মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি
বাবলু গিরি
শুভঙ্কর দাস
অশোককুমার লাটুয়া
বিমল মণ্ডল
সুধাংশু রঞ্জন সাহা
অলক জানা
ভবানী প্রসাদ দাশগুপ্ত
দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়
অশোক রায়
তপনকান্তি মুখার্জি
দীপক বেরা
অমরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
অমরেন্দ্র কালাপাহাড়
সঞ্জীব রাহা
মিনতি গোস্বামী
গৌতম বাড়ই
শুভ্রাশ্রী মাইতি
রাজা দেবরায়
ঐশ্চর্য্য কৃষ্ণ
ব্যোমকেশ দত্ত
সম্পা দাস
একাদশী চৌধুরী
মায়া দে
মালা ঘোষ(মিত্র)
শ্রাবণী বসু
অঞ্জনা চক্রবর্তী
সেরাদের সেরা
দীপ মুখোপাধ্যায়
ফুটবল হয় না ভাই মারাদোনা বিনা
কথাটা শিখিয়েছিল আর্জেন্টিনা
বেঁটেমোটা লোকটার বাঁ-পায়ের জাদু
ফ্রি-কিকের গোল দেওয়া অতি সুস্বাদু।
সেরাদের সেরা তিনি এই দুনিয়ার
চিনেছিল নাপোলি বা বোকা জুনিয়ার
পাঁচজন প্লেয়ারকে যেই না কাটায়
তিনকাঠি ভেদ করে বল ঢুকে যায়।
হাত দিয়ে গোল দেওয়া ভুলে যেতে পারি?
ধরতে পারেনি কোনও তুখোড় রেফারি
যতই বিতর্ক হোক তবু আরাধনা
বিশ্বকাপের হিরো সেই মারাদোনা।
জাদুকর
ফুটবল-মারাদোনা
মঙ্গলপ্রসাদ মাইতি
গোল-গোল-গো-ও-ল
পায়ে নয় হাতে
রেফারির চোখ এড়িয়েছে তা
হয়েছে কী তাতে?
এমন গোল তো দেখে
দুচোখ জুড়িয়ে যায়
ঈশ্বর! তিনিও মুগ্ধ
তাই হলেন সহায়।
ফুটবল - মারাদোনা
লীন এক সত্তায়
একরাশ মুগ্ধতা
পায়ের সে খেলায়।
মারাদোনা বিশ্বের
আলোক আবেশ
মরণে তা কখনোই
হবে না তো শেষ।
মারাদোনা এক উজ্বল সূর্য
বাবলু গিরি
কি ছিলো তার পায়ের ওস্তাদি,
ফুটবল আছড়ে পড়তো ভক্তের মতো ।
অশ্বের মতো ছুটতো যুদ্ধের ময়দানে ।
মারাদোনা তুমি খেলা জগতের চেতনা ।
মারাদোনা তুমি ফুটবলের প্রেরণা ।
মারাদোনা আমরা তোমায় ভুলবোনা ।
ওই যে সাতজন যোদ্ধাদের কাটিয়ে
সপাটে বাঁ পায়ের ভেল্কি, গো ও ও ওল -
সারা পৃথিবী চমকে উঠে দাঁড়িয়েছিল,
দেখছিলো ফুটবলের অবতারকে ।
চমকে গেছিলো গোলপোস্টের প্রহরী ।
আর সেই মারাদোনা, ফুটবলের অবতার
ব্রহ্মান্ডের ময়দানে ছুটে চলেছে -
ছুটে চলেছে নক্ষত্রের জ্বলন্ত বল নিয়ে,
উজ্বল সূর্যের কাছে ।
গোল
শুভঙ্কর দাস
পৃথিবী নিয়ে খেলছেন যিনি
রোজ,অক্লান্ত, অবিরাম
তিনিও মানুষের মতো জন্ম চান...
তিনিও গোলপোস্টের জালে বল
ঢুকিয়ে দেখাতে চান,চোখের জলে
আর অভাবের অন্ধকারেও
গোল দেওয়া যায়,একেবারে পৃথিবীর
মতো দেখতে...
সেই গোলের নাম মারাদোনা দিতে
পারো,তাতে কিছু এসে যায় না!
শুধু গোলপোস্ট সর্বদা তৈরি যেন
থাকে,কারণ জীবনের খেলায় কোনো
দিনরাত নেই
শুধু লড়াইটা আছে...
হঠাৎ হাততালির তুমুল কোরাস
অশোককুমার লাটুয়া
হাতে পায়ে চে আর ফিদেলের উল্কি নিয়ে
দশ নম্বর নীলসাদা জার্সিটা ছুটে
চলেছে হরিণের মতো ক্ষিপ্রতায়
প্রতিপক্ষের গোলবক্সের দিকে।
বিষাক্ত ট্যাকল এড়িয়ে সৌখিন
ড্রিবলে সমস্ত প্রতিরোধকে চুরমার
ক'রে এগিয়ে চলেছে ফুটবল
সাম্রাজ্যের যুবরাজ দিয়েগো
আর্মান্দো মারাদোনা। স্টেডিয়ামের
সমস্ত আলো জ্বলে উঠেছে তার
জন্যেই। লাখ লাখ চোখ উজ্জ্বল
বিস্ময়ে অপলক দেখছে শুধু তাকেই।
হঠাৎ হার্টবিট বন্ধ ষাট বছরের
ফুটবল শিল্পীর। বলতে পারছিনা
তাকে বিদায়। চোখের জল পাথর
হয়ে গেছে। হার্টবিট বন্ধ আমাদের।
হঠাৎ হাততালির তুমুল কোরাস —
গো-ও-ও-ও-ল।
কত গোল পেরিয়ে গেছে সে তবু মাঠ
ছেড়ে চলে যেতে পারেনি ফুটবলের
স্মৃতি — প্রিয় মারাদোনা।
অশ্রুর রজ্জুতে
বিমল মণ্ডল
মারাদোনা
সুধাংশুরঞ্জন সাহা
ফুটবলেশ্বর
অলক জানা
পায়ে বল জ্ঞানবল
একাকার হলে
ঈশ্বর এগিয়ে যান,
অনিবার্য গোলে
মারাদোনা ফুটবল
দুয়ে একাকার
গোল ! গোল ! থেকে গেছে
অন্তরে সবার
ফুটবল ফুটবল
ফুটবলেশ্বর
অজাতশত্রু মারাদোনা
অবিনশ্বর।
ফুটবলের নায়ক
ভবানী প্রসাদ দাশগুপ্ত
ফুটবলের রাজ ম্যারাদোনা
দেহ রাখলেন ভবে,
দুঃখ কাতর হৃদয় নিয়ে
মর্মাহত সবে।
বিশ্ব সেরা এই ফুটবলার
পায়ের যাদু দিয়ে,
সুনাম বাড়ায় আর্জেন্টিনার
সেরা খেতাব নিয়ে।
মাঠের রাজা খেলার নায়ক
ছিলেন ম্যারাদোনা,
বিদায় নিলেন ভুবন ছেড়ে
খেলার যাদু সোনা।
ঘাসের ঘামে ঈশ্বর
দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়
ঘাসের সাথে গল্প বলের
শিল্পী পায়ের আদর গায়
গর্বের স্পর্শ যেন খামে ভরা
জিয়নকাঠির ঠিকানায়
নিশানা নির্ভুল আঁকাবাঁকা কাটা
চ্যুতির গণনা নিখুঁত আঁকা
তুলি নিয়ে যেন শিল্প গড়া
মাঠ থেকেছে প্রাণে ভরা
শিল্পীর তুলিটা তুলে রেখে আজ
স্মৃতি শুধু দর্পন হাতরায়
যেখানে ফুটবল সতত শিরায় শিরায়
সবুজ হয়ে রক্ত ছোটায়
গোল তারাদের মাঠে
অশোক রায়
তোমার তুলনা পেলে নয় তোমার তুলনা তুমি নিজে
পৃথিবী থাকত তোমার মুঠোয় যখন পায়ে বল দৌড়তে
জাদুকরের ইন্দ্রজালে যখন তখন বল জড়াত গোলপোস্টে
ছিল ড্রিবলিং মন মাতানো অবিশ্বাস্য বুলেটের মত শট
হেলায় মেরেছ বুল্স-আই শত্রু-ডিফেন্স করে তছনছ্
নীল-সাদা দশ নম্বর জার্সি ভোলেনি শক্তিমান নট
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ গোলের শিরোপা তোমার দ্বিধাহীন
দিয়াগো আর্মান্দো হৃদয় জিতেছ লক্ষ-কোটির দুঃখ দিয়েছ অসীম
তোমায় নিয়ে লেখা যায় ধ্বংসের মহাকাব্য সব বেদনা রঙীন
শুয়ে সোনার বাক্সে গোল-তারাদের মাঠে ছোটাও ফুলঝুরি রং-মশাল।।
ফুটবলের ঈশ্বর
মিনতি গোস্বামী
অনেক সবুজ মাঠ পেরিয়ে
ফুটবলের ঈশ্বর এসেছিলে বঙ্গ শহরে
সুদূর আর্জেন্টিনা থেকে আবার তুমি
ভেসে উঠলে আমাদের খবরে।
মারাদোনা দেখো, মৃত্যু তোমাকে ছিনিয়ে
নিয়ে,নিজেও পড়েছে মহা লজ্জায়
অগণিত ভক্তের চোখের জলে
মৃত্যু আজ একা হয়েছে মৃত্যুশয্যায় ।
ফুটবলের ঈশ্বর চৌকো মাঠে তুমি
নক্ষত্রের. মত চিরদিন থাকবে উজ্জ্বল
মাঠ দাপানো তোমার পা দুটি
আগামী ফুটবলের হবে শ্রেষ্ঠ সম্বল।
গৌতম বাড়ই
একটা দামাল ছেলের ভীষণ মনখারাপ
পণ করেছে খেলবে না আর সে বিশ্বকাপ।
ফুটবলটা না খেলে ওরা মারছে যে পায়
রেফারীটা না দেখে তা অন্য দিকে চায়।
পায়ের পাতায় তাঁর হাজার যাদুর ছোঁয়ায়
ফুটবলটা যেন খেলে পায়ের হেলাফেলায়।
মারাদোনা! মারাদোনা! অবাক বিশ্ববাসী
বিশ্বকাপের মেক্সিকো উনিশশো ছিয়াশি।
একাই দেখি এনে দিল দেশকে বিশ্বকাপ
সবাই বলে সেরার সেরা যত আসুক চাপ।
কুড়ি-কুড়ি সেঁটে ষাটে এই গেলেন দূরলোক
মারাদোনা অমর রহে ভুলবে না এই গোলক!
ফুটবল পায়ে মারাদোনা
ফিরে আসে না আর।
মানুষ তাকে কাছেই রাখে।
এমন জাদু পায়ে যার।
আওয়াজ উঠলে মাঠে।
গোল হয়ে যায় ফের।
ভগবান থাকলে কাছে,
খোঁজ করো কিসের।
এমন আলো জ্বালায় প্রদীপ
চির উজ্জ্বল থাকে।
ঈশ্বর তো ঘরের মানুষ
হাত ধরে পাশে হাঁটে।
ঊনিশ শত ষাট সালে, জন্মিল এ ধরা-
তলে/ষোল বছরে, ফুটবল দলে।
দশ নম্বর জার্সি গায়,কী যে যাদু বাম-
পায়
ঊনিশ শো ছিয়াশি সালে, বিশ্বকাপ
ফাইনালে
সেই ঈশ্বরের হাত, করল যে বাজীমাৎ/
স্কীল তার পেলে র সমান,
নেপোলি তে ছিল ঠাঁই, বিশ্বকে কাঁদিয়ে
ভাই



কলমে ভালোবাসা ঝরছে। প্রিয় মারাদোনা তুমি রাজার মতো মাথায় নয়, বুকের বাঁদিকে থেকো।
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর লাগলো। ফুটবলের যাদুকর ম্যারাদোনাকে নিয়ে লেখা ছড়াগুলো বেশ উপভোগ্য। এভাবে কবির কলম চলুক অবিরাম। সব কবিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
উত্তরমুছুন