রবি স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি
সোমাশ্রী মন্ডল
সবার প্রিয় রবীন্দ্রনাথ
সেকেলের কলকাতার ওই জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি
রূপকথার সব গল্প ছেড়ে, মা সেখানে দেয় পাড়ি।
খুকু বলে, মা আমায় এই গল্প কেন শোনাও মিছেমিছি
থাকত কে সে? কোথায় সেটা? আমার বাড়ির কাছাকাছি?
মা বলেন, 'না রে খুকু সেথায় থাকত সে এক ছেলে'
তাঁহার মতো রত্ন এখন, দেশ- বিদেশে কোথায় মেলে?'
জন্ম যখন হল তাঁর , তখন তা বৈশাখ মাস
সূর্য মামার প্রখর তাপে,করছে সবাই হাঁসফাঁস!
সেই থেকে তা লেখা শুরু সবাই ভাসে গানের স্রোতে,
গ্রীষ্মে হঠাৎ শোনা গেল,অঝোরধারায় বর্ষা হতে৷
খুকু বলে,'আচ্ছা মা,গ্রীষ্মের পরে বর্ষা নামলে সবাই কি হয় খুশি?'
সেই ছেলেটার বয়স কত? আট না নয়? না, একটু বেশী?
মা বলেন, 'আট বছরের তোরই মতো ভীষণ পাজি
লেখাপড়া বাদ দিয়ে সে সবাইকে দেয় গানের বাজি৷'
সময় যখন হঠাৎ করে কলম তাঁর উঠল নড়ে
প্রথম লাইনে লেখেন 'জল পড়ে, পাতা নড়ে৷'
সেই থেকে তাঁর যাত্রা শুরু কত সাহিত্যে বাহার
ধীরে ধীরে উঠলেন তিনি কবিগুরু সবার৷
কয়েক বছর বাদে যখন বয়স মাত্র সবে ষোল,
'ভানুমতীর পদাবলী' লিখে বিশ্ব সেরা সেই হলো৷
সাহিত্যাকাশে প্রথম নোবেল সাল ঊনিশ'শ তেরো
'গীতাঞ্জলি' জ্বালিয়ে তিনি আহ্বান দিলেন প্রদীপ ধরো।
সারা বিশ্বে যেখানে যাও শোনা যায় তাঁর জয়গান
সাহিত্যে প্রথম নোবেল এনে রাখলেন বাংলা-মায়ের মান৷
বীরপুরুষ আর লুকোচুরি আদরণীয় সবার ঘরে-ঘরে
বাংলায় এখন কোথায় তিনি এই স্থান তা পূরণ করে?
বিশ্বকবির উপাধিতে বলছে ধরা কানে কানে
সাহিত্য,ছবি,গানের ভাষায় বেঁচে থেকো আমাদের প্রাণে।
তারপরে তো হঠাৎ করে কবি দিলেন আকাশ পাড়ি
কবির শোকেই কাতর তখন কলকাতার ওই ঠাকুরবাড়ি।
খুকু বলে, কে মাগো সে, যার গল্পতে কাটলো রাত?
মুচকি হেসে মা বলেন, তিনিই আমাদের রবীন্দ্রনাথ।
আরও পড়ুন👇👇
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/06/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_50.html
-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন