বসন্ত এসে গেছে-৫৫
ত্রিপর্ণা ঘোষ
১.
রঙের আড়ালে
মনখারাপেরা বুঝি শীতঘুমে থাকে
আস্ত একটা ব্যথার পাহাড় বুকে নিয়ে,
ফাগুন এলে মিথ্যে সাজে সাজিয়ে নেয় নিজেকে
বসন্ত দিনের রঙিন আবির দিয়ে।
লাল সাজে রূপবতী পলাশ,কৃষ্ণচূড়া
লালের ছটায় ঢাকে পাতা ঝরার যন্ত্রনা।
শুকনো পাতারা এলোমেলোভাবে ছুটে চলে
সীমানা বাড়ে মনখারাপি বেড়াজালের।
সন্ধ্যা জোছনা জোয়ার নামায় মনের উপকূলে।
চুপিসারে বাড়তে থাকে রাত্রের গভীরতা,
নিস্তব্ধতা আলিঙ্গন করে ক্রমশ চারিপাশ;
সমানুপাতিক সম্পর্কে বেড়ে চলে নিঃসঙ্গতা।
রঙিন মুখোশ খসে পড়ে রাতের অন্ধকারে,
বাঁধ ভাঙা বন্যা নেমে আসে মনের উপকূলে;
গুমরে গুমরে বালিশ ভেজে সারারাত
দরজায় তখনও কড়া নাড়ে বেরঙীন বসন্ত।
২.
অবশেষে
রঙের সাথে সাথে গেছে রঙিন দিনও।
নীল আকাশের সাথে কৃষ্ণচূড়ার প্রেমের গল্পের উপসংহারটুকুও মিশে গেছে দিগন্ত রেখায়।
কালো মেঘ চেপে ধরেছে নীলের বুক।
যন্ত্রণার ছায়া নেমেছে কৃষ্ণচূড়ার ডালেও।
দগ্ধ দুপুরে গলা ফাটায় তৃষ্ণার্ত কোকিল;
সুরেলা কন্ঠি ভুলে গেছে সুরের ছন্দ।
দখিনা হাওয়াও হয়েছে স্তব্ধ।
চারিপাশে শোনা যায়, শূণ্যতার হাহাকার।
নীল আকাশের কাছে পাঠানো শেষ চিঠি অবশেষে পৌঁছায়নি তার গন্তব্যে।
কালো মেঘ ভেঙে অঝোর কান্না নেমেছিল,
আর সেই জলে ধুয়ে গেছিল খামবন্দী শেষচিঠি।
দুটি কবিতাই খুব সুন্দর।
উত্তরমুছুন