মহাকুম্ভ
জীবন সরখেল
মহামন্থন চেতনাস্রোত ধর্মের মূল সার
মহাপূণ্য লগ্নে যা খোলে মহাদ্বার.....
দৈবাসুর মহাযুদ্ধে কাটলো বারোদিন
মানুষের হিসাবে প্রায় বারো বছর লীন ।
এক মহাকুম্ভ বারো মহাচক্রে ফেরে
মহাসংযোগ একশো চুয়াল্লিশ বছরে!
মেষ রাশিচক্রে বৃহস্পতির হয় স্যন্দ
মকর রাশি'ই প্রবেশেন সূর্য ও চন্দ্র
বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ অসৎ বৃত্তির রোধে
খুব দরকার;উদার জীবন নিবৃত্তির বোধে।
বারোকুম্ভের আট আজও আছে দেবলোকে
চারকুম্ভ মর্ত্যে দেখি মন জ্ঞানের চোখে...
জীবন অমৃত কুম্ভ পূর্ণ হয় কর্মে
ত্যাগ সেবা জ্ঞান ভক্তি পরোপকার ধর্মে।
উচ্চ আধ্যাত্মিক ভাব মহাকুম্ভ মেলায়
আদান প্রদানে গুরু শক্তি শিষ্যে ধায়....
লক্ষ লক্ষ বছর মেনে পরম্-পরা
সমৃদ্ধ হয় সংসার পবিত্র হয় ধরা
আধ্যাত্মিক ভাব ভাবনায় চরম উৎকর্ষতায়
মহাস্নান সারেন আখড়া দশনাম সম্প্রদায়।
দেহের মনের ময়লা যায় দান মহাস্নানে
মহাভাব তরঙ্গ বয় ঈশ্বর নাম গানে।
আদিগুরুর প্রবর্তিত ধর্ম সংস্কার
পথ মত সমন্বয়;কমায় সঙ্কীর্ণতা ভার।
মহাকুম্ভ সূচনার কৃতিত্ব তাই কেউ
দেন শঙ্করাচার্য্যেই যাঁর ভাষ্য মানেই ঢেউ।
হরিদ্বার প্রয়াগরাজ উজ্জ্বয়িনী নাসিক
পৃথিবীর চার কুম্ভস্থান ক্ষেত্র আধ্যাত্মিক।
দেবী লক্ষ্মীর সেই অমৃত কুম্ভ উত্থান
গড়ুক ধরার আজও শান্তি স্থিতির সোপান
ভেদাভেদ বৈষম্য দুঃখ কষ্ট ঠেলে
কুম্ভের পূর্ণতা সুখ উড়ুক ডানা মেলে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন