বাড়ি ফেরা
বাড়ি ফেরার আর এক নাম বোধ হয় সমপ'ন
সমপ'ন করতে করতে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার নামও
বোধ হয় বাড়ি ফেরা।
কিন্তু যখন বাড়ি ফেরা নেই, তখন সমপ'নও নেই
তাই বাড়ি ফেরা আর বাড়ি না ফেরার মধ্যে যে ফাঁক,
সেই ফাঁক দিয়ে যে একরত্তি আলো
সেটাই একমাত্র নিজস্ব
যেখানে কেউ কখনো ঢুকতে পারবে না
অথচ সমপ'নের কোনো প্রশ্নই নেই
কেবল আলোর ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে
নিজেকে বিলিয়ে দিই আর এক আলোর দিকে..
তখন বাড়ি ফেরার কথা আর মনেই থাকে না!
অবচেতনে
অবচেতনে কত কিনা ঘটে। কখনো
গভীর জঙ্গলে ঢুকতে ঢুকতে
ঝোপঝাড় ভাঙতে ভাঙতে খুঁজে পাই পুরানো মন্দির
যেখানে সাপখোপের বাসা নিয়ে জীণ' হয়ে আছে আজও
চাতালে একা একা বসি। দূরে ডেকে ওঠে পেঁচা। ভয় পাই।
কিন্তু পরক্ষণেই ধাতস্থ হই।
ছুঁয়ে দেখি দেওয়াল আঁকড়ে থাকা পুরানো বটগাছ
যে আজও জেগে আছে বহুযুগ থেকে...
বুঝি, চেতন অবচেতনের মধ্যে কারুকাজ
যা আমাকে ছুঁতে চাইছে নিপূণ নিশানা ছুঁড়ে!
পাঠ
পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
পাঠ করতে করতে খুলে যায়
হাওয়ার অধ্যায়
যে অধ্যায়ের ওপ্রান্তে আছে
উম্মুক্ত প্রান্তর
যে প্রান্তরে খেলে যায় একা একা
অদৃশ্য মলাট
যার পৃষ্ঠা ওলটাতে ওলটাতে
পৌঁছে যাই গোধূলিবেলায়
যেখানে রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে
পেয়ে যাই অসামান্য এক রোমাঞ্চ ইতিহাস!
বাঘের মতো
বাঘের পাশে বসে আছি।
অথচ বাঘ হতে পারছি না কিছুতেই।
বাঘ অনেকক্ষণ আমাকে চাঁটছে।
বাঘের জিভের লালায় গা হাত পা ভিজে চটচটে
যেন বিশ্বসংসার একাই চেটে নিচ্ছে...
কি যেন হয়েছে আমার।
কেন আমি একবারের জন্যও বাঘকে চাঁটতে পারিনি?
কেন নিথর নিশ্চুপ হয়ে বসে আছি আমি?
বাঘকে যতটা হিংস্র ভেবেছি বাঘটা ততটাই হিংস্র কি?
যদি তাই হয়, তাহলে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খায় কেন?
তাহলে আমার কি হল?
আমি কি বাঘের মত গজে' উঠবো না কোনদিন?
খেলছি
খোলা আকাশের নিচে খেলছি।
খেলছি তেমন খেলা
যে খেলায় দুঃস্বপ্ন হোক কিংবা সুখস্বপ্ন হোক
মানুষের ঘুম ভেঙে যায়
যখন এসব খেলা খেলি
তখন নিজেকে ভাবি ভুল
কিন্তু পরক্ষণেই দেখি তা তো নয়
ভুলগুলিই শুধরে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ায়
উঁচিয়ে নিয়ে মহাদেবের ত্রিশূল!
যেকোনো বিভাগে অপ্রকাশিত লেখা পাঠান ।
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
গৌতম হাজরার কবিতাগুলো পড়ে ভালো লাগল। গৌতমের ছন্দের হাত চমৎকার। এর মধ্যে একটি ছন্দমিলের কবিতা থাকলে আমার আর একটু ভালো লাগত।
উত্তরমুছুন