মল্লভূম
মালভূম মালভূম একে মল্লভূম বলে কারা?
মল্লবীর ঘটিত তেমন ইতিহাস গন্ধ কই!
দুর্বল ভিতু কিছু মানুষের ভূম তবু মল্লভূম নামে ডাকে।
এখানে রত্নাকর বাল্মীকি হননি তিনি বৈষ্ণব।
রুক্ষ মাটি আর প্রবল তৃষ্ণা জলশূন্যতার রোগি
ধু ধু লালমাটি কাঁকড়ের দাঁত টিলা আর পরিখায়
উদাসীন বাসর পাতে।
জানি কারও অভিজ্ঞ চোখ সেখানে খোঁজে অনিবার্য
ঘুঙুরের বোল হতাশার আস্ফালন নেই এদিকওদিক দেখুন
তামাটে রঙের মানুষেরা ঝিলমিল গা গতরে
কৃষ্ণরাধাসখি সেজে বৃন্দাবনে দোলে .....
নীরস মাটিতে কত টান পেতে কান শুনুন বর্গীদস্যুর
উল্লাসরব ক্লান্ত ঘোড়ার পায়ের অনিচ্ছুক প্রতিশ্রুতি
ব্যঙ্গ করে সহজিয়া অকুশল যুদ্ধজীবীকুল।
তবু গাই সমরবিজয়গাথা ধন্য তুমি মল্লভূম
পতিতউদ্ধারব্রতে পরাজয় গ্লানিময় হয় কি কখনও?
মায়াটাঁড়
যে প্রান্তরে সূর্য ডোবে গভীর বিষাদে কিছুটা বিরহে জ্বরোজ্বরো
সন্ধ্যায় কিশোরী বধূটি
তার প্রিয় তরুণের জন্য নীরব লম্বাশ্বাসে দরজায় সাঁটা এক জিশু কন্যা।অস্তযাত্রী ঘরের বুড়ি
দৈনন্দিন ঘুঁটে শিল্পে উঠোন সাজায় আর খুশখুশ কাশে।দু একটা ছাগল খুরের শব্দ অভিজ্ঞানে
জানায় তারা আছে।হাসির ধমকে ম্লান স্ত্রৈণ হাঁসের জবাব, দামাল মোরগের পৌরুষ সোল্লাসে বাজে।
বালিকা রাত্রি নতুন পুলকে প্রান্তরে একলা কুঁড়ের ঘুপচিতে বাসন্তী স্বর্গ রচনা করে।
কানেকানে গুনগুন অজস্র না আর অনেক পাওয়ার তরল আঁধার মাখামাখি।কালোতেই এত সুখ!
বুড়িমার শ্বাসকষ্ট কম হলে সেই প্রান্তরে একাকি বটের তলায় কুঁড়ে ঘরে শুরু গ্রামীণ প্রেমকাব্য
কথা বা কবিতা- গান একটুও ফারাক নেই।হয়তো শাড়িটি ছিঁড়লে জমাটি অহংকার হারাবে তার
আশার কল্পকথা।ছুটন্ত লোভী চোখ মুছে নেবে ক্লান্তি ক্লেদ।মায়াটাঁড় টেনে নেবে বিরহী শীতের
শেষ বিকেলে বটের পাতা ঝরার সিম্ফনিতে বাঁশি বাজা গোচারণ বেলায় ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন