায়গায়
যেন ঠিকেদারিটা নিয়ে হাতে
সব কিছুতেই মধু খায়!
কালাপাহাড় সরাতে গেলে
মুখে ঘষতে হবে ঝামা
সেই সঙ্গে ছুড়তে হবে
দুচারটে ছড়ার বোমা!
ঠিকমতো ঘা পারলে দিতে
দালালগুলো পগারপার
স্ফূর্ত প্রাণের শিল্পী-কবি
সাজাবে ফের জগৎ তার।
পাপড়ি ভট্টাচার্য
করোনা এখন করোনা তুই আমার চারপাশে
খুঁজছিলি আর গুছোচ্ছিলি সব
নষ্ট মনে মাটির ভিতর পাঁজর চিবোচ্ছিলি
অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর গৌরব।
করোনা এখন করোনা তুই আমার হাতের থেকে
করিস শুধু অন্দরে চাষবাস
মাথার ব্যথায় জ্বর সর্দ্দি কুড়োচ্ছিলি সব
বদ্ধ ঘরের সংসার চারপাশ।
ঘুম জড়ানো শিশুগুলো মাকে খুঁজে ফেরে
আকাশ ভরা তারার আলো রাত
আঁধার জুড়ে বাতাস কেটে আতঙ্ক ছড়ায় কথা
ক্ষণিক আশায় ভালোবাসার হাত।
করোনা এখন করোনা তুই দুলিস মাথার উপর
শ্বশান জুড়ে প্রিয়জনদের লাশ
শুনে শুনে ট্রমায় ট্রমায় কাটছে দিন রাত
গেরস্হালির চারদিকে সন্ন্যাস ।
স্বাতী ভট্টাচার্য পিউ
কাতুকুতু বুড়ো ছিল
সপ্ত সাগর পারে ;
যায়নি সেথায় কেউ কখনও
কেউ দেখেনি তারে।
আজ পৃথিবী থমকে গেছে
থমকে গেছে হাসি!
সবাই আজ খুঁজছে কোথায়
কেষ্টদাসের পিসি?
হাসতে সবাই ভুলেছে দেখি
"রাম গরুড়ের ছানা "!
" নারদ নারদ " সব সেজেছে
" গল্প বলা " আজ মানা
বন্ধ ঘরে বন্দী জীবন
মুঠোয় বন্দী ফোন ;
দেখবে না কেউ জগৎটাকে
কে কার আপন জন?
শৈশব আজ হারিয়ে গেছে,
মুক্তি মোদের নাই !
হারিয়ে গেছে চেনা জগৎ
খোলা আকাশ চাই!
যেকোনো বিভাগে অপ্রকাশিত লেখা পাঠান।
মতামত জানান।
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন