।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। এপ্রিল সংখ্যা।।
।। অণুগল্প (মুক্ত) -২২।।
কান্না
সুব্রত চৌধুরী
রাত গাঢ় হওয়ার সাথে সাথে চিতার আগুন নিভে এলো ।
টর্চলাইটের আলোয় ক্লান্ত শরীরটাকে টেনে টেনে
এগিয়ে যাচ্ছে রনজিৎ,পা যেন চলছেই না। ধর্ষিতা মেয়েটিকে নিজ হাতে চিতায় তুলে দিয়েছে। সুলেখা,বড় মেয়ে হিসেবে ভীষণ আহ্লাদি ছিল , কত্তো রকম বায়না ছিল তার। টানাটানির সংসারে কার্পণ্য করতো না রনজিৎ ।
মেয়েটা স্কুল থেকে ফেরত আসার পথে অপহৃত হলো। বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নামলো, তখন ফিরলো পুলিশ ভ্যানে ক্ষতবিক্ষত শরীরে।বড়বাবুর ডাকে থানায় গিয়ে
শরীর ঢাকা সাদা চাদরটা সরাতেই কচি মেয়েটার চেহারা দেখে আঁতকে উঠেছিল রনজিৎ।শকুনের মতো খুবলে খেয়েছে মেয়েটার কচি শরীর।আর তাকাতে পারছিল না রনজিৎ, মাথাটা চক্কর মেরে উঠল।যখন জ্ঞান ফিরল তখন শ্মশান যাত্রার প্রস্তুতি সম্পন্ন।
ভুতুম পেঁচার ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেলো রনজিৎ,তার
দু’চোখে তখন শ্রাবণের ঝরনাধারা।
হঠাৎ পেছন থেকে গায়েবী মেয়েলি স্বর ভেসে এলো, "বাবা, কাঁদছো কেন”?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন