লেবেল

শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০২২

শুধু কবিতায়... বসন্ত এসে গেছে-৫৩।। নিমাই জানা।। Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 



  বসন্ত এসে গেছে-৫৩
নিমাই জানা






১.
ফাগুন ও সংক্রামক ভাগফল


বৈরাগ্য পরিমিতি ছেড়ে অদ্ভুত কাঁটাতারের নিচে ঝুলে আছে বন্ধ্যাত্বকালীন সোমাটোট্রপিক , জ্বর শরীর গুলো ক্রমশ সংক্রামক হয়ে ওঠে গোপন কক্ষ পেলেই

নির্বিষ পলাশের ডান গহ্বর থেকে উড়ে বেড়াচ্ছে ভাগফল ফাল্গুনের চৈতন্য আকাশ , কাঁধের তরবারিটি প্রাচীন মফঃস্বল নদীর জলে ডোবানো আছে ভগ্নাংশ যুগের পরকীয়া আগুনে
আবিরের মতো মনু শরীরের আয়ুময় নিরাভরণ পালক খুলে নিয়েছে কালরাত্রির প্রতিটি প্রহর

শীতলপাটি জুড়ে অবৈধ কাগজ ফুলেরা ঘরময় ঘুরে বেড়িয়েছে তৃতীয় পক্ষের সন্ধ্যাবেলা নিয়ে , ভ্রুণেরা শীতঘুম থেকে বেরিয়ে এলো আজ রেক্সিন পোশাক পরি
রাত্রি কখনোই জোনাকি রঙের পোশাক পরে নীল মেহগিনি ছায়ার অঙ্কুর ফেলে আসে না , রণক্লান্ত শেষে একটি মোমবাতি জেগে থাকে পাপ কথা নিয়ে
রাত্রির বিষাণ নামক এক মিথোজীবীতার সম্পর্ক আছে
গায়ের লোমগুলো আসলে পাললিক পাথরের মতো সমান্তরাল শিরাবিন্যাস কমন্ডুল জলে এক পুরোহিত স্নান করে
দক্ষিণ মুখের আততায়ীরা পর্ণমোচী শরীরে হেঁটে যাওয়ার পর নির্জীব সন্ন্যাসীরা বিষাক্ত নীলগিরির দেহে শিলালিপি মেলে রাখে পাঞ্চজন্য দলমন্ডল মুখে নিয়ে

আমি শীতল স্থাণাঙ্কে প্রাচীন দূর্বা ঘাসের চাষ করেছি, ঈশ্বর আমায় মিশ্র ভগ্নাংশ করে তুলছেন ক্রমশ






২.
লাইসোজোম ও গোপন সম্পাদ্য কথা



বিসর্গ চিহ্নের মতো প্রেমিকার ডান হাতে লাইসোজোম ঝুলে আছে স্বাভাবিক সংখ্যার হলুদ সালোয়ারের মতো

নিশাচরেরা পলল রাস্তায় বেরিয়ে আসছে দীর্ঘদিন রক্তাভ থাকার পর ,  স্বরবর্ণ মুখে কাল্পনিক সরলরেখার উপর দাঁড়িয়ে ১৩ জন নাবিক একসাথেই খনিজ পাহাড় খনন করে চলে পর্ণমোচী বৃক্ষের মতো
কতজনের বৈরাগ্য কথা রাখতে পেরেছি রাধিকার মতো,  অশোক বৃক্ষের তলায় শরীর প্রাচীন পোশাক ছেড়ে মহা পরাশর হয়ে যান

স্তন্যপায়ীরা  ,মহাশূন্য বৃষ্টির মুখে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া মুখে পুরে রাধা ক্ষেত্রে গিয়ে দাঁড়ায় অন্তর্বাস পুষ্কর ক্ষেত্র হয়ে
এখানে চতুর্ভুজ আঁকায় মেতে ওঠেন শল্যবিভাগের প্রচ্ছায়া অঞ্চল নারীময় প্রহর কেবল প্রতিবিম্ব আর সমান্তরাল
তেরো দ্রাঘিমার অক্ষাংশের গোপন কক্ষে নিরাভরণ পালক রেখে যায় ছাত্রবন্ধুর সম্পাদ্য জোড়া নির্বিকার মৃত ঘোড়ার দল
পালকের পোশাক পরে মাছেরা পরিযায়ী সঙ্গমে মেতে ওঠে গর্ভস্থ সেবিকার মতো ,

বৃন্দাবন ক্ষেত্রে নিঃসঙ্গ বয়ে যাচ্ছেন যমুনা গৈরিক আলোক বিন্দুর সাথে
এক স্বস্তিক রাশিচক্রের তিলক পরে বসে আছেন আমাদের অনন্ত মহারাজ






 




২টি মন্তব্য: