আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিষয়ক কবিতা -২৯
বাংলা আমার বাংলা
বীথিকা পড়ুয়া মহাপাত্র
বাংলায় গান গাইলে
আস্ত একটা মজা নদীতে জোয়ার
আসে দুকূল ছাপিয়ে,
যে বৈষ্ণবী সংক্রান্তীতে এসে
সংকীর্তন করলো তার ভাষা বাংলা,
আমাকে ভক্তিসাগরে ভাসিয়ে নিয়ে গেল
সেই সুর ও কথা।
জন্মের পর প্রথম ডাক মা শব্দের মতো
চলকে উঠলো আবেগপাত্র
যখন দোতারা বাজিয়ে পল্লীগীতি
ধরলো করিম চাচা।
আহা যেন মধু!
যেন নক্সী কাঁথায় ফোঁড় তুলে
কথা ও সুরের ঠাসবুনন!
ভরা মৌসুমে কৃষক কৃষাণীর গলা থেকে
ঝরে পড়লো যে উদ্বেলিত সুর
সবুজ প্রাণের পরশবাগে
তার নাম স্বপ্নসম্ভার!
দুকূল ছাপানো ছলাৎ নদীতে
তরী উথলে উঠলে মাঝির কন্ঠে
জাগে অপূর্ব এক সুর,
তা হতে পারে ভাওয়াইয়া বা ভাটিয়ালি,
শুধু জানি শুনলে আমার মন আনচান করে।
বলো কোন্ ভাষাতে আছে এমন মনিমুক্তোহীরে?
মোহনীয়া সুরে হৃদয়ে ঝরে কেষ্ট বাঁশীর সুর!
বরকত,সালাম জব্বরের
রক্তে ঝরানো একুশে ফেব্রুয়ারি
শহীদ হয়ে বুঝিয়ে গেছে
বাংলা ভাষা বাউলাঙ্গের গানের মতো
হৃদয়ে আবেগের দাগ রেখে যায়
স্পষ্ট প্রত্যয়ে আগামীর জন্য।

খুব ভালো লাগলো কবিতাটি। একরাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম প্রিয় কবি।
উত্তরমুছুন