যুদ্ধ বিরোধী কবিতা -৬
বিকাশ চন্দ
১.
আগুন পাখি নয় বদ্ধ খাঁচার
সকল যুদ্ধ গিলে খায় দেশশুদ্ধ মানুষ
আশ্চর্য পৃথিবী হয়ে যায় নিথর পাথর
ক্ষমতার সম্পত্তি নিয়ে বসে আছে যুদ্ধাপরাধী
প্রতি প্রহরে জন্ম নেয় প্রতিহিংসা মৃত্যু মহোৎসব
শিশু নারী সভ্যতা সংস্কৃতি চিরকালই একাকী বড়ো
বাগান পোড়াও ফুল জ্বালাও পোড়াও প্রত্ন প্রকৃতি
ধ্বংস কাঠামোর তলায় কোথায় রাজ্যাভিষেক
দোমড়ানো শরীরে মানুষ কি জানে শ্বাপদের থাবা
গোলা বারুদ ইস্পাতের আগুন শহর আর সবুজ গ্রাম
বেপথু আগুনের ঈশ্বর বারুদ গন্ধে নাকাল
জলের ঈশ্বর ও নাকাল দুঃসহ সময়ে নীলের প্রহর
হাহাকারে শিশু হা অন্ন কান্না শোনে কি কেউ
কেবল ছড়িয়ে ভগ্নস্তূপ উন্মাদ হাহাকার
আর কত ক্ষমতা দেখাবে পৃথিবীতে
দ্যাখো ছড়িয়ে রয়েছে আগুনের ঢেউ
উবু দশ কুড়ি খেলা মাঠে ধুলো মাখে বউ বাসন্তী
অজস্র মৃত্যুর ভেতর রক্ত মাংসের আর্তি একান্ত বাঁচার
মানুষতো মানুষই হয় দেশান্তরে আগুন পাখি নয় বদ্ধ খাঁচার
২.
মানুষের সকল শতাব্দী
কোন দেশ যুদ্ধ করে
কোন দেশ গোনে মৃত্যু প্রহর
গোটা পৃথিবীটাই আমাদের মানুষের জীবীতের
এ জল জঙ্গল নদী সমুদ্র শহর
আগামী ভবিষ্যৎ কী পোড়াতেই হবে
অতীত হিংসার তাপে
অভিশাপ জীবন্ত হয়ে গেলে বিচ্ছিন্ন সময়ে
শ্যামল হিরন্ময় কোথায় পাবে আত্মীয়তা সুখ
যুদ্ধ তো যুদ্ধই হয় সকল সর্বভুক
মহা পরিনামের দায় নিতে কেউ তোলেনি মুখ
পরীনীতা একাকী কোথাও শূন্যের চুম্বনে উন্মুখ
যুদ্ধ মানেই ক্ষমাহীন মৃত্যুর হিংস্র অসুখ
ক্ষমা সুন্দর প্রেম টুকু জড়িয়ে বাঁচে অন্তরে
মারণাস্ত্র যুদ্ধ বিমান থমকে থাক মানুষের মন্দিরে
বাসযোগ্য সময়ে আর নয় শবেদের হিম ঘুম
মানুষের স্বপ্নে ফুল পাখি গাছেদের আত্মার উৎসব
মহা পরিণাম বোঝেন সকল দেশের সাজানো পরমেশ্বর
একটু সুস্থ সময় জড়িয়ে বাঁচুক মানুষের সকল শতাব্দী।
👏👏
উত্তরমুছুন