।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। ফেব্রুয়ারি সংখ্যা।।
।। বসন্তের চাঁদ - ১৮।।
বসন্ত ও চাঁদের আর্কাইভ
তপনজ্যোতি মাজি।
অভিমুখ বদল করে বাতাস একটু বাউন্ডুলে। দীর্ঘ
কোনো উপক্রমণিকা নেই তবুও তোমার আগমনের
ঘোষণাপত্র লিখছে শিমুল,পলাশ। আমি দেখছি
বদল হচ্ছে দৃষ্টিপথ,সম্ভাষণ ও অঙ্গরাগ।
আমি দেখছি নিরাবরণ শাখায় শাখায় পর্ণ-উন্মেষ।
প্রেমের পঙক্তি লিখছেন জেলার কবিরা। দামোদর
শিলাবতীকে শোনাচ্ছে শচীনকর্তার গান। আবহাওয়া
দপ্তরের সতর্কীকরণ উপেক্ষা করে পরিণত দম্পতি চাঁদ ছুঁতে পৌঁছে গেছেন অযোধ্যা পাহাড়।
বসন্ত,পলাশ ও প্রেম কি ত্রিমাত্রিক অগ্নিপথ? যে
ভালবাসে অগ্নি,সে জানে সব দহন দহন নয়। সে
জানে নক্ষত্র সংলাপ। প্রেম এক চতুর্দশপদী।তোমার
চিবুকের নীচে জমে আছে শীত সন্ধ্যার কথকথা।
শস্যের পালাগান শেষ করে ঘুমিয়েছে কৃষক রমণী
তৃণ-শয্যায়।
মাথুর ও ভাটিয়ালির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে রবীন্দ্র-গান।
নির্মোহ অধ্যায় থেকে বহুস্রোতে মিশে যাচ্ছে কবিতা।
বসন্তের উদাসী অক্ষরগুলি যেন চিরায়ত পরম্পরার
প্রতিনিধি হয়ে অতিক্রম করেছ হাজার প্রেমের পথ।
তুমি সেই পথে হাঁটতে হাঁটতে কোপাই তীর থেকে
শ্যামবাটি হয়ে উদয়ন গৃহে আসার আগে সংগ্রহ
করেছ পলাশ। বসন্তের পুষ্প-পতাকা।
সুন্দর সৃষ্টি।
উত্তরমুছুন