ভক্ত গোপাল ভট্টাচার্য
কল্পনা ফোটে
আজ আকাশকে খুঁজে পেলাম
হারিয়ে গেছে স্রোতের কলতান
বিশ্বে লক্ষ তারার অশ্রুর অবিচ্ছিন্ন আহ্বান
উত্তাপ, পরমাণু রাসায়নিক পরীক্ষা ।
জীবনের নাড়ির টান ছিন্ন হয়ে গেছে
ভূমিগর্ভ দাগ , বিচ্ছিন্ন
সাগরের জলস্ফীতির কম্পনে অসংবৃত ।
ছদ্মের সংসারে কানামাছি খেলে বাঁচা
সে দিনকার ছেলেরা আঙুল খেলায়
কত কথাবার্তার পর চাঁদে বে-সরকারি যান চলাচল
মর্ত তো খেলে , স্বর্গকে খাবে ভাবছো ?
নির্জন ঘরে বসে কল্পনা ফোটাও মনের মালঞ্চে ।
সব দিকে চিতা জ্বালিয়ে
শান্তি নেই তোমাদের
মৃত্যুর মাঝে যে শূন্যতা, বৃক্ষ শুধু স্বাদ বোঝে
অরণ্য বোঝে বিষাদ প্রকৃতি, হাহাকার
মৃত্যুর মাঝে অবিরাম ঢেউ, শূন্য...
কোনো দিন আলোতে আসিনি
সবার জীবনটা শুরু প্রশ্ন চিহ্ন দিয়ে
কাহিনী বিশ্বাস করা উচিত নয়
দিনের আলোতে যে ভাবে দেখতে পারি
রাত্রি কি কাছাকাছি এসেছে কোনোদিন ?
যে বন্ধু কোনোদিন আলোতে আসেনি
নির্জন রাস্তার পাশেদাঁড়িয়ে পাঠিয়েছে কিছু,
জীবনের যে পৃষ্ঠায় কালির দাগ রয়েছে
আমি মুছে ফেলতে চেয়েছি বারবার
আমার ঝড়ে পড়া ঘাম গুলি দিয়ে ।
জীবনের ক্ষীণ আশা প্রান্ত ছুয়ে আছে
হাতের মুঠো খড়কুটো ভরা আছে ভেবে ।
কখনো ভেসে ওঠে বেঁচে থাকা
নিঃসঙ্গ এক অন্ধ- কুটুরি ,
শুধু গন্ধে অনুভূতি, তাকে ঘিরে
পান পাতার লতার মত কাঁটা তারের বেড়া
নদী আর বিশাল অরণ্য –
এর মাঝে বেঁচে থাকে রাতের স্তব্ধতার আকাশ
হলুদ কমলা রঙে , এই আশা টুকু নিয়ে ।
বেনিয়মের খেলা
দেবতারা আর আকাশে থাকে না
দৈত্যরা আর পাতালে নেই
এখন বসবাস করে সমতলে।
সব অস্ত্র হাতে নিয়ে দূর্গা সাজে না কেউ
অসম্ভব উৎসব আর সাজানো যুদ্ধ
সবাই সুতোকাটতে ব্যস্ত
জাহান্নামে যাক না পৃথিবী।
ছুটতে পারছি না , ক্লান্তিতে থেমেছে উচ্চারণ
বসন মুক্ত করে গেঁথে দাও
ক্রুশবিদ্ধ যিশুর আসনে ,
বে -নিয়মের খেলায় , সাদা মেঘেদের
তাড়িয়ে দিতে ব্যস্ত।
বৃষ্টি ভরা মেঘগুলি জমে ছিলো নদীর ওপারে হারিয়ে গেল...
আমরা ভাসমান নৌকায় , প্রতিক্ষায়
জানি না কি , বুঝিনা ওদের নাম
কথা বলে না গান গায় না
স্রোতে আছি, মনোবল নেই ।
সোনালি সূর্য
কাল দুপুরে সূবর্ণলতা দেখার পর
অবসন্ন হয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছি
জানালা খোলা দরজা বন্ধ
ঝকঝক করছে আকাশ, পড়ন্ত বেলা
সোনালি সূর্য অস্তমিত ঢালু আকাশে ।
নিশ্বাস যতদূর পৌঁছয় টলে পড়ছি
আমার স্বপ্ন কি হিরের আংটি, না বৃন্দাবন
বাজে শ্যামের বাঁশি, কত সুখ লুকানো
ভাবি সবার মুখতো লুকানো থমথমে,
নতুন কোনো খবর এলো কি পৃথিবীর কাছে
সবাই এক রাস্তার পথিক ।
মড়কে ছেয়ে যাবে কি পৃথিবী ?
মোমবাতির ঢেউয়ের মতো হৃদয় কাঁপছে
আকাশে কত কৌতুহল বাঁকি আছে
প্রতিদিন গৃহবন্দী , দুঃখে ভরা
কান্নার পরে তো সুখ লুকানো থাকে
স্বপ্ন নদীর ওপারে ।
সবে চাঁদ উঁকি দিয়ে বলছে
জ্যোৎস্না ভরা পৃথিবী
হঠাৎ ঘুম ভেঙে স্বপ্নের আশায় বেঁচে...
আঁকড়ে ধরতে চাই
আমাদের জীবন অপরিমান রহস্যে ভরা
আমরা কেউ কি তা জানি ?
বিশ্বলোকের বিপুল দাবী , কানাকানি কতটুকু জানি ।
লোভ , ধৈর্য নেই, দিকে দিকে ঝড়ে পড়ছে ঝরে
কখনো ভাবি আপন জন ভালোবাসার
বাঁধন থেকে কি করে ছেড়ে দেয়,
নতুন করে আপন করে
পূর্ণ হয়ে পূর্ণ করে ।
আমার যে প্রাণ , তোমায় নিত্য ডাকে
জীবন লীলায় বস্তু ছাড়া সকল পাওয়াই অনিশ্চিত
বস্তুটাকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে চাই
মেকি মেকি মেকি ।
ছিন্ন করো না, অন্ধ কর না দুচোখ
মন তো পিশাচ , চেতনা চৈতন্য বোধ লুপ্ত করে
অনুভব করতে চাও শুধু স্বাদ।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভরে আছে কালিমা
যদিও সহজ নয় ব্যবধান পেরিয়ে আসা
সে তো শুধু আমার মধ্যে আবদ্ধ নয়
তবু মানুষ, কেন ধরে মানুষ কে...
লেখা পাঠান
অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন