লেবেল

শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১

শুধু কবিতায়...আলোর - উৎসব - ৩৫।। তপনজ্যোতি মাজি।। Ankurisha ।। E.Magazine ।। Bengali poem in literature ।।

 




আলোর - উৎসব - ৩৫

তপনজ্যোতি মাজি




১.

সম্মত



সম্মত হয়েছি শুদ্ধতা ও মুক্তি লিখবো অক্ষরে অক্ষরে।

গ্রন্থপাঠ শেষ হলে মনন অন্বেষণ। চর্যাপদ মুখস্ত করবো 

নির্জন প্রহরে। অবশিষ্ট স্বর্ণাভ সংগ্রহ , রেখেছি জলপাই 

কাঠের দেরাজে।


তোমাকে কদিন খুঁজছি বৃত্তাকারে সৌরপথে। তুমি কি

সম্প্রতি হয়েছো উপগ্রহবাসী?  নিষ্ক্রিয় রেখেছো স্মার্ট

ফোন। নক্ষত্র কলোনীর বহুতল এপার্টমেন্টের ন'তলার

ঝুল বারান্দায় তোমার শাড়ির আঁচল উড়তে দেখেছে

কেউ কেউ।


এই গ্রহবাস ছেড়ে কোনও একদিন বাসস্থান গড়ে উঠবে

অন্য কোনও গ্রহে। পরিকল্পিত সেই সব আবাসনে মানুষে

মানুষে সম্পর্ক হবে নদী ও নৌকার মতো। কৃষি,শ্রম,সংস্কৃতি

হবে মানুষের মৌলিক ধর্ম। 


তুমি বিলক্ষন জানো কোথায় পথের শেষ। সম্পর্কের বাঁক

এবং অন্ধকার। সহজ করে নিতে হয় দৃশ্যের সংঘর্ষ। মনে

মনে ভাবি ভুল উঠোনে দাঁড়িয়ে আছি প্রত্যেকে, শুধু বুঝতে

পারিনা মৃত্তিকার ক্ষয়।




২.

আবহমান


অগ্নিকে বিষণ্ন করে সে শেষবার উচ্চারণ করলো 

সমর্পণের স্তোত্র। তার নাভি সরোবরে অযুত বর্ষের

তরঙ্গ ঘুমিয়ে আছে। সে জানে সে নারী।গর্ভধারিনী।


ভুল মনে হয় প্রচলিত আখ্যান। শরীর আত্মপ্রতারক।

রোদ্দুর পড়েছে ঘুমন্ত উঠোনে। শিউলি গাছের ছায়ায়

শুয়ে আছে বাদামি বিড়াল।গার্হস্থ্য দরজায় কল্যাণ চিহ্ন।


বিকেল মিশে যাচ্ছে সন্ধ্যায়। দিগন্ত মুছে গেল শাড়ীর

আঁচলে। সব অনুভুতির কিছু পরিভাষা আছে। মস্তিস্কে

কি বিস্ফোরণ হলো? সে জানে পুরুষ চায় শীর্ষপ্রদেশ।


সব প্রতীক্ষার অবসান হয়না একজীবনে। সব দরজা

খোলেনা ইঙ্গিতে। লালনের গান  শুনতে শুনতে নদী

হারিয়ে যায় সমুদ্র মোহনায়। সে তবুও স্থির প্রতিবাদী।










কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন