আষাঢ়ে গল্প কথা-১২
ত্রিপর্ণা ঘোষ
উনি কে
কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে প্রায় অনেক বছর থাকা হয়।কিন্তু পৃথিবীব্যাপী মহামারীর কারনে লকডাউনের জেরে কিছুদিন যাবৎ বাড়িতে বেশ দিন কাটছিল।সময়টা যেহেতু বর্ষাকাল বৃষ্টিরানী মাঝে মাঝেই নানান ছন্দে এসে পড়েন।
সেদিনও ছিল এরকম এক মেঘাচ্ছন্ন দুপুর।সকাল থেকেই অঝর বৃষ্টির পর অবশেষে বৃষ্টি থামলেও আকাশের মুখ ভারী গম্ভীর হয়েছিল।বাড়িতে ছিল মঙ্গলবারের গুরুমার পুজো।পুজো শেষে গিয়েছিলাম পাশের বাড়িতে প্রসাদ দিতে।প্রসাদ দিয়ে ফেরার সময় পাড়ার এক ঠাকুমা আমার কাছে পুজোর প্রসাদ চাইলেন।স্বামী,সন্তান কোনও কুলে কেউ না থাকায় মাঝে মাঝেই অনেকের বাড়িতে একবেলার খাবার পেলে উনি খুব খুশি হতেন।আমিও বাড়ি থেকে প্রসাদ সাজিয়ে নিয়ে ওনাকে দিতে উনি চলে গেলেন।।
সন্ধ্যেবেলা চা এর আসরে সবার সামনে হঠাৎ করে আমি পাড়ার ওই ঠাকুমাকে প্রসাদ দেবার কথা বলতেই সবার মুখে দেখলাম অদ্ভুত একটা বিস্ময়ের ছাপ।মা কেমন যেন ভীত স্বরে আমাকে বলে উঠলেন আমি যেন আজ রাত থেকে বাড়ির বাইরে পা না রাখি।বাকি সবাই যেন কোনোকিছু আমার কাছে একটা লুকাতে চেয়ে আসর ছেড়ে উঠে গেল।পরেরদিন সকালে মা কিছু একটা কালো দড়ি আমার হাতে এসে বেঁধে দিল।তখন আমার সন্দেহের দানা আরও গাঢ় হল।
সুযোগ বুঝে বিকেলের দিকে সবার চোখের আড়ালে বাড়ি থেকে বেরোলাম এবং পাশের বাড়িতে গিয়ে কথাটা বলতে সেখানেও সকলে বিস্মিত হয়ে চোখ বড় করে বলল ওই ঠাকুমা নাকি প্রায় দু-বছর আগেই মারা গেছেন।মুহূর্তে আমার রক্ত ভয়ে ঠান্ডা হতে শুরু করল বাড়ি ফেরার ক্ষমতাটুকু আর যেন পাচ্ছিলাম না শরীরে।আমি আজও ঠিক জানিনা সেদিন উনি কে ছিলেন।
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/07/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_26.html
ভালো লাগলো আপনার গল্পটি। অনেক সময় অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে যা আমাদের
উত্তরমুছুনচিন্তা ও চেতনাকে নাড়া দিয়ে যায়। আমাদের ভাবতে হয় কিভাবে এমনটা ঘটলো। তবে পৃথিবীতে অনেক অদ্ভুত ঘটনাও ঘটে থাকে। সুন্দর উপস্থাপনা
একটি চমৎকার অণুগল্প।