ব কু ল জা না
মুখহীন
আচ্ছা মৃণাল,
বলতে পারো, আমার মধ্যে এত ভাঙন কেন
যতটুকু গড়ি,
দিনের পর দিন ভাঙি নিঃশেষে
তুমি বলতেই পারো, তবেই তো সৃষ্টি
কিন্তু না, এ ভাঙন ধ্বংসের
যেন পৌঁছে যাই মৃত্যুর কাছাকাছি
আবার ফিরে আসি, কেন জানো, ভয়ে
তবু্ও জীবন থাকে না
শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকি ধ্বংসস্তুপের উপর
যেখানে কোনও আলো নেই মায়াবী হাত নেই
বন্যায় ধুয়ে গেলে গাছগাছালির কঙ্কাল পড়ে থাকে
আমারও হৃদয় তাই, যেখানে কোনও দিন লেখা হয় না
পল্লির সবুজ-কথা
এ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের নাম কী, মৃণাল।
মুক্তি পথ
সম্পর্কে যদি শ্লেষ আসে
তাহলে সে অমর থাকে না, তখন
প্রিয়ের চুমুতে কুটিল রক্তের দাগ
বজ্রকে প্রিয় সম্বোধনে দু'হাত তুলি
আসুক বিদ্যুৎ ভূমিকম্প চৌচির করুক বুক
অঞ্জলি ভরে কখনো আর নেবো না জল
দেবো না হাতে হাত শিশুর
উত্তম পুরুষ
অন্ধকার গলি পথে চলেছি
ভতন নামের এক যুবক এদিক ওদিক
পেছনে তাকাতে তাকাতে এগিয়ে চলছে
জমা আবর্জনার কাছে ঝুঁকে দেখছে অথবা বসে পড়ছে
ও জানে না যমজ সন্তান নিয়ে স্ত্রী খেয়েছে কি খায় নি
অথবা ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা
ফেলে দেওয়া জঞ্জাল থেকে তুলে নেওয়া
আনন্দ সামগ্রী ভর্তি পকেটে পকেটে
অথচ সুস্থতার নামে হেঁটে চলি অন্তহীন গলিপথ
খিদে
তারার দিকে তাকালেই পৃথিবীর সব কথা বলে দেয়
চাঁদের আলো ধার করে স্নিগ্ধ শিশির ঝরে এখানে
তারই তলে ধূর্ত শেয়ালের যাতায়াত বেশি
আর চাতক ডেকে যায় শতাব্দীর পর শতাব্দী
গভীর বিশ্বাসে বুড়ো তারা ঝরে পড়ে যেমন
অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহানের মাঝে আমিও তো নির্ভর হয়ে পড়ি।
পথহারা
মৃত্যু মুখে রোজ হাঁটি সবাই
প্রতি সকালে শিশুমুখ ফোটে উঠোনে
সারাদিন ধানখড়ের গন্ধ গায়ে মেখে
মাঠে মাঠে জুঁই ফোটায় দাদু কাকা বাবা ভাই
তারপর
আনন্দ বেচে ঘরে রাখে কঙ্কালসার জীবন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন