লেবেল

শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

।। প্রতিদিন বিভাগ।। ।। মার্চ সংখ্যা।। ।। বিষয় - বসন্ত ( অণু কবিতা)-১৫।। নিমাই জানা-র কবিতা।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 



      ।।  প্রতিদিন বিভাগ।। 

         ।। মার্চ সংখ্যা।। 

 ।।  বিষয় - বসন্ত ( অণুকবিতা)-১৫।। 





নিমাই জানা-র   কবিতা 



১.
দুর্ধর্ষ বৃষ্টিপাতের পর ও ৯ কার মৃতদেহের অসনাক্তকরণ যোগ্য সমাধির নিচে আমাদের আবাসস্থলে তিনটি মৃতদেহ অযৌক্তিক পাগলা গারদের ৩.৭ লক্ষ যৌন জীবাণু উপড়াচ্ছে , আমি পৃথিবীর মাত্রাতিরিক্ত বিষধর আঙ্গুর গাছগুলো উপড়ে দিয়ে আঙ্গুল দিয়ে গর্ত খুড়ি নেশা করি উলঙ্গ রক্তের পলাশ মেশানো অপ্রীতিকর ওষুধের হারামি দোকানে স্ট্র বেরি ফ্লেভারের ঘুম কিনে রাখি, unwanted 72 বিলের দুর্ধর্ষ কাব্যগ্রন্থের ধ্বনিতায় যক্ষ্মার কোন তুলসী গাছ নেই , আমি অদ্ভুত পাপেট শো থেকে কিনে আনি নিজের পিতার গোলাপ ফুলের রজঃ রক্ত মেশানো একটি ইস্পাতের চারাগাছে , এতোক্ষণ আমার টকটকে চেরা চেরা জিভকে নির্বীজ করে রেখে গেছে আমার জন্য, হে অলৌকিক পুকুরের গান্ধর্ব বণিতার টিস্যুপেপার কাছে এসো লাল রঙের সিল্যুয়েট পাথরের হরিণী শুকর বাচ্চা সারারাত মৃত মানুষের তালব্যের দুর্দশাগ্রস্থ ঋতু কণিকা দিয়ে ঘন্টা বাজাও, স্পেনীয় নৌসেনাটি এখনো অন্ধকারের যক্ষ সংশোধনাগারে কিউবিক ডলারে দেহের বন্দরজনিত মাংসের খরগোশ চিবিয়ে চিবিয়ে উদরফূর্তি করে ,
বিশ্বামিত্র তিন দিন হল আত্মহত্যা করেছেন


২.
সব পিতামহীন সমর্পণ সংখ্যক নদীর চ এ কার চৈতন্য সম্রাট দৈত্যের মতো প্রাচুর্যহীন দেয়ালে টিকটিকির মতো বিভৎস ঋতদ রস বের করে ছিটকিনি তোলা জানালার পাশে উঁকি মেরে দেখছে সঙ্গমের কিউট উল্কি দৃশ্য, নৈঋত ঋতু একাই থাকতেন একাকী হেঁটে হেঁটে যায় অডিটোরিয়ামের পাশ দিয়ে , লিডাম কফের ওষুধ মিশিয়ে যারা নেশা করে তারা জানে প্রাক্তন সৈনিক বোর্ডের নিচে সব ব্যথার ঔষধ গুলো কিলবিল করে গলায় শ্বেত করবি ফুলের মতো , ঋতুর ব্যাখ্যা হৃৎ কণিকা নিয়ে আমাদের কোন অনাক্রমতা নেই এখানে বিষাক্ত বিজারণ কণিকা গুলো দিয়ে আমি পাপের ঈশ্বরকে ডেকে আনি। আঁশ ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে শুকনো বঁটিতে কেটে ফেলি চারফালা করে এত তামাটে ঈশ্বর এ জন্মে দেখিনি বলে নিজের শ্মশানতান্ত্রিক পরিচ্ছদের ভেতর হাঙ্গরের কাটা মুন্ডু লুকিয়ে রেখে ইস্পাতের শুকতারা গুঁড়ো করে খেয়ে নিই চায়ের কাপের মতো সদর স্তন খুলে , দুর্ধর্ষ রক্ত নিয়েই এসো কণিকা তোমাকে যকৃত বিক্রি করে সঙ্গমশূন্য হয়ে সাঁতার কাটবো গমের উদ্ভিজ্জ স্নায়বিক কেন্দ্রে , একটা নারী কোনমতেই আমাকে উটের মিউটেশন দিচ্ছে না মৃত্যুদণ্ডের পর


৩.
তিনবার ক্ষত্রিয় হয়েছি আমি চতুর্থ বারের সব লৌহার হুইল চেয়ার মেশানো কপর্দকের অক্ষৌহিনী দাঁতগুলো মৃত উটেদের পেটের ভেতরে ঢুকে যায় জ্যান্ত সাপের ক্ষুধা নিবারণের জন্য। পাহাড় চোখ দিয়ে নেমে আসে উটের ভীমরস , ছোট ছোট দৈবাৎ কুঠুরি গুলোতে ১৬ তম চিকিৎসার আগে তামাটের রোমকূপগুলো সিজারিয়ান ব্লেড দিয়ে চেঁচে চেঁচে পরিস্কার করছে জঙ্গল উৎপীড়নের মতো। আমি সেভিং রেজার সেবিকাদের দুই হাতের নখ ভেঙে ভেঙে অপারেশন থিয়েটারে একাকী কার্বলিক ছড়িয়ে সব পরিপন্থী দেশে কুড়িয়ে ফেলছি নৌকার কামার্ত আগুনের বাচ্চা  , হে দেবদারু গাছ এ জন্মের একটা বিছানা তৈরি রেখো। অনিষিক্ত চেম্বারের হাইড্রোলিক মলত্যাগের ইউটেরাস দাঁত দিয়ে  আমি মদের ফোয়ারার মতো নিজের সিরিসকাঠে দেশালাইয়ের চুম্বক জ্বেলে দেওয়ার সুড়ঙ্গ ফাটিয়ে বের করে আনি নিজের কঙ্কালের অধাতব বজ্রকৃতির টুকরো , ওৎপেতে আছে অজস্র কাঁকড়া বিছার চাষী এখন নিজের মুদ্রাদোষ ও লাল মাকড়সাকে বিশ্বাস করতে পারছি না কোনমতেই ।

৪.
বিস্ফোরণ ,  বিস্ফোরক বোমা ফেটে যাওয়ার মতই তীব্র চিৎকারে জ্ঞান হারা চুরমার হয়ে গেছি নক্ষত্রহীন হয়ে গেছি ভীষ্ম রকেটের মতো, নিহত হয়ে গেছি কসাই খানার মতো শক্ত আর্সেনিক অ্যালবাম পুরুষের ক্ষয় রোগের সম্ভোগ ইউরো ব্যাগের পাইপের মতো মিসমিসে জঙ্গলাকীর্ণ পাতাবাহারের স্থাপত্যের হাড়গোড় গুলি নিয়ে আমি চুম্বকীয় জলের তলায় তলদেশের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেও অতি লোহিত জুতো পরে মাঝ রাত উল্টো দিকে শুয়ে থাকা মৃতদেহের জন্য মাটির প্রদীপ তৈরি করি, এতো ফুলগুলো রেখে এসেছে কে জন্ম নক্ষত্রের মতো অতি দৈবিক কাঁচা হাড় গুলো পুড়ে পুড়ে যায় দেহ ভেঙে রস বেরোয় ফাঁকা মাথার করোটি শূন্য তরল দইয়ের মতো পুঁজ রসায়ন নিয়ে হাঁড়ি নিয়ে দৌড়ে বেড়াই নিষিদ্ধ পল্লীর দিকে , আঙ্গুলের ফাঁকে এত বিস্তীর্ণ মরচে পেরেক নিয়ে দৌড়ে বেড়ায় হাড় ভেঙে জন্মের নারী নদী প্রসব করে দ্রোণাচার্যের পুত্র , পিতা নেই বলে আমি উন্মাদ হয়ে গেছি কত কাল। প্রেমের গন্ধে পিতা নির্বাহের দিকে হেঁটে যায়। স্বপ্ন দেখি আগুন হয়ে নেমে আসে তিনি এতো ধীবর পুরুষের শৈথিল্য দাঁতে কে অ্যাসিটিক হাঁ করে লক লক করে চেটে চেটে খাচ্ছে আমার মায়ের যোনী স্থানীয় গোমতী , এসো লিউকোজেন সাদা স্রাবের চিকিৎসকের লাল নাড়ি ভুঁড়ি ধূপকাঠি জ্বেলে জ্বেলে মৃত্যুর ত্রৈরাশিক বরণ করি , অতীন্দ্রিয় সমর্পণের নিচে আমাদের কোনমতেই সুখদের জন্ম হচ্ছে না।


৫.
ডেভিল ডেড , দি গার্ডেন অফ ওমেন্স , মাইকেল পিয়ারসনের মতো অতি সনেট ধর্মী আগুনের নিচে বক্সাইট পাথরের কুন্ডের ভেতরে স্থাপত্য জ্বেলে জ্বেলে নিশ্ছিদ্র রোগীটি মৃতদেহ পাহারা দিয়ে নিজের মৃতদেহ খুলে খুলে দেখছে মৃত দেহের ব্রেসিয়ার বোতাম , লাল টিকটিকি জলের অনেক অতলে সাঁতার কাটছে তবুও পাহারা দেওয়ার কোন যৌন দখলদারি নেই , একটা বস্তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে অদৃশ্যমান আমার অদ্ভুত প্রতিবিম্ব হাড় থেকে মাংস গলে গলে যাচ্ছে ক্রমশ নদীর মতো রক্তমাংসের পুঁজ দলা পাকানো অথচ গ্যাস বেলুন উড়ছে মাথার উপর খুনের মত তরোয়ালের মতো পেরেকের মত নিষিদ্ধ যৌন বিজ্ঞাপনের মত। স্থাপত্যের যৌন , অতি রাক্ষস আমি তার নাভিতে গর্ত করি এলাচের গুঁড়ো ঢেলে দেই বরফের কুচি দিয়ে সাবান মাখাই তামাতে হীরক দূতির জানালা খুলে দেখি তার তরল ইরাবতী সমগ্র ,এত বিবস্ত্র চুম্বক আমাকে কোনদিন পাথরের মতো করে দেয়নি, উলঙ্গ ছায়াটি আমাকে বারবার তিথিহীন সঙ্গমশূন্য উত্তর মেরুতে নিয়ে যায়। সব চাবিকাঠি গুলো খুলে হি হি করে হাসি সব দরজায় দরজায় ঈশ্বরের যৌন দুর্দশার স্থাপত্য চিৎকার ধ্বংসের ধ্বনি বলাৎকার ভঙ্গিমায় প্যাথেটিক বিজ্ঞাপনে মনে রেখেছে কামুক সসীমের লিম্ফাটিক নট ভেরিজাইজ নৈঋত ক্যালিফোর্নিয়া হে আত্মার বিশুদ্ধ গৌতম , এই শাস্ত্রের শেষে আমাকে খুন করে জবাই আপেল খাওয়াও , গর্ভবতী অন্ধকারে ট্রপিক্যাল ডিম্বাণুর অন্তঃসত্ত্বা তলপেটে আঁচড় কেটে কষাটে কেন্নো ফ্লেভারের বমি করবো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন