লেবেল

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫

আজ ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস অঙ্কুরীশা-র পাতায় প্রকাশিত —স্বাধীনতার৭৯। স্বাধীনতা কবিতা সংখ্যা।। Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 



 

আজ ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস

অঙ্কুরীশা-র  পাতায় প্রকাশিত —





স্বাধীনতার৭৯

কবিতা সংখ্যা  






মুক্তকণ্ঠ অ্যাণ্টি-পোয়েট্রি
বিকাশ ভট্টাচার্য 


তুমি  কে হে হরিদাস? গলাবাজি করছ
: অপরাধীরা শাস্তি পাবে।
কবে? এইসব ফিউচার টেন্স
অনেক শোনা আছে। শুনতে শুনতে
কান পচে গেছিল একদিন রবিঠাকুরেরও
বিচারের বাণী? বাচিক শিল্পীরা জানে।
তুমি কোন বেঁড়ে ওস্তাদ? চিল্লাচ্ছ 
: অপরাধীরা শাস্তি পাবে।
কবে? বিবি উঠতে উঠতে মিঞাঁ কব্বরে গেলে !

ধোপাখানা থেকে আসা ইস্তিরি করা নিপাট 
পুরনো আক্কেলটা বিড়বিড় করে
কয়েকটা ফাঁকা খিস্তি শূন্যে মিশে যায়

ভিজে আকাশ ছাড়া রামধনু ওঠে না হাঁদা।



এই কি স্বাধীনতা

দীনেশ সরকার

 

আমরা স্বাধীন! আমরা স্বাধীন! বুক ফুলিয়ে বলি

দেশ ও দশের ভালোর কথা ভেবে কি আর চলি?

আপন স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নানান উপায় খুঁজি

দেশের কথা ভাবার সময় থাকি চক্ষু বুজি।

 

আটাত্তর বছর করলো পার দেশের স্বাধীনতা  

আমরা যেন না যাই ভুলে বীরশহিদদের কথা।

হাসি মুখে ফাঁসির দড়ি পরলো গলায় যারা

একটু শ্রদ্ধা সবার কাছে পায় যেন গো তারা।

 

মুখে আমরা যতই বলি স্বাধীনতার কথা

শহিদদের সাথে যে চরম বিশ্বাসঘাতকতা।

এ ভারত তো চায়নি তারা, দুর্নীতিতে ভরা

সুযোগ পেলেই দেশের সম্পদ অবাধে লুট করা।

 

সত্যিকারের স্বাধীনতা হয়নি পাওয়া আজও

খাদ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা কোথায়? নেই বেকারের কাজও।

শোষণমুক্ত সমাজ কোথায়? কোথায় মানবতা?

ভূলুন্ঠিত নারীর সম্ভ্রম, এই কি স্বাধীনতা?




স্বাধীনতা মানে 
জয়শ্রী সরকার 

স্বাধীনতা মানে বনসাই নয়, স্বাধীনতা হ'লো মাটিতে শিকড়
স্বাধীনতা মানে সমারোহ নয়, স্বাধীনতা হ'লো চেতনা মুখর !
স্বাধীনতা মানে হানাহানি নয়, স্বাধীনতা হ'লো মানবতাবাদ
স্বাধীনতা মানে বেপরোয়া নয়, স্বাধীনতা হ'লো ঘোষিত জেহাদ !

কন্ঠরোধটা স্বাধীনতা নয়, যাপনে থাকবে বাক স্বাধীনতা
স্বাধীনতা আর অধিকার বোধে থাকবে না কোনো আবিলতা !
মূল্যবৃদ্ধি স্বাধীনতা নয়, স্বাধীনতা হলো সহজে বাঁচা 
স্বেচ্ছাচারিতা নয় স্বাধীনতা, স্বাধীনতা হলো ন্যায়ের খাঁচা !

স্বাধীনতা মানে সাততারা নয়, স্বাধীনতা হলো ভাতের গন্ধ
স্বাধীনতা মানে ছেঁড়া পাল নয়, স্বাধীনতা হলো জীবন-ছন্দ ! 
স্বাধীনতা মানে স্কুল বাড়ি নয়, স্বাধীনতা হলো শিক্ষাদান
স্বাধীনতা মানে মনে বরাভয়, দীক্ষাগুরুর আসল মান !

শুধু তেরঙ্গা স্বাধীনতা নয়, স্বাধীনতা হলো মানবিক মুখ
একটি দিনের নয় স্বাধীনতা, স্বাধীনতা হলো নিত্য সুখ !
স্বাধীনতা মানে উল্লাস নয়, স্বাধীনতা হ'লো মর্মের ক্ষত
স্বাধীনতা মানে উচ্ছ্বাস নয়, স্বাধীনতা হ'লো কর্মের ব্রত !

স্বাধীনতা মানে প্রতিশোধ নয়, স্বাধীনতা হ'লো অন্যায়রোধ
স্বাধীনতা মানে শৃঙ্খল নয়, স্বাধীনতা হ'লো শৃঙ্খলাবোধ !
স্বাধীনতা মানে একা-সুখ নয়, স্বাধীনতা হ'লো মিশে থাকা
স্বাধীনতা মানে ফিকে হওয়া নয়, স্বাধীনতা হ'লো ফিরে দেখা





জগদীশ্বর
অমিত কাশ‍্যপ

জগদীশ্বর, তখন এইরকম নাম হত
জগতের ঈশ্বর, আহা, আমার দাদু
আমি দেখিনি, স্বাধীনতা সংগ্রামী 
অত‍্যাচারের দখল নিতে পারেননি
অবসর জীবন বেশিদিন যায়নি 
শারীরিক যন্ত্রণা ছিল প্রবল

সুন্দর গল্প বলতেন শুনেছি, সেইসব দিন 
জলে-জঙ্গলে আর সাধু-সন্ন‍্যাসীর আখড়ায় 
ইংরেজদের প্রতাপ আর প্রভাব ভয়ংকর 
চোখের সামনে মৃত্যু দেখেছি বিপ্লবীদের
সে এক অধ‍্যায়, কঠিন ইতিহাস 
তারপর একদিন সোনালি সকাল হল 

৮৫ এ, শম্ভু বাবু লেন, কলকাতা ১৪, ফোন ৯০০৭৪৯০২১১




পথক্রম 
সুধাংশুরঞ্জন সাহা 

অনেক ফুল আর ফল সহ গাছেরা বেঁচে থাকে,
সবুজ ছড়িয়ে পড়ে অনেক দূর পর্যন্ত।
ফলও ছড়িয়ে যায় দেশ দেশান্তরে,
জন্ম হয় নতুন চারাগাছের।
গাছের পাতা জড়িয়ে রাত নামে, অন্ধকার গাঢ় হয়।

গাছেদের শরীর জুড়ে অখণ্ড নীরবতা,
আর হলুদ পাতায় গাঢ় বিষণ্নতা 
আমার মনে ছুরির তীব্র ফলার মতো বিঁধতে থাকে।

তবু হাঁটার পথক্রম শেষ হয় না।
মাটির সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতা মাখে...
হাঁটাহাঁটি অভিনব পথের সন্ধান দেয়।




স্বাধীনতার সকাল 
বিকাশ চন্দ

মাটি ও বুকের কাছে নেমে আসে শূন্যের মুক্ত আকাশ
ধূম লেগেছে গাছে সকল বর্ণের ফুলে স্বদেশী হাওয়ায় 
কপালে মাটি ছুঁলে মনে হয় শ্রীচরণেষু মায়ের পুজো 
সার্বভৌম হাওয়ায় ভাসে আমদের সকল ভাষা গান

যেমন পরিযায়ী শরীর জুড়ে জাগে রক্ত শ্রম ঘাম
মাটি ছুঁয়ে বাঁচার কথা যাদের তাদেরও আশ্রয় টানে
কপর্দকের হিসেব নিচ্ছে দিচ্ছে প্রাণের জন্য ত্রাণ
একালের ক্ষুদিরামের মা জানে শোনে আর্তনাদ
দুর্দিনেও আনন্দ ধাম খোঁজে সকল ক্ষুধিত পাষাণ 

ডানা মেলেছে পাখির  ঝাঁক জানে চেনা আসমান 
মুক্ত ভোরের সূর্য আলোয় ভাসে গান সবুজ মাঠের
বদলে যাওয়া সময় ভুলে যায় দেশটা কাদের
তেরঙ্গা পতাকা ওড়ে আজও শহীদের প্রশ্বাসে
নীলকর ফিরে গেছে কেউ দেখে নীল জন্মভূমি 
শোণিত রঙে ভেসে যায় গৈরিক দিগন্তের জমিন




স্বাধীনতার স্বপ্ন 
দুর্গাদাস মিদ্যা 

স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় বলে 

যে প্রশ্ন উঠেছিল কবির মনে
সেই প্রশ্ন আজ মস্ত এক ভুল 
চোখের সামনে দেখি জনতার কোন স্বাধীনতা নেই 
স্বাধীনতা পেয়েছে তারাই যারা বসে আছে শাসকের ভূমিকায় 
বাকি সব জনগণ হায় হায় করে প্রতিদিন 
এই প্রাপ্য স্বাধীনতার যন্ত্রনায়।
যারা আমাদের দেয় ভোটে চেয়ার পায় 
তারাই রক্ত চুষে খায় আম জনতার 
তাই স্বাধীনতা দিবস এলে ভয়ে মরে যায় 
পতাকার  পথ পথ হাওয়ায়।





অনধীনতা
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়



ডুবন্ত মানুষের মতো হাঁসফাঁসে অথবা জলের বাইরে
ছটফট রুইমাছটির মতো জগতে কিছু বিরুদ্ধ অবস্থায়
পড়ে যায় জীবন, অথবা বলা যায় ফেলে দেওয়া হয়
তা স্বাধীনতা নয়, বন্দিজীবন, অধীনতা বা দাসত্ব।

পরাধীনতা এক অভিশাপ।

প্রাণের সুখে আহার বিহার ও যাপনের অন্য নাম স্বাধীনতা
সে যে প্রাণবায়ুর মতো উপাদেয়, মাতৃদুগ্ধের মতো তৃপ্তিময়
আর উড়ন্ত প্রাণের আরাম।
সে চোখের মণির চেয়ে মূল্যবান, পাহাড়ি ঝরনার মতো উচ্ছল,
হে মহামূল্যবান স্বাধীনতা, তুমি দিয়ো মুক্তির স্বাদ।


স্বাধীনতা

  মানস মুখোপাধ্যায় 


সমস্ত অশুভ মেঘগুলো যেন 

এখন আর আকাশে নেই!

জড়ো হয়েছে রাহুতে খোবলানো 

আমার বিস্তৃত হৃদয় ক্যানভাসে,

বর্ণময় রঙ তুলির আঁচড়ে 

ড্যাম্পে চাপানো সমাজ!

প্রতিদিন সূর্য ডুবতে ডুবতে 

অনেকগুলো দিন পার হয়ে গেল,

দেশটা স্বাধীন --

স্বাধীন মোড়কে আমি নই --

স্বাধীন যারা টাকা লুটে তারা ,

স্বাধীন পাখির মতো আমি নই--

ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে এখনো রেশনে দাঁড়াই!!

স্বাধীন যারা রাজনীতির ব্যবসায় নেমেছে তারা ,

স্বাধীন মেঘের মতো আমি নই -----

আমার কাজ চাষ করে 

দু'বেলা দুমুঠো তোমাদের মুখে তুলে ধরা।

উচ্চস্বরে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলাই

কিন্তু আমি স্বাধীন নই --




স্বাধীন নাকি
তীর্থঙ্কর সুমিত


স্বাধীন নাকি আমরা সবাই স্বাধীন সারা দেশটায়
স্বাধীন নামের মুকুট ঢাকা সব মানুষের কেশটায়
তবুও স্বাধীন অবাক বড় মানুষ নামের ঝঞ্জা
চোখের জলে বন্যা নামায় পাশের বাড়ির রঞ্জা
দোষ কি তার তোমরা বলো দেখতে তাকে বেশ
নামের আগে ধর্ষিতাটাই স্বাধীনতার রেষ
বাপ্পা,পিন্টু, জাফররা সব রেল লাইনে ঘর
নিজের মতই সাজায় তারা স্বাধীন যাযাবর
খাবার থালা হাতে নিয়ে খিদের জ্বালায় ঘোরে
কারোর খাবার দেখলে পরে লোভ করে মরে
চুরির দায়ে জেলে যায় পেটে খিদে হু হু
এর ই নাম স্বাধীনতা লোকে বলে উ হু
আর কেবলা ঠাকুর স্বাধীন হয়ে নোংড়া জল মাখে
চৌরাস্তার মোড়ে তাকে পাগল বলে ডাকে
আমার কথা বলবো কি আর আমার স্বাধীনতা
মনের সুখে হাসতে গিয়েও বাধ্যবাদকতা।


স্বাধীনতা খুঁজছি আমি"

   কার্ত্তিক মণ্ডল


১৫ই আগস্ট এলে সবাই মত্ত মাতাল তাক ধিনা ধিন
দু'হাত তুলে নাচতে থাকি আমরা স্বাধীন;আমরা স্বাধীন;
পথসভা উচ্চ ভাষণ নেতা মন্ত্রীর গাল ভরা বাত
সদলবলে ফিষ্টি চলে ডিজির তালে সারা দিনরাত। 
শহীদদের ফোটো সাজাই একটু আধটু দীপ ও ধূপে
ত্রিবর্ণ পতাকা উড়িয়ে দিই ঘরে ঘরে স্বাধীন রূপে। 
গান কবিতা জাতীয়তাবোধ ফুলকি ফোটে মুখে মুখে
এই দিনটা গেলেই দেখি সব গিয়েছে চুকেবুকে। 
স্বাধীনতা খুঁজতে থাকি কৃষকের ঐ উঠোন দোরে
স্বাধীনতা খুঁজতে থাকি চাল ফুটো ঐ দুখির ঘরে। 
স্বাধীনতা কোথায় বলো? মাঝি মল্লা কোল রমনীর
আল খুঁটিয়ে খাবার খোঁজে দুই চক্ষু ছল ছল নীর। 
আমরা স্বাধীন আমরা স্বাধীন আনন্দতে ভাসছি সবাই
মটনকারী খাচ্ছে কেউ,কারও ঘরে খাবার টুকু নাই। 
কেন তাদের চালটা ফুটো,শুদ্ধ জলের বেশ হাহাকার
বলতে পার বলতে পার এমন স্বাধীনতা কার দরকার। 
স্বাধীন হব পাখির মত, খোলা আকাশ সবার ঘর
জাতপাত আর ধর্মে মোদের করবে নাকো আপন পর। 

তাইতো আমি যাচ্ছি খুঁজে এমনতর স্বাধীনতা
সবাই সমান,আপন মত, নাই সেখানে দীনহীনতা। 





আত্ম মর্যাদা
পুষ্প সাঁতরা

পাখি ওড়ে ইচ্ছে ডানায়
তার সাথে ওড়ে মেঘ
শিকল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছি
স্বাধীনতার  আবেগ।
পরাধীনতার নাগ পাশ থেকে
ইচ্ছে পাখির গান
অত্যাচারীর কাহিনি শোনায়
ইংরেজ খানখান।
আঁধারে আলোর আকাশ
দেশপ্রেমিকদের বলিদান
প্রতিবাদ আর লড়াই লড়াই
নিঃশেষে দিল প্রান।
জেগেছে প্রাণপ্রিয় ভারতবর্ষ
সুরে সুরে ঐক্যতান
দেশ আজ শক্তি সুরক্ষিত
আত্মমর্যাদার নির্মাণ!
 


স্বাধীনতা 
জীবন সরখেল

স্বাধীনতা মানে পেট ভরা ভাত
এক নিশ্চিত বাসস্থান 
পরনে কাপড় ঠিক স্বাস্থ্য শিক্ষা 
রুটি-রুজি সংস্থান।
স্বাধীনতা মানে নিরাপত্তা 
বাড়ি ফেরার আশা 
গবেষণা লেখাপড়ার ইচ্ছা 
প্রাণ পায় যেন ভাষা।
স্বাধীনতা মানে পড়ার শেষে 
হাতে কাজের সুযোগ 
মা বাবার সাথে নিজ দেশসেবার 
থাকে যেন এক যোগ।
স্বাধীনতা মানে মনের কথা 
নিজের ভাষায় বলা 
গভীর রাত্রেও যার যেখানে খুশি 
অবাধে পথ চলা।
স্বাধীনতা মানে একসাথে সব 
থাকা মিলেমিশে 
জাত পাত ও ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে 
বসবাস দিকদিশে।
স্বাধীনতা মানে সহিষ্ণুদের
সুখেই ধর্ম পালন 
ঊন-আশিতম স্বাধীন বর্ষেও
চায় ভারতের প্রাণমন।




তোমার জন্য গর্ব করি
বিদ্যুৎ মিশ্র

পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে
মুক্তি নিল কেড়ে
দেশের মাটির ঋণের বোঝা
চুকিয়ে দিল কে রে ?
হাসি মুখে ফাঁসির দড়ি
গলায় নিল পরে
কার ছবিটি রইলো আজও
সবার ঠাকুর ঘরে।
বুক চিতিয়ে লড়েছিল
বিপ্লবী বীর কারা ?
অকালে কার প্রাণ গিয়েছে
কেই বা পিতৃহারা।
ভারত মায়ের বীর সন্তান
প্রণাম নিও তুমি
তোমার জন্য গর্ব করে
আজকে ভারত ভূমি।




একটা ব্লু ফিল্ম স্বাধীনতা আর পরিকল্পিত রেপিস্টদের অজগর দানা
নিমাই জানা 

স্ল্যাং কফি , পিউরিফায়ার সকেট বোমার পাথরকুচি নষ্ট মাংসাশী উদ্ভিদবিহীন তামান্নার গলায় গণতন্ত্রের চর্মরোগ ঝুলে আছে বিষধর হাঙ্গরগুলোকে গলার আট বছরের যুবতী মাংসের আংটি খাওয়াবে বলে , সেমিনার রুম মোমবাতির দীর্ঘ আঁশ আমার ফিতেওয়ালা ইলাস্টিক দৈর্ঘ্যের কার্ডিয়াক মেডিসিনের ধমনীগুলো লম্বা করে লিঙ্গবর্ধক অসুখ বুকের পাঁজরের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকা মৌমিতা পুরুষের স্থাপত্য ভয়ানক বুকের ভেতরে উন্মাদ বিচ্ছিরি আগুনের শ্বাসরোধ করে মারছে , এখানে পাপ নেই পরিকল্পিত ফোরাকর্ট ইনহেলার গলায় ঢেলে গ্যাং রেপের ব্লু ফিল্ম ভিডিও ক্লিপিংস তোলা হচ্ছে , জলে ডুবে যাওয়া পাপের জাহাজের শর্ট এডিশন নক্ষত্রের মাসিক রস ধৌতকারী চাকু বিষ মাখানো বিস্কুটের পাপের মতো বিক্রি হয় সারারাত নিস্তব্ধ ধর্ষণ ফ্লেভারের গেঞ্জি শর্ট প্যান্টস প্যান্টিস , তীব্র মেধার সুষুম্না মাছির অন্তঃক্ষরার মাঝে চাকু দিয়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে অদ্ভুত মাংস হাহাকার করে ধর্মতলায় ব্লেডের গ্যা্জা্নোর উপর দারুন দানব নাচাচ্ছে, হাহাকার করছে কালাচ সাপের চকলেট গোখরোর জিবে লেগে থাকা বরফের ডিম মাম্বা মাম্বা সাপের ঠোঁট থেকে বের করে আনা শিলাজুতের ফোম বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ্য সুধাময় উটের হুমায়ুন ওভারিয়ান ট্যাবলেটের গলা থেকে ১৫০ গ্রাম ফার্মান্টেশন বীর্যের গাঢ় ঘনত্ব, বিষাদ টিউব লাইট জ্বেলে রেডিয়ামের অস্ত্রাগার দোকানে কালো কালো পলিব্যাগ বিক্রি হয় কন্যা ভ্রুণের গলা টিপে মেরে , অভয়ার দূরত্বের ঠ্যাং অ্যাসিডিক বাল্বের ক্ষেপণাস্ত্র মুখে লাগানো ইনহেলার ধর্ম কাটার অসুস্থ বাদাম গাছ গ্যাং রেপড রেপিস্ট তীব্রতা নষ্ট নারী ভরের গন্ধ রাক্ষসের চেরা চেরা জিবের ভেতরে আপেলের সুস্বাদু মন্থন বলাৎকারের তীব্র গন্ধ অসুস্থ মদ কারখানা রাতের নিস্তব্ধ অন্ধকারে মশাল মিছিল তীব্র জলকামান সুড়ঙ্গের বাতাস দিগ্বদিক ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেখব দি ক্রাই অফ আওয়ার্স , হ্যাং অফ ফ্রিডম স্লো পয়োইজোনাস এন্টিভেনাম , চিৎকার চিৎকার চিৎকার আমার ডট এফ সি ফায়ার প্যাথলজি স্টাফ আমার যৌনাঙ্গ আর আমার জারজ দাগটাকে মোটেও তুলতে পারছে না, সিটি স্ক্যান রুমের থুতু আর অফ আমাকে ভয়ানক পতাকা দিয়েছে , আমার মেরুদন্ডহীন কক্সিসে যক্ষা রোগের ভিক্টোরিয়াস মড়াগুলো কাঁপছে .....





স্বাধীনতা স্বাধীনতা
 অসীম দাস 

স্বাধীনতা নয় কুঁড়ি ঝরে পড়া পতাকার পতপত 
স্বাধীনতা মানে মানব বিমানে শান্তির পারাবত ।

স্বাধীনতা নয় বৎসরান্তে কবিতা লেখার ধুম 
স্বাধীনতা মানে সক্রেটিসের হেমলক দানে ঘুম !

স্বাধীনতা নয় কুচকাওয়াজ আর ভাষণের ঝনঝনা
স্বাধীনতা মানে অন্যায় হলে কিছুতেই মানব না ।

স্বাধীনতা নয় দলবদলের ঘোলা পথে লেনদেন 
স্বাধীনতা মানে সচল শিক্ষা সকলের হাতে পেন ।

স্বাধীনতা নয় পুনরাবৃত্তি সংখ্যা গুরুর জয় 
স্বাধীনতা মানে মুক্তমনার  বৃদ্ধিতে বরাভয়  ।

স্বাধীনতা নয় তোষণ দূষণে অভিমত চুপচাপ 
স্বাধীনতা মানে অশিক্ষা নয় , কুশিক্ষা অভিশাপ !

স্বাধীনতা নয় দেশের কিংবা জাতির মুক্তাকাশ 
স্বাধীনতা মানে বিশ্বমানব রবীন্দ্রনাথ শ্বাস ।





মূল্যায়নে 
পরমেশ্বর গাইন 


সাত সকালে সকালটা ফুরিয়ে যাচ্ছে
আমার উঠোন থেকে 
নিশাচরের কিলি বিলি স্বাধীন সুখে;

থেমে যাও অমাবস্যা, নামছো কেনো মাটির ঘরে?
এখনো মেঘে ঢাকা আলো আছে গোটা সংসারে।

লাল চোখে জবাব নেই, হুঙ্কার ---
তেড়ে আসছে পাঁজি পুঁথি হাতে বার বার।

সময়সূচির বাইরে ও নাকি আরো মাপ আছে 
আধা আধি নয়, তুলা দণ্ড আঁধারে ঝুঁকেছে 
সে কথা রাত জানে গোধূলি আর সন্ধ্যার সাথে...

সফল ধৃতরাষ্ট্র স্বার্থক জগতে।

দুপুরে রাতের ছায়া আবেশে বাকি সময়টা 
আইনের চোখের পট্টি খুলে এখন মাথায় লজ্জা বসন ঘুমটা !

আমার মোনালিসা !
রেশন দরে বিলিয়েছি সত্যিকারের ভালোবাসা।
         ---০0০---





স্বাধীনের  স্বাদ 
বিমল মণ্ডল 

একি দেশ জন্মভূমি!  চার পাশে শ্বাসরুদ্ধ দিন
দিনরাত মানুষের হাহাকার আর বুকে দাবদাহ জ্বালা 
কোথাও শান্তি নেই,শুধু ভয়ার্ত ইশারা 
মৃত্যু, ধর্ষণ , খুন যখন -তখন
চারদিকে  দীর্ঘ অনশন, ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ
চাকরি হারানোর কান্না, ভয়ে ভ্রান্ত সুস্থ চিন্তাধারা
একি দেশ জন্মভূমি!  আছি আজ কিসের অধীন?


স্বাধীনের স্বাদ  এই রাষ্ট্র এই দীর্ঘতম সমাজের বাতাস
রাজনীতির রং -এ কখনো কখনো হয় ম্লান 
শিক্ষা স্বাস্থ্য ভেঙে চুরমার নিরন্তর সারাক্ষণ 
কোথাও প্রশস্তি নেই! দিনরাত একি সর্বনাশ 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন