লেবেল

বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস।। একটি মার্ডার : এবং তারপর...।। সৈয়দ রেজাউল করিম।

 একটি মার্ডার : এবং তারপর...

সৈয়দ রেজাউল করিম


 


ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস।।  চতুর্থ পর্ব।। 



        সকাল সাতটা নাগাদ জ্যোতিষ বাবু থানায় চলে এলেন। কনস্টেবল প্রশান্ত দাসও হাজির হলো।দুজনে দু'কাপ চা বিস্কুট খেয়ে খড়গপুর লোকাল ধরলেন। হাওড়া, টিকিয়াপাড়া, দাসনগর, রাজারাম তলা, সাঁতরাগাছি, উলুবেড়িয়া, আর তারপরেই বাগনান। পাক্কা চল্লিশ মিনিট লেগে গেল বাগনানে পৌঁছতে।

         ‎বাগনান শহরটা তেমন বড় নয়। তবে শহরের ফেসিলিটি সবকিছু বর্তমান। স্কুল, কলেজ, দমকল, থানা, কলকারখানা দোকানপাট, কি নেই বাগনানে ? শহরের আশেপাশে বাস করছে বহু মানুষজন। শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে তারা খুব সচেতন। ছেলে পুলেরা যাতে উপযুক্ত গাইডেন্স পায়, সেজন্য শহরের মাঝে গড়ে উঠেছে নানান কোচিং সেন্টার। ছাত্র-ছাত্রীরা, চাকরিপ্রার্থীরা ভিড় করে সেখানে। এটা শুধু বাগনানে নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গে এবং অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে একদিকে যেমন বেকার ছেলেদের কিছুটা অন্নসংস্থান হয়েছে, তেমন সাধারণ মানুষের শিক্ষাখাতে অনেকটা খরচ বেড়েছে। সরকার এই সমস্ত ছেলেদের কর্মসংস্থান করার দিকে সেভাবে নজর দিচ্ছে না। ফলে বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়ার ভাবনা সিকেয় উঠেছে । নাস্তানাবুদ হচ্ছে সাধারণ মানুষজন।

            বাগনান থানার আই.সি. সাহেব টাউন বাবুকে বলে রেখেছিলেন। তাই সাব-ইন্সপেক্টর সমর দাস তার দলবল নিয়ে তাদের অপেক্ষায় ছিলেন। জ্যোতিষ বাবু তাদের সঙ্গে বার হলেন। লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে একটা একটা করে অনেকগুলো কোচিং সেন্টারে হাজির হলেন। প্রত্যেক কোচিং সেন্টারে মৃতের ছবি দেখিয়ে জানতে চাইলেন তারা ছেলেটিকে চেনে কিনা ? সকলে ছবিগুলো উল্টেপাল্টে দেখে জানায়, তারা ছেলেটিকে চেনে না । কিন্তু সুমতি কোচিং সেন্টারটি ঠিক কোথায় তার হদিস মেলে না। নাম ঠিকানা ঠিকমত জানা না থাকলে যা হয় আর কি। গ্রামাঞ্চলে তবু খোঁজার সুবিধা আছে, শহরাঞ্চলে তা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবু হাল ছাড়তে নারাজ জ্যোতিষ বাবু।একটার পর একটা কোচিং সেন্টারে গিয়ে, ছবি দেখিয়ে জানতে চায় সুমতি কোচিং সেন্টারটি ঠিক কোনখানে?

            ঈশ্বর বোধহয় জ্যোতিষ বাবুর সহায় ছিলেন। একটা কোচিং সেন্টারে থেকে বার হবার মুখে এক পড়ুয়ার সাথে দেখা হল। তার কাছেই কোচিং সেন্টারের হদিস মিলল । তার দেওয়া পথনির্দেশ অনুযায়ী তারা পৌঁছলেন রামমোহ লেনে। খুঁজে খুঁজে নির্দিষ্ট বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন তারা। দেখতে পেলেন বাড়ির দোতলার বাইরে দেওয়ালে 'সুমতি কোচিং সেন্টারের' একটা ফেস্টুন লাগানো আছে। বাইরে দু'চারজন ছাত্র যাতায়াত করছে। তাদের একজনকে থামিয়ে জ্যোতিষ বাবু শুধালেন-- বাবু ! এই কোচিং সেন্টারে কোচিং নাও নাকি?

            ‎ছেলেটি বলল-- হাঁ স্যার!

            ‎জ্যোতিষ বাবু বললেন-- আমার ছেলেকে এই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করতে চাই, কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে বলতে পারো ? এই কোচিং সেন্টারে কি ভালো কোচিং দেয় ?

            ‎ছেলেটি বলল-- হাঁ স্যার। কোচিং সেন্টারটা খুব ভালো। এই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভাশিসদার সঙ্গে কথা বলুন। উনি এই কোচিং সেন্টারটা চালান।

            ‎ছেলেটির তাড়া ছিল। 'আমি আসছি স্যার' বলে বেরিয়ে গেল । টাউনবাবু এগিয়ে গিয়ে কলিং বেলে চাপ দিলেন। নিচের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ পরে একজন ভদ্রমহিলা দরজা খুললেন। সামনে অনেক পুলিশ দেখে ঘাবড়ে গেলেন। তার মনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে জ্যোতিষ বাবু বললেন-- আমাদের দেখে ঘাবড়ে যাবেন না। আমরা এসেছি শুভাশিসের কাছে। আমার ছেলেটাকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দেব বলে।

            ‎একথা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ভদ্র মহিলা। চিৎকার করে ভদ্রমহিলা ডাকলেন-- শুভাশিস ! ও শুভাশিস !! বাবা ! এদিকে একটু আয়।পুলিশের লোকজনেরা এসেছেন তোর সঙ্গে কথা বলতে।

            ‎মায়ের গলা শুনে ঘর থেকে বার হয়ে এলো শুভাশিস। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে টাউনবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে সে বলল-- স্যার! আপনারা?

            ‎জ্যোতিষ বাবু বললেন-- আমরা এসেছি তোমার সঙ্গে একটু কথা বলতে।

            ‎নিচের তলার ঘরগুলো বোধহয় লোকজনে পরিপূর্ণ ছিল। কথাবার্তা বলতে গেলে একটু সময় লাগবে। নিচে বসার জন্য ব্যবস্থা করলে সকলে গাল হাঁ করে কথা শুনবে। এসব কথা চিন্তা ভাবনা করে শুভাশিস বলল-- তাহলে দোতালায় আমার অফিস রুমে চলুন স্যার!

            ‎টাউনবাবু বললেন-- ঠিক আছে, তাই চলো।

            ‎নিচে পুলিশ ফোর্সকে অপেক্ষা করতে বলে শুভাশিসের সাথে টাউনবাবু এবং জ্যোতিষ বাবু দোতলায় উঠলেন। দেখতে পেলেন স্কুল-কলেজের মত পুরো দোতলাটা কয়েকটা রুমে বিভক্ত। প্রতিটি রুমে চেয়ার টেবিল পাতা। শিক্ষক মহাশয়দের জন্য চেয়ার-টেবিল ছাড়াও ব্ল্যাকবোর্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম আছে প্রতিটি রুমে। সিঁড়ি থেকে দোতালায় ওঠার মুখে ছোট্ট একটা অফিসঘর আছে শুভাশিসের। তার পাশেই কোচিং শিক্ষকদের জন্য একটা ওয়েল ডেকরেটেড রুম। সব রুমগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া। আছে পর্যাপ্ত লাইট, পাখা। এমনকি এ.সি-র ব্যবস্থাও আছে। আছে লেট্রিন ও জলের ব্যবস্থা।

            ‎সাত-পাঁচ ভেবে শুভাশিস তাদেরকে নিয়ে গিয়ে বসালো তার অফিস রুমে। নিজেও বসে পড়ল একটা চেয়ার টেনে। একেবারে মুখোমুখি ভাবে। শুধু মাঝখানে একটা টেবিলের দূরত্ব । জ্যোতিষ বাবু দেরি না করে শুরু করলেন জিজ্ঞাসাবাদ।

            ‎-- আপনারই কোচিং সেন্টারে কত জন ছাত্র-ছাত্রী আছে?

            ‎-- তা প্রায় ছ'শ'র কাছাকাছি। জবাবে শুভাশিস জানালো।

            ‎-- এত ছেলে মেয়ে এখানে কোচিং নিতে আসে? 

            ‎-- আসে স্যার ! বিভিন্ন রকম সরকারি চাকরি এবং কম্পারেটিভ পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এখানে। ক্লাস এইট থেকে বি.এ, বি.এস.সি, বি.কমের ছাত্রছাত্রীরা এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসে। এখানে অতিরিক্ত কেয়ার নিয়ে তাদের পড়ানো হয়, যাতে তারা ভালো মার্কস পায় ক্লাসগুলোতে। স্ট্যান্ড করে। চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে।

            ‎-- তা এত জন ছাত্রছাত্রীর হিসাব রাখো কি করে? টাউনবাবু ভেবেচিন্তে শুভশীষকে শুধালেন।

            ‎-- আমরা স্যার একটা রেজিস্টার মেইন্টেইন করি। জবাবে শুভাশিস বলল-- না হলে হিসেবে রাখব কি করে ? কে, কবে থেকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হচ্ছে, কে ছেড়ে যাচ্ছে, কোন মাসে কারা মাইনে দিচ্ছে, কার বাড়ি কোথায়, এসব কিছু লিখে রাখতে হয়। হিসেবে রাখার জন্য। সুবিধা অসুবিধার জন্য। এমনকি ছাত্রদের বাড়ির ফোন নাম্বার পর্যন্ত লিখে রাখা হয়।

            ‎জ্যোতিষ বাবু বললেন-- ছ'শ ছেলে-মেয়ের প্রত্যেককে তুমি বাইনেমে চেনো?

            ‎-- চিনি স্যার ! নতুন ছাত্র ছাত্রী জয়েন করলে প্রথম দু'চার দিন একটু অসুবিধা হয় ঠিক কথা, কিন্তু পরে সব ঠিক হয়ে যায়।

            ‎-- আচ্ছা এই ছেলেটাকে একটু দেখতো, চিনতে পারো কিনা?

            ‎এ কথা বলে নিজের ঝোলা থেকে মানস মিত্রের কয়েকখানা ছবি বার করে টেবিলের উপর সাজিয়ে দিলেন জ্যোতিষ বাবু। টাউনবাবু, শুভাশিস দুজনই ঝুঁকে পড়ে ছবিগুলো পরখ করলেন। শুভাশিস জ্যোতিষ বাবুর অনুমতি নিয়ে একটা একটা করে সব ছবিগুলো হাতে নিয়ে দেখাল। দেখে হতবাক হয়ে গেল। কিছু বুঝে উঠতে পারল না। এভাবে রেললাইনের ধারে মৃতের মত পড়ে আছে কেন ? সে কি সত্যিই মারা গেছে ? নাকি কোন ফিল্মের অভিনয় করছে। তারপর একটু ভাবনা-চিন্তা করে বলল-- স্যার ! আমি যদি ভুল না হই, তাহলে এক কথায় বলতে পারি, ছেলেটির নাম মনোজ মিত্র । আমাদের কোচিং সেন্টারে সপ্তাহে দু'দিন ফিজিক্স পড়তে আসত। সোমবার আর বুধবার। মানস খুব ভালো ছেলে স্যার। পরীক্ষায় সেভেন্টি ফাইভ পার্সেন্ট মার্কস রাখত। মর্কসটা একটু বাড়াবার জন্য কোচিং নিতে আসত।

          ‎-- ঠিকই ধরেছো তুমি। জ্যোতিষ বাবু বললেন- কিন্তু মানসের বাড়িটা কোথায়, সেটা আমাদের জানা নেই । তোমাদের রেজিস্টার খুলে এবার দেখো তো।

            ‎-- স্যার ! মানস কি সত্যি মারা গেছে ? রেজিস্টারের পাতা উল্টাতে উল্টাতে কৌতূহলবশত: জানতে চাইল শুভাশিস।

            ‎-- হাঁ শুভাশিস ! মানস মারা গেছে। রাজা রামতলা স্টেশনের অদূরে পাওয়া গেছে ওর লাস। যে লাস দেখে আমাদের মনে হয়েছে এটা আত্মহত্যা নয়, হত্যা। জ্যোতিষ বাবু ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে বললেন শুভাশিসকে।

            ‎সে কথা শুনে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো শুভাশিসের। মনের মধ্যে ভেসে উঠল একরাশ স্মৃতি। মানস খুব গরীব ঘরের ছেলে। বাবা মারা গেছে রোড এ্যাক্সিডেন্টে। মা নামমাত্র একটা পেনশন পায়। সেই পেনশনের পয়সায় কোনরকমে তাদের সংসার চলে। একথা জানার পরে তার কাছ থেকে খুব ন্যূনতম টাকা নিত শুভাশিস। ছোট ভায়ের মতো স্নেহ করত তাকে। সেই ছেলেটা এভাবে অকালে... চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে উঠল শুভাশিসের। টউনবাবু তার মনের টানাপোড়েন, হৃদয়ের ব্যথা বুঝতে না পেরে বললেন- শুভাশিস! মানসের ঠিকানাটা খুঁজে পেলে?

            ‎সেই মুহূর্তে শুভাশিস রেজিস্টারে খুঁজে পেল তার নাম। তা দেখে ধরা গলায় বলল-- স্যার !মানসের বাড়ি জগাছায়। ওর বাবা মৃত মানব মিত্র। গত ন'মাস আগে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিল। অঙ্ক আর ফিজিক্স ছিল তার মেন সাবজেক্ট।

            ‎জ্যোতিষ বাবু বললেন— শুভাশিস ! মানসের কোচিং সেন্টারে কোচিং নেওয়ার আবেদন পত্র, রেজিস্টার এর নাম নথিকরনের কাগজপত্র আমার লাগবে। কেসের কাজে এগুলো অত্যন্ত জরুরী। তুমি ওগুলো সব জেরক্স করে নাও। অরিজিনাল খাতাপত্র আমি সিজ করে নিয়ে যাব।

            ‎— ঠিক আছে স্যার! আমি এগুলো এখান থেকে করে দিয়ে দিচ্ছি।

            ‎ঠিক সেই সময় হঠাৎ জ্যোতিষ বাবুর মনে পড়ে গেল একটা কথা । তিনি সাথে সাথে শুভাশিস কে শুধালেন-- ঘটনার দিন, অর্থাৎ সোমবার ঠিক ক'টার সময় মানস তোমার কোচিং সেন্টার এসেছিল ? এবং ক'টার সময় এখান থেকে বার হয়েছিল?

            ‎—স্যার! আমাদের রেজিস্টার যাদের নাম নথিভুক্ত করা আছে, তাদের আলাদা করে কোন এ্যাটেন্ডেড রেজিস্টার মেইন্টেন করা হয় না। তবে ক্লাশ শুরু হওয়ার আগে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে একটা করে অ্যাটেনডেন্স শিট দেওয়া হয়। ছেলেমেয়েরা তাতে সই করে, জমা দিয়ে যায় চলে যাবার সময়। ওটা স্যার আমি খুঁজে দেখে আপনাকে জানাব। ওতে ফোন নম্বর ও সময়টা অনেক সময় লিখে দিয়ে যায় ছাত্রছাত্রীরা।

            ‎— ঠিক আছে, কাগজটা আমাকে দিও। ওটাও প্রমাণপত্র হিসেবে কাজে লাগবে। তারপর কি ভেবে জ্যোতিষ বাবু বললেন-- আচ্ছা শুভাশিস ! মানসের সঙ্গে ওদিক থেকে তার কি কোন বন্ধু-বান্ধব আসত ?

         —এই মুহূর্তে আমি তা বলতে পারবো না স্যার। মানসের সঙ্গে তার কোন বন্ধুবান্ধব ঘুরত, কে ওর সঙ্গে ওদিক থেকে আসত, তা ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞাসা না করে বলতে পারব না । ওরাই একে অপরের খবর রাখে। তবে স্যার এসব কিছু আমি খোঁজখবর করে রাখব। আমার কোচিং সেন্টারের কার্ড দিয়ে দিচ্ছি। ওতে আমার বাড়ির ঠিকানা, ফোন নাম্বার সব দেওয়া আছে। পরে ফোন করলে আমি বলে দেব ।

            আরো অনেক কথাই হলো শুভাশিসের সঙ্গে। দেখতে দেখতে বেলা অনেক গড়িয়ে গেল। টাউন বাবু জ্যোতিষ বাবুরা বার হলেন সুমতি কোচিং সেন্টার থেকে। টাউনবাবু একটা হোটেলে ওদের খাবার ব্যবস্থা করে দিলেন। তিনি আশ্বস্ত করলেন জ্যোতিষ বাবুকে, প্রয়োজন মতো সব খবর তিনি সরবরাহ করবেন। তদন্তের কাজে যা সাহায্য লাগবে তা তিনি করে দেবেন। তারপর বাগনান থানায় ফিরে আই.সি. সাহেবের সাথে দেখা করে হাওড়া ট্রেন ধরলেন।



----------------------------------------------------------------

    ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস।।  চতুর্থ পর্ব।। 

----------------------------------------------------------------

অঙ্কুরীশা

মতামত জানান 

ankurishapatrika@gmail. com

----------------------------------------------------------------            

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন