রবিঠাকুরের কথা
তন্ময় চট্টোপাধ্যায়
লিখবো আমি তোমায় নিয়ে কথা
ভাবতে আমার শরীর জুড়ে কাঁটা
শুনবে তুমি কেন এমন হল
শুনবে তুমিআমার ঘটনাটা ।
বললো মেয়ে এমন কিছু লেখো
ছাপতে পারি নতুন পত্রিকা তে
মাংস না হোক চাটনি যেন হয়
দিতে পারি বিদগ্ধজন পাতে।
ডেকে ডেকে পাগলপারা আমি
এসো নাগো ঠাকুর বাবা পাশে
তোমায় নিয়ে লিখবো মনের আশ
শুনে ঠাকুর মুখ লুকিয়ে হাসে।
বললে ঠাকুর নিজেই শুরু কর
আসছি আমি একটু খানিক পরে
সকাল থেকে কাগজ কালি নিয়ে
বসে আছি দোতলারই ঘরে ।
ঘন্টা খানেক পরে ঘেমে নেয়ে
বললে ঠাকুর আমার দিকে চেয়ে
এখন কি আর লিখতে আমি পারি
লেখার সঙ্গে এখন আমার আড়ি।
ছুটির দিনে আমার অনেক কাজ
বাজার করা রেশন আনা বাকি
লেখার সময় লিখেই গেছি শুধু
এখন আমি শুধুই মারি ফাঁকি ।
বলনু আমি এমন কেন বলো
কোন কিছুই রাখো নিকো ফেলে
ইচ্ছা মনের শুধাই তোমায় আমি
এসব কথা বলার সুযোগ পেলে ।
রবিঠাকুর এলেন অনেক পরে
খাবার দাবার গুছিয়ে রান্না ঘরে
ঘেমে নেয়ে একশা হলো জামা
ঘামের ফোঁটা পড়ে পায়ের পরে ।
দুজন মিলে অনেক কথা হবে
কথা বলার লোক ই আমার কম
লোকে ভাবে কাজ কিছু মোর নাই
মিলিয়ে গেছে কাব্য লেখার শ্রম ।
কখন জানি এই ভাবনার ফাঁকে
ঠাকুর এসে বসলো আমার পাশে
বললো কাগজ কালি সবই নয়
লেখা কিন্তু ভেতর থেকে আসে ।
চমকে উঠে দেখি মাথায় হাত
মা বলছে আমায় আদর করে
এতো বেলায় ঘুমায় নাকি কেউ
সূয্যি কখন গেছে পাটের পারে।
লজ্জা পেয়ে রাগছি নিজের মনে
এসেছিলো রবিঠাকুর বাগে
রেখে দিতাম মনদেরাজে পুরে
জানা যদি থাকতো খানিক আগে ।
এমন কথা ভাবতে ভাবতে কতো
রাত কেটেছে ‘নেইকো ঘুমের “ত্রাস
ক্ষতির থেকে লাভ ই হলো বেশি
বেশ সহজে হচ্ছে টাইম পাশ ।
রবিঠাকুর তোমায় মনে পড়ে
যখন ছিলেম আমার মায়ের ভ্রুনে
সারাজীবন বৃথাই গেলাম ছুটে
মরবো আমি তোমার কথা শুনে ।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন