দৃশ্য বদল
তপনজ্যোতি মাজি
কে ছোঁয়ায় জাদুদণ্ড? কে জাগায় আমার আমিকে?
ঘন দূর্বার আস্তরণে সবুজ খেলারমাঠে বৃত্তাকার বল
সুবর্ণ গোলক হয়ে পায়ে পায়ে ঘোরে। অধিকার ও
প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠার খেলা। সব যুদ্ধের চূড়ান্ত নির্ণয়
জয় পরাজয়।
ছায়াবৃত্ত পার হয়ে আলোর সমীপে বসেছে সীমাবদ্ধ
কৃতিরা। বায়ুপথে উড়ে যায় নীলসাদা বিমান। স্থির
মননেও জমে মেঘ। অশনি সম্পাতে ছিন্ন ভিন্ন হয়
শৌখিন সংসার। রাতের নক্ষত্ররা দৃশ্যের আড়ালে
থাকে দিনের আলোতে।
হে উদ্দালক হওয়া! তুমি কাকে নাড়া দাও? কার
চিত্তে চঞ্চলতা আনো? কে তোমার বার্তা পৌঁছে দেয় প্রেমিকার কাছে? প্রবুদ্ধ সংকেত উদ্ভাসিত হয়
উদাসীন মানুষের মুখমন্ডলে। সব ভাষা লিপি নির্ভর
নয়। বহমান স্রোতে ভেসে যায় মেধা। সব গণিতের
ভাগশেষ শূন্য নয়।
কথা না রাখার কথা দিয়ে গল্পের শুরু। পরবাস কি
বেছে নেওয়া যায়? নিবিড় পাঠের পর নির্জনতা চায়
মন। যে কোনো বীক্ষণ খুঁজে পেতে চায় সঞ্চারিত
অনুভবগুলি। বিশ্বাসের বহির্বাস ঢেকে রাখে কত শত
অন্ধকার। সব উন্মোচন কি আলোর দিশারী? সমস্ত
ভ্রান্তি গুছিয়ে রাখি আত্মচরিতে।
ভ্রান্তিহীন জীবন কি সম্ভব? কখনও কখনও যে মেঘ
জমে মনের নৈঋতে,তাকে পরিযায়ী পাখি ভেবে কে
দেখায় জলাশয়? কে দেখায় অচঞ্চল ছায়া বৃক্ষের
নীচে? ধীরে ধীরে বয়ে যায় বেলা। ধূসর হয়ে আসে
সবুজের বিন্যাস। দৃশ্যের আড়ালে লেখা হয় প্রান্তিক
মানুষের বিষন্নতা।
পথের প্রান্ত ছুঁয়ে আছে পথ। না দেখা মানুষের যে
বৃত্তান্ত লেখা আছে নৃতাত্ত্বিক গ্রন্থে তাকে মনে হয়
আর এক পৃথিবীর আখ্যান। হারিয়ে যাচ্ছে যে মুখ
গুলি,মনে রাখবো ভেবে প্রাচীন মানুষের মত গুহা
চিত্র আঁকি। ঋণ বাড়ে। জীবনের ঋণ। দৃশ্য বদল হলে ভেসে ওঠে অন্য আখ্যান।
_______________________
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন