ফের অশ্লীল শব্দ
কচি পাঁঠার মাংস আর রুটি। জোছনা রাত।আর ঐ কালো কুৎসিত একটা বিধবা বউ। রান্না শেষ।
-দাদাবাবু আমি তাইলে যাই?
অন্ধকারে এক অদ্ভুত দর্শন। দেহের প্রতিটা অঙ্গ যেন জোছনায় স্নান করছে। সাদা শাড়ি। এতো অপূর্ব সুন্দরী। আমি সামান্য সুরাভুক্ত হলাম। নেশা লেগে গেল। আঁধারে অতি কুৎসিত ও ঐশ্বরিয়া রাই হয়ে যায়।
অলংকরণ-বিমল মণ্ডল
পেত্নী
ঝড়ে পড়ে যাওয়া বট গাছের নিচে বসে পেত্নী আমফানকে বলল।
-ওঁরে গাঁছটাতো ভাঙলি এঁখন থাঁকব কোঁথায়?
-কে তোকে বলেছিল গলায় দড়ি দিয়ে মরতে?
এখন বোঝ কত ধানে কত চাল। যত সব ব্যর্থ প্রেমিকার দল।
রাগে গজ গজ করতে করতে পেত্নী বলল
- মঁরেও শাঁন্তি নেঁই গাঁ।
অলংকরণ-বিমল মণ্ডল
আরো একটা রাত
একটা ভিডিও কল আসছে ক্রমাগত। অনন্ত চেনে না কলটা কার। তাই ধরছেও না। পাশে বউ শুয়ে।
-কি গো এত রাতে কার ভিডিও কল?
- জানি না।
- জানো না তো ধরো কেন? বুড়ো বয়সে নস্টামি। ছিঃ।
আবার। আবার কল।
কে হতে পারে? তবে কি পারমিতা?
আবার কল। ঐ একই আইডি থেকে।
এবার ধরে কি একটা বলতে গেল অনন্ত।
এত চেনা মুখ। বউ।
অলংকরণ- বিমল মণ্ডল
পাখি
রবীনকে ডাকে প্রতিদিন মেয়েটা। একটা বাজে পাড়ার মেয়ে। রবীন রোজ ওখানে মদ খাওয়ার জন্য যায়। আজ তার ডাকে সাড়া দিয়ে গেল ঘরে।
-আমি কি তোমাকে খেয়ে ফেলব?
-না
-তবে? তুমি আমাকে বাজে মেয়ে বলে আসছিলে না। বুঝি। আসলে আমাকে চিনতে চাইছ না।
-কে তুমি?
- আমি পাখি। তোমার পাখি। গ্রামের পাখি। সেই যে আমি তোমাকে ছেড়ে বুদ্ধর সঙ্গে বিয়ে করে কলকাতা এলাম। আমি সেই।
- পাখি?
অলংকরণ- বিমল মণ্ডল
স্কুল থেকে
একটা ফোন।
-হ্যালো।
- আপনি ইসিকার বাবা বলছেন।
- হ্যাঁ বলছি।
-ইসিকা অসুস্থ, এখুনি আসুন।
স্কুলে যেতে মাত্র আধ ঘন্টা নিলাম। সকলে মিলে ধরা ধরি করে গাড়িতে তুলে দিল। হাসপাতাল। লেডি ডাক্তার চেক আপ করে বললেন - মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান কিছু হয়নি।
রাত জেগে মোবাইল ঘেঁটেছে ঘুমিয়ে পড়েছিল।
হা ভগবান।
যেকোনো বিভাগে অপ্রকাশিত লেখা পাঠান
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন