আত্মহত্যা
আমার আর আত্মহত্যা নেই
ছেঁড়া ছেঁড়া বিষাদ গুলো এক একটা
মরুভূমির সৈাদি নদীর কিনারায়,
আমি এদেরকে এক ফালি মেঘ বলেই জানি।আমার আটচালা ঘরে যে উর্বরতা ছড়িয়ে থাকে কখনো তাকে নখের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে পারি না।
আসলে এখান থেকে উত্তরণের কোনো জায়গা নেই আমার। কলিজার ভিতর ফুটো ফুটো দাগ থাকে অথচ এখনও তাদের ঘুমিয়ে রাখি নিজের অজান্তেই কোন গাছের তলায়।
নিজেকে কখনো ঘুমোতে দেই না রাত্রিকালে। নখের ডগায় এসে যায় গোটা শরীর,
আমি কখনোই সে গুলোকে বৃষ্টি বলে মনে করিনি।
আমার পায়ের তলায় যে নারী এসে খেলা করে আমি তাকে ছুঁতে দিইনি আমার লোমকূপ।
দৃঢ়তা নিয়ে একটা ছায়ার কাছে দাঁড়ালে কখন আরেকটা শরীর হয়ে যাই।
পুরুষ ফুল
সব রাতেরই একটা দিন থাকে ,
সব দিনের একটা আলো থাকে
এখানে মায়া নেই বলেই সকলে আমরা সন্ন্যাসী। আগে যারা রাত্রিতে হোঁচট খেয়ে পড়ে উনুনের ধারে, তাদের ছায়া লাল ধুতি পুরোহিত পুরুষের।এরা মাথায় ফুল নিয়ে শিব ঠাকুর হয়ে যায় প্রতিটি দিনের বেলা। আমি ছবি বলে ভাবি সুপারি ডাটার মত অসংখ্য চেহারায় কালো কালো, সাদা সাদা এদের রাত্রে উঠে যেতে দেখি আমার পিছু পিছু অনেকেই নৌকা হয়ে গেছে, মাঝি হয়ে গেছে
পুরুষ খেলা করে গ্রামের সিরিশ ডগায়।
দাম্পত্য
সামন্ত দিদি এখন শালগ্রাম নিয়ে
বাড়ি পাহারা দেয় শুকনো খড়ের উপর
যারা হাঁটে তাদের চোখ আটকে থাকে
নুয়ে পড়া গঙ্গার দিকে। রানা পুকুরের পাড়ে অনেকদিন দাম্পত্যে শুয়ে থাকার
কথা বলে ধীরেন মান্না স্ত্রীর সাথে,
বাসন্তী পূজার আকাশী রঙের রামায়ণের
ভিতরে সাদা ধোঁয়া উড়ে যাচ্ছে। শুওপোকা নিয়ে সাঁতরে পার হয়ে যাচ্ছে অপর পারের চেনা গৃহস্থ
হাঁটু মুড়ে বসে আছে মন্টু আচার্য।
চন্দ্রবোড়া গলায় নিয়ে কালী ঠাকুরের
ধ্যান করছে প্রতিমাসে, বর্ষায় সকল
নপুংসক স্বপ্ন দ্যাখে।
নাড়ী যোগ
বাবা এক অদ্ভুত পুরুষ,
মায়ের নাড়ি ছিন্ন করে অদ্ভুত
এক-তন্ত্রী আমার শরীরের ভেতর বইয়ে দিল।
আমি দুই হাতে ছিঁড়ে ফেলতে চাইছি
সমস্ত শিখর আল। কখনো এসে থামে নি,
আমি মরুভূমির গভীর ক্ষুধা দেখতে চাইছি। এখানে কেউ আর পেট ও পিঠ আলাদা করে দেখছে না। কত নিস্তব্ধ সুখে এরা সকলেই আগের মন্ত্র শুনিয়েছে। আগে আমি মাটি দেখতে দেখতে কখন এক নির্মোহ কঙ্কালের করোটির স্নায়ু হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই দূরে থাকা নক্ষত্র যাত্রী দুঃখের প্রজাপতিরা আমার উঠোনে কতটা বিষাদ ছড়িয়ে গেছ, আমি আমার সন্ন্যাসী রঙের বিষাদ গুলো জারণ করে এক অলৌকিক
ডিভাইন হয়ে গেছি।
বিকল্প ধানক্ষেত
যারা বিকল্প ধানক্ষেত থেকে উঠে এলো
তাদের পায়ে এখন সংক্রমনের দাগ।
অনেক রাত্রে মাঠে গিয়ে বসে থাকে
নিজের কারুর জন্য। এরা কেউ
চেনা শহর বুকে রাখেনি, শাড়ির ভাঁজে
লুকিয়ে রাখে দশ টাকার কোন ওষুধের প্যাকেট। যে নারী কথা বলতে না পারলেও
ঠোঁটে বিকেলের লিপস্টিক রং মেখে নেয়।
আমি দেখেছি শাড়ির ভাঁজের লুকিয়ে ফেলা দহন
আমি তাকে স্বর্গ থেকে নেমে এসে দেখেছি
অনেক আগে, তার মধ্যে কোন পুরুষ
বাসা বেঁধেছে আমি তার নীলনদের
অসম্ভব হয়ে যাওয়া আলো দেখতে দেখতে অনেকটা খোলা মাঠ করে দিয়েছি
সিভিক পুলিশ এসবের কোনো
খবর রাখে নিয়ে আজকাল।
লেখা পাঠান
অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
অদ্ভুত ভালো-লাগা মিশেছে কবিতার শরীরে। এককথায় অসাধারণ।
উত্তরমুছুনদাদা,আপনি ভালো থাকবেন।
মুছুন