প্রেমের কবিতা —১৪
দুরন্ত বিজলী
১.
একলা
কলাইখেতের সবুজ মাঠে দেখেছিলাম তাকে
ফর্সা মুখে শিশিরবিন্দু লেগেছে তার নাকে
দেখেছিলাম তাকে।
সেই দেখাটাই আস্তে আস্তে আকাশ হয়ে গেল
সেই আকাশের আগুন আভা হৃদয়ে স্থান পেল
আকাশ হয়ে গেল।
ছিলাম ভালো ছায়াপথে স্নিগ্ধ কোমলতায়
ফুটল ফুটে কদম্ব ফুল শূন্য সাদা পাতায়
স্নিগ্ধ কোমলতায়।
তারপর সেই আকাশ ঘিরে আঁধার ঘনিয়ে এলো
সেই আকাশের বুকে দেখি সেও হারিয়ে গেল
আঁধার ঘনিয়ে এলো।
এখন একা ব্যালকনিতে একলা দাঁড়িয়ে রই
সেই আকাশের বুকে খুঁজি, সেই তারাটা কই
একলা দাঁড়িয়ে রই।
২.
মরণ
এখন তোমার রাগটা ভীষণ! কথা বলো বেশি।
আমি কিন্তু তোমার কথায় করি না রেষারেষি।
শান্তভাবে বাড়িয়ে দিই আমার হাতটাকে,
তুমিও ধরো যত্ন করে, তুলে ধর আমাকে।
কিন্তু তুমি বকো কেন, মগ্ন থাকি বলে ?
তোমার কথাই লিখে রাখি কবিতাকৌশলে।
শূন্য হাতে এসেছিলাম, পূর্ণ করে দিলে,
আমার ব্যথায় ব্যথা পেয়ে দুঃখ ভরে নিলে।
রাগটা তোমার ভালোবাসার অনুরাগী ধরণ,
মরে গেলেও মরবে না এমনতরো মরণ।
আরও পড়ুন👇🏾👇🏾
❤️প্রেমের কবিতা পর্ব -১৩
--------------------------------
আজকের কবি —
বিকাশরঞ্জন হালদার।।
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/08/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_18.html
দুটি কবিতাই খুব সুন্দর। অনন্য সৃষ্টি।
উত্তরমুছুন