কাটলো অমানিশা
কণ্ঠে তোমার শুনেছিলাম
শিকল ভাঙার গান,
তর্জনীতে জেগে ওঠার
ছিলো আহ্বান ৷
নিকষ আঁধার মাঝে তুমি
দিলে সঠিক দিশা,
আলো ঝলমল হলো যে পথ
কাটলো অমানিশা!
পিতা তুমি দিলে এ দেশ—
স্বাধীনতার সুখ,
ইতিহাসে চির ভাস্বর
তোমার দৃঢ় মুখ!
শরৎ ভোরে
শিউলি ফোটা শরৎ ভোরে
ভাঙলো খুকির ঘুম,
শুভ্র সাজে কাশফুলেরা
খুকিরে দেয় চুম।
ঝিরা বাতাসে ভেসে চলে
সাদা মেঘের ভেলা,
খুকুমণি মেঘকে বলে
এসো করি খেলা।
ফুলপরি আর প্রজাপতি
খুকির কানে কয়,
শরৎভোরের আলো মেখে
করবো সবই জয়
স্বপ্ননীলের মন ভালো নেই
স্বপ্ননীলের মন ভালো নেই
খেলার সাথি পাচ্ছে না,
একা একা লম্বা ছুটি
মোটেই ভালো যাচ্ছে না!
লেখাপড়া টিভি দেখে
যায় কেটে তার সারাদিন,
খাঁচার পাখির মতো খোকন
হয়েছে আজ অন্তরিন!
মুক্ত-মনের যে ছেলেটা
বেড়াতো যে দাপিয়ে,
না পেয়ে হায় খেলার সাথি
ওঠছে যেন হাঁফিয়ে!
জানে না সে কবে পাবে
আগের প্রিয় পরিবেশ!
আসবে কবে আবার ফিরে
জীবন জুড়ে সুখের রেশ!
খুকি
ফুল তুলে মালা গাঁথে
খুকি রোজ ভোরে,
সূয্যিটা উঁকি দেয়
আকাশের দোরে ৷
সে মালায় সেজে হয়
পুতুলের বিয়ে,
একা খুকি পায় ব্যথা
মেয়ে তুলে দিয়ে।
আসে ঘরে মেয়ে ফিরে
মালা হলে বাসি,
প্রাণ ফিরে পায় খুকি
মুখে ফোটে হাসি!
একুশ
ক-তে কলম
খ-তে খাতা,
একুশ বাংলা বইয়ের পাতা।
গ-তে গরু
ঘ-তে ঘাস,
একুশ বাঙালির দীর্ঘশ্বাস।
ঙ-তে ব্যাঙ
চ-তে চাকা,
একুশ আগামীর স্বপ্ন আঁকা।
ছ-তে ছবি
জ-তে জল,
একুশ মোদের বুকে বল
ছ-তে ঝড়
ঞ-তে মিঞা,
একুশ গর্বে ভরে হিয়া।
একুশ আশা
একুশ হাসা,
একুশ আমার
মায়ের ভাষা।
একুশ হুংকার
একুশ ঝাঁজ,
একুশ চেতনা
মাথার তাজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন