হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গুচ্ছ কবিতা
পথে বেরিয়ে
পথে বেরিয়েছিলাম আর অম্নি একটা লাজুক মেঘ যেন সন্ধ্যা
নিয়ে এলো ,রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ কতকাল
আকাশ দেখেনি ...
একদিন বলছি বটে ফিরিয়ে দাও
নক্ষত্রবাগান অপারেশন সানসাইন
ধ্বংসস্তূপে ছাড় দিয়েছি বলেই মানুষ আসকারা
পায়,তাই এখন সম্পর্ক রাখায় দায়
তবু একটু খরচাপাতি এই শহরে
লুকিয়ে থাকে আবর্জনায় লুকিয়ে থাকে মৎস্যকন্যা সর্বনাশা,হঠাৎ করে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিল দু চার পাড়া
তুমিও দেখছি আমার মতোই অহংকারী
যখন তখন খুলে ফেলো সলমাজরি...
মহাভারতের যুদ্ধ
ছোট ছোট ঢেউয়ের মাথায় আলো পড়লে
নদীর চলন বোঝা যায়
ঠিক যেন জ্যোৎস্না রাতে সুন্দরী রমনীর একা একা উদাসীন হেঁটে যাওয়া
এসবের মধ্যে অসংখ্য অস্ফুট, গোপন কোনো সম্পর্ক থাকে, লাভ লোকসান ক্ষমাকেন্দ্র
হিংসা ভালবাসার বাইরে ,কিছুআশ্চর্য ব্যাপার
পরস্পরের সঙ্গে আজীবন কথা বলেও যা ধরা যায় না, যেমন আমাদের সহৃদয় বেচে থাকার
কোনো পরিণতি নেই
ভবিষ্যতে সন্তানের মুখ দেখার জন্যে
শাদা ঘোড়ার অনায়াস শহর পরিক্রমা
আমাদের যুদ্ধের কোনো আলো অন্ধকার নেই
মহাভারতের যুদ্ধ সেও তো আঠারো দিনে শেষ
দুটুকরো
১. এই পৃথিবীতে আমার প্রমাণ করার দরকার
হয় না
প্রজাতন্ত্রে গরু সোজাসুজি চড়ে যায় গাছে
দাড়ে বসে ছোলা খায় ময়না...
২. সুখের সমাজ কোথাও কোনো সমস্যা নেই
তবু খুন,ছাত্র ছাত্রীর আত্মহত্যা
এরই মাঝে বিয়ে পৈতে স্মৃতি সত্তা
অভিভাবকদের নেই কুছ পরোয়া ...
ঘুমে,স্বপ্নে
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছে লোকটা ,কেউ যেন কানে কানে বলছে শোনো
স্বপ্ন ই জীবন মানুষ তো জানেনা কখনও
শুধু ঘুমে থাকে স্বপ্নে থাকে
ঘুমে ই শুরু হয় সহজপাঠ
জল পড়ে পাতা নড়ে
বয়স বাড়ে যতো ,ততোই রঙিন
নুড়ি ও পাথর আলো ও অন্ধকার
নদী ও মোহনা শুধু ই কথা বলা তখন
জৈবিক পাপ পুণ্য অস্পষ্ট সব কথার উত্তর অজস্র স্বাদ গন্ধ বর্ণ
স্ত্রী পুত্র পরিবার আত্মীয় স্বজন আসে যায়
অবৈধ ভালবাসা জৈষ্ঠ্য গত হলে নিখুঁত আরাম
নিরবধি অঘ্রাণের শিশির
ওপারে দাঁড়িয়ে থাকে শীত
সন্ধ্যায় আকাশে ধ্রুবতারা
তার পর আলোকিত পানাহার ঘুমের মধ্যে চলে
যত না পাওয়ার আহ্বান
ঘুম যেন ভাঙে না কখনো...
লড়াই
মোবাইলে এই খেলা খেলতে খেলতে
একদিন আচানক আমার মুঠো আলগা হয়
সারা শরীরজুড়ে কম্পন শুরু হয়
একসময় চর্যাপদের ঢংএ
নীল হয়ে যায়
তবু চলতে থাকে এ লড়াই
শত্রুদের পাঠানো অশুভ শক্তি
আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না
জন্ম জন্মান্তরের এ লড়াই আমি থামাবো না
খেলা
নিসর্গ প্রতিভা দেখে ক্রমবিকাশের কথা
ভুলে যাও তুমি ,যে তুমি অগ্নিগর্ভা ঢেউ
পুষ্পসখা অগতির গতি ...
সীমাহীন কলরব মুছে গেলে
মূলাধার ভবিষ্য পীড়িত হয়
যদিও রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে
অনিকেত বাস্তবতা,দাশরথি বিভীষণ সখা
আগে পুজো ঈশ্বর আরাধনা না যুদ্ধের দামামা
কোশাকোশি ছুড়ে পরীক্ষা তোমার
পুরুষ নারীতে এসে স্থিতু হয়
নারী শিশুতে এসে শান্ত জলাশয়
শিশুরা সতত দৈব ফড়িংয়ের সাথে
খেলে,বিভাব রচনা করে অতিশয়
প্রকৃতি ও প্রেমিকের এই খেলা
তুমি খেলেছো কি কখনো ....
ঘোড়া
বারবার ফেলে দিয়েছো ,অস্ত্রগুলি খাপে খাপে
পুনরায় স্থাপন করেছি আমি
এখন আগুন ধরাতে গিয়ে দেখি
সব কাঠ ভিজে, দেশলাই হাপিস
আমাকে লক্ষ্য করে এগিয়ে আসছে ন' ভোল্ট
ব্যাটারি ,জিলেটিন স্টিক ,আর.ডি.এক্স ...
এবার খুবলে নাও চোখ
উপড়ে নাও দাঁত
হাত পা কেটে ভাসিয়ে দাও জলে
আমার পরম আয়াস মেঘদূত ছিন্ন করো
মেধা থেকে মানুষের মাঝখানে
দাঁড় করিয়ে নি:শব্দে অপমান করার চেয়ে
ঢের ভালো ট্রিগারে হাত রেখে উড়িয়ে দেওয়া
অথচ দেখো সিপাহশালার
কর্তা নয় কর্তার ঘোড়াকে দেখেই ঘোমটা টেনেছিলে একদিন....
মনপাখি
ইড়া ও পিঙ্গলার মাঝখানে
একটি পাখি বসে আছে
বৃষ্টি থেমে গেছে
ভূতের মতন একা,তার উত্থান পতন
নেশা কেটে যাওয়া এক মাতাল দেখছে
জ্যোৎস্নার আভাষ, মেঘেদের খেলা
এক নিষিদ্ধ উড়ানের ডাকটিকিট
আজ কি মহালয়া
দূর থেকে ভেসে আসে চন্ডীপাঠ
মুহূর্তের হাওয়া ছুয়ে চলে যায়
অপ্রাকৃত ধ্বনি, প্রায়ান্ধ প্রপঞ্চ বুঝি এই
ভয় পাওয়া দেবশিশুর মতো
মন পাখি ডেকে ওঠে মানুষের ভাষায়
তোমার ও বুঝি নিস্তার নেই
একা ফেলে গেছে কেউ...
পথে বেরিয়ে
পথে বেরিয়েছিলাম আর অম্নি একটা লাজুক মেঘ যেন সন্ধ্যা
নিয়ে এলো ,রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ কতকাল
আকাশ দেখেনি ...
একদিন বলছি বটে ফিরিয়ে দাও
নক্ষত্রবাগান অপারেশন সানসাইন
ধ্বংসস্তূপে ছাড় দিয়েছি বলেই মানুষ আসকারা
পায়,তাই এখন সম্পর্ক রাখায় দায়
তবু একটু খরচাপাতি এই শহরে
লুকিয়ে থাকে আবর্জনায় লুকিয়ে থাকে মৎস্যকন্যা সর্বনাশা,হঠাৎ করে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিল দু চার পাড়া
তুমিও দেখছি আমার মতোই অহংকারী
যখন তখন খুলে ফেলো সলমাজরি...
মহাভারতের যুদ্ধ
ছোট ছোট ঢেউয়ের মাথায় আলো পড়লে
নদীর চলন বোঝা যায়
ঠিক যেন জ্যোৎস্না রাতে সুন্দরী রমনীর একা একা উদাসীন হেঁটে যাওয়া
এসবের মধ্যে অসংখ্য অস্ফুট, গোপন কোনো সম্পর্ক থাকে, লাভ লোকসান ক্ষমাকেন্দ্র
হিংসা ভালবাসার বাইরে ,কিছুআশ্চর্য ব্যাপার
পরস্পরের সঙ্গে আজীবন কথা বলেও যা ধরা যায় না, যেমন আমাদের সহৃদয় বেচে থাকার
কোনো পরিণতি নেই
ভবিষ্যতে সন্তানের মুখ দেখার জন্যে
শাদা ঘোড়ার অনায়াস শহর পরিক্রমা
আমাদের যুদ্ধের কোনো আলো অন্ধকার নেই
মহাভারতের যুদ্ধ সেও তো আঠারো দিনে শেষ
দুটুকরো
১. এই পৃথিবীতে আমার প্রমাণ করার দরকার
হয় না
প্রজাতন্ত্রে গরু সোজাসুজি চড়ে যায় গাছে
দাড়ে বসে ছোলা খায় ময়না...
২. সুখের সমাজ কোথাও কোনো সমস্যা নেই
তবু খুন,ছাত্র ছাত্রীর আত্মহত্যা
এরই মাঝে বিয়ে পৈতে স্মৃতি সত্তা
অভিভাবকদের নেই কুছ পরোয়া ...
ঘুমে,স্বপ্নে
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখছে লোকটা ,কেউ যেন কানে কানে বলছে শোনো
স্বপ্ন ই জীবন মানুষ তো জানেনা কখনও
শুধু ঘুমে থাকে স্বপ্নে থাকে
ঘুমে ই শুরু হয় সহজপাঠ
জল পড়ে পাতা নড়ে
বয়স বাড়ে যতো ,ততোই রঙিন
নুড়ি ও পাথর আলো ও অন্ধকার
নদী ও মোহনা শুধু ই কথা বলা তখন
জৈবিক পাপ পুণ্য অস্পষ্ট সব কথার উত্তর অজস্র স্বাদ গন্ধ বর্ণ
স্ত্রী পুত্র পরিবার আত্মীয় স্বজন আসে যায়
অবৈধ ভালবাসা জৈষ্ঠ্য গত হলে নিখুঁত আরাম
নিরবধি অঘ্রাণের শিশির
ওপারে দাঁড়িয়ে থাকে শীত
সন্ধ্যায় আকাশে ধ্রুবতারা
তার পর আলোকিত পানাহার ঘুমের মধ্যে চলে
যত না পাওয়ার আহ্বান
ঘুম যেন ভাঙে না কখনো...
লড়াই
মোবাইলে এই খেলা খেলতে খেলতে
একদিন আচানক আমার মুঠো আলগা হয়
সারা শরীরজুড়ে কম্পন শুরু হয়
একসময় চর্যাপদের ঢংএ
নীল হয়ে যায়
তবু চলতে থাকে এ লড়াই
শত্রুদের পাঠানো অশুভ শক্তি
আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না
জন্ম জন্মান্তরের এ লড়াই আমি থামাবো না
খেলা
নিসর্গ প্রতিভা দেখে ক্রমবিকাশের কথা
ভুলে যাও তুমি ,যে তুমি অগ্নিগর্ভা ঢেউ
পুষ্পসখা অগতির গতি ...
সীমাহীন কলরব মুছে গেলে
মূলাধার ভবিষ্য পীড়িত হয়
যদিও রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে
অনিকেত বাস্তবতা,দাশরথি বিভীষণ সখা
আগে পুজো ঈশ্বর আরাধনা না যুদ্ধের দামামা
কোশাকোশি ছুড়ে পরীক্ষা তোমার
পুরুষ নারীতে এসে স্থিতু হয়
নারী শিশুতে এসে শান্ত জলাশয়
শিশুরা সতত দৈব ফড়িংয়ের সাথে
খেলে,বিভাব রচনা করে অতিশয়
প্রকৃতি ও প্রেমিকের এই খেলা
তুমি খেলেছো কি কখনো ....
ঘোড়া
বারবার ফেলে দিয়েছো ,অস্ত্রগুলি খাপে খাপে
পুনরায় স্থাপন করেছি আমি
এখন আগুন ধরাতে গিয়ে দেখি
সব কাঠ ভিজে, দেশলাই হাপিস
আমাকে লক্ষ্য করে এগিয়ে আসছে ন' ভোল্ট
ব্যাটারি ,জিলেটিন স্টিক ,আর.ডি.এক্স ...
এবার খুবলে নাও চোখ
উপড়ে নাও দাঁত
হাত পা কেটে ভাসিয়ে দাও জলে
আমার পরম আয়াস মেঘদূত ছিন্ন করো
মেধা থেকে মানুষের মাঝখানে
দাঁড় করিয়ে নি:শব্দে অপমান করার চেয়ে
ঢের ভালো ট্রিগারে হাত রেখে উড়িয়ে দেওয়া
অথচ দেখো সিপাহশালার
কর্তা নয় কর্তার ঘোড়াকে দেখেই ঘোমটা টেনেছিলে একদিন....
মনপাখি
ইড়া ও পিঙ্গলার মাঝখানে
একটি পাখি বসে আছে
বৃষ্টি থেমে গেছে
ভূতের মতন একা,তার উত্থান পতন
নেশা কেটে যাওয়া এক মাতাল দেখছে
জ্যোৎস্নার আভাষ, মেঘেদের খেলা
এক নিষিদ্ধ উড়ানের ডাকটিকিট
আজ কি মহালয়া
দূর থেকে ভেসে আসে চন্ডীপাঠ
মুহূর্তের হাওয়া ছুয়ে চলে যায়
অপ্রাকৃত ধ্বনি, প্রায়ান্ধ প্রপঞ্চ বুঝি এই
ভয় পাওয়া দেবশিশুর মতো
মন পাখি ডেকে ওঠে মানুষের ভাষায়
তোমার ও বুঝি নিস্তার নেই
একা ফেলে গেছে কেউ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন