অঙ্কুরীশা-র পাতায় অন্য ক্যানভাসএর ২০বছর উদযাপনের বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে চলছে দুই বাংলার অনলাইন গল্প উৎসব"স্বল্প কথার গল্প''।উদ্বোধক হিসেবে পেয়েছি স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক সম্মাননীয় তপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে। বিশেষ অতিথি গল্পকার হিসেবে পেয়েছি সম্মাননীয়া মৌ মধুবন্তী এবং সপ্তদ্বীপা অধিকারী কে।আজ উৎসবের ষষ্ঠ দিনে আছেন দুই বাংলার দুই বিশিষ্ট গল্পকার আশিস মিশ্র এবং শাহ্ নাজ পারভীন। আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ। উৎসব টি উপভোগ করুন। আপনাদের লাইক ও কমেন্ট এ আমাদের এই চলার পথ সুদৃঢ় হোক,এই আশা রাখি।
শুভেচ্ছান্তে-
সিদ্ধার্থ সাঁতরা
সভাপতি,উৎসব কমিটি।
বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়,
সম্পা,অন্য ক্যানভাস।
যুগ্ম আহ্বায়ক: মিতালী ত্রিপাঠী ও রীতা বেরা।
আশিস মিশ্র
'চোখের দৃষ্টি যতদূর যায়, ততদূর সব দেখা যায় না।' এই সহজ সত্যটি সে কিছুতেই বুঝতে চায় না। সে মানে এক বছর পঁচিশের নারী ক্যারেকটার। সে বলতে চায়, ' কেন আমি তো সব দেখতে পাচ্ছি। '
--কোথায়?
--কেন, তোমার ভেতর।
আর কোনো কথা নেই। সেই ব্রীজের তলায় যেখানে নদীর জল পা ছুঁয়ে যায়, সেখানেই দিত্য ও দিয়া এসে মাঝে মাঝে বসে। গোধূলির সূর্য দেখে। কখনো শরতের আকাশ। বছর দুই তো হবেই। এই নির্জনতা ওদের টানছে।
-- টানা আট মাস হয়ে গেল,তোমার নতুন ইজমের ছবিটা এখনো শেষ হলো না। বারো বছর ধরে শেষ করতে পারলে না একটি উপন্যাস। বলল দিয়া।
-- মনে হয় সব ইজমই শেষ হয়ে গেছে। কনসেপ্ট ক্রাইসিস। তাই কোনো কিছু আর ভাল্লাগছে না। বলল দিত্য।
অন্ধকার হয়ে এলো। আজ যেন উঠতে ইচ্ছে করছে না। 'পেয়েছি' বলে হঠাৎ দিয়ার বুকে মুখ ডুবিয়ে দিল দিত্য।
বৃদ্ধাশ্রম
শাহ্ নাজ পারভীন
ছেলে তাড়া দিচ্ছে ফোনে, মা তোমার সব গোছানো হয়েছে?
ভালো করে শোন, ওখানে কিন্তু এতো কিছু নিয়ে যাওয়া যাবেনা ওরা সাফ বলে দিয়েছে, আর আমি বুঝিনা তোমাদের এতো সেন্টিমেন্ট কেন , বাবার স্মৃতি মনে রাখলেই তো হয়, এতকিছু নেয়ার কোন মানে আছে !
আর তোমাকে তো জলে ফেলে দেয়া হচ্ছেনা, ওখানে গেলেই বুঝবে তোমার জন্য কত ভালো ব্যবস্থা করেছি আমরা কত বন্ধু পাবে জানো, আর বাড়িতে তো সারাদিন একা থাকো আমাদের কত টেনশন হয় বলোতো ! আমি গাড়ি নিয়ে কাল সকাল ১০ টার মধ্যে চলে আসবো। তোমাকে সকাল সকাল পৌঁছে দিয়েই গাড়িটা তোমার বৌমাকে ছেড়ে দিতে হবে, ওর ভাইয়ের বিয়ের শপিং টপিং কি কি যেন আছে। হ্যালো মা শুনলে তো আমার ঝামেলার কথা! ওপাশ থেকে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস, আর হাত থেকে খটাস করে টেলিফোন পড়ে যাওয়ার আওয়াজ !
দুটো গল্পই ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনগল্প নিয়ে যা শুরু হয়েছে তা কি আসলেই ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু হবে? এদিকে চট্টগ্রাম থেকে পরিচালিত একটা ফেসবুক গ্রুপ ৫০ শব্দের গল্প লেখা প্রতিযোগীতা শুরু করেছে। তাও কয়েকটি শব্দের একটা বাক্য তারা লিখে শুরু করে দিচ্ছে। এতে গতানুগতিক সবাই একটা দৃশ্যের বর্ণনা লিখে দিচ্ছেন।
উত্তরমুছুনএটা সিনেমা নয় যে, কিছু কোলাজ দিয়ে ফ্ল্যাশব্যাকে পেছনের গল্প দর্শকদের জানিয়ে দিলাম।
আসলে আমাদের গতিপথ কোথায় গিয়ে থামবে,
শূন্যে না বিন্দুতে। আপনারা আশাবাদী হতে পারেন, আমি শঙ্কিত।