আষাঢ়ের গপ্প কথা -১১
অশোক রায়
ক্ষুধার্ত আষাঢ়
আকাশের রঙ কুচকুচে কালো। দুপুর থেকে যোগাড় চলছে। সুপলের মনে হলো ঐ ভীষণ মেঘ বুঝি ফেটে পড়বে এই চা-বাগানের ওপর। বেলাবেলি অফিসের কাজ সেরে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে। চারটে বাজে, এখনি মনে হচ্ছে সন্ধে। কুলি বস্তি পেরিয়ে জোরে প্যাডেল করে সে। হাংরি সাহেবের বাংলোর পাশ দিয়ে যেতে আধো অন্ধকারে গা ছম্ছম্। কে জানে হয়ত আত্মঘাতী সাহেবের আত্মা জেগে উঠবে বাংলোর হাতায়।
সে শুনেছে সাহেবের আত্মা দুর্যোগের রাতে জাগে, মূর্তিমান শয়তান! সাইকেলটায় আরো জোর লাগায়, ততক্ষণে বাতাস আরো তীব্র মুহুর্মুহু বাজ পড়ছে মোটা ফোঁটায় বৃষ্টি। প্রকৃতির সঙ্গে সেও যেন এগোচ্ছে অবশ্যম্ভাবি ধ্বংসের দিকে।
মনে হল মা ডাকছে – খোকা ওদিকে যাসনেএএএ...। কই কেউ তো নেই। অন্ধকারে কিছুই ঠাহর হ্য়না । টর্চ জ্বালতে গিয়ে চমকে ওঠে, বৃষ্টির চাদরে ফুটে উঠেছে দুটো চোথ – ভাটার মত জ্বলছে – হাংরি সাহেব! এক ধাক্কায় সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে সুপল, সব অন্ধকার....। প্রবল অট্টহাসি পাহাড়ের গায়ে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে...।
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/07/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_25.html
খুব সুন্দর হয়েছে আপনার গল্পটি। খুব সুন্দরভাবে
উত্তরমুছুনতুলে ধরেছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছবিটি সঙ্গে
দুরাত্মার লীলাখেলা। যথার্থই একটি সুন্দর অণুগল্প।