।।প্রতিদিন বিভাগ।।
।। জুন সংখ্যা।।
।। বিষয় - মুক্ত (গুচ্ছ কবিতা) -৫।।
সুমন দিন্ডা - র কবিতা
১.
মহাকবি
প্রথম কবিতাটা লিখেছি বাবাকে নিয়ে,
দ্বিতীয় কবিতায় মাকে বানিয়েছি দেবী,
তৃতীয় কবিতায় বর্ননা করেছি স্ত্রীর সৌন্দর্য,
চতুর্থ কবিতাটি শুরু করেছি স্বদেশ নিয়ে,
এখনো শেষ করতে পারিনি।
সাড়ে তিনখানা কবিতা লিখে
নামের পাশে মস্ত কবি শব্দটা জুড়ে দিয়েছি...
মঞ্চের প্রথম সারি এরপর আমাকে ছাড়া
সম্পূর্ণ হবে কি?
২.
শিক্ষানবিস
প্রতিটি মুহূর্ত নতুন কিছু বলে
নতুন কিছু হাজির হয় সামনে,
পুরানো ফেলে এগিয়ে চলার ডাক
ভুল স্বীকারের বাড়তি মনোবল
ধীরে ধীরে হাঁটতে থাকে সাথে।
মুহূর্তরা এক একজন শিক্ষক।
এখন শিখছি পথ কুড়িয়ে নিতে
শিখছি চলা সংগ্রহ করতে।
একদিন মাল্যদান নিশ্চয়ই হবে...
৩.
সমুদ্র জানালা
এসেছো? কী পেলে?
সেতো হৃদয়ে... ডুবে আছে,
বোঝানো তো সোনার পাথর বাটি।
আসোনি? কী হারালে?
অহংকার না তাচ্ছিল্য? নাকি প্ররোচনা?
কোন হিসেবে আমরা ভাগ্যহত?
কেউ ফিরিয়ে দেবে না ঝাউবন
কেউ ফিরিয়ে দেবে না জ্যোৎস্না
কেউ ফিরিয়ে দেবে না সমুদ্র বিশ্বাস।
বালিয়াড়ির রূপকথা জানবে কীভাবে
ওই দূর শহরের এসিঘর?
৪.
সরীসৃপ
হোঁচট খেতে খেতে এগিয়ে চলি,
পরামর্শ আর শুভাশিস মেলে বিস্তর-
"এদিকে নয় ওদিকে, এভাবে নয় ওভাবে,
সামনে নয় পেছনে দেখাও, ঘুরিয়ে,
আড়াল রেখে আকর্ষণ বাড়াও।"
কিছুটা গায়ে মাখি,
বাকি ছড়িয়ে দিই ধানখেতে।
সবার কথা শুনলে আমিও ওদের মতোই...
মাথাটা তোলার চোখ সঠিক স্থানেই রাখি...
অবজ্ঞা নয়, শ্রদ্ধায় শিক্ষানবিস হই,
পা দুর্বল হতে পারে কিন্তু সংজ্ঞাহীন নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন