লেবেল

সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০

নির্বাচিত ছড়াগুচ্ছ।। অর্ণব আশিক




ছবির মত গ্রাম 
 

বিকেল তখন গড়িয়ে গেছে
সূর্য ছড়ায় আবির
সেই আনন্দে নেচে ওঠে
ছোট্ট সোনা নামির।

সিঁদুর রঙের আভা মেখে
দিন চলে যায় ভেসে
আম বাগানের মাথার উপর
চাঁদ উঠেছে হেসে।

ঝিঁঝিঁ ডাকা পথের বাঁকে
সন্ধ্যা নামে এসে
ছবির মত গ্রামটি তাহার
উঠে তখন হেসে।



বাংলার পাখি 

মাঠের মাঝে কয়টা পাখি 
খাবার খোঁজে ধীরে
ঘাস ফড়িং আর গোবরা পোকা
নিয়ে যায় নীড়ে।

কোড়া ডাকে ধানের খেতে
টুব-টুব করে
কানাবগি খাচ্ছে কত
পোকামাকড় ধরে।

ঘুঘু খোঁজে  খাদ্যকণা
দোয়েল আছে কাছে
শালিক ধরে উড়ু ফড়িং
ডাহুক কেবল নাচে।

ফিঙ্গে বসে লেজটা নাড়ে
কাকতাড়ুয়ার মাথায়
মৌটুসি শিস দিয়ে
সব পাখিকে মাতায়।

এমন সময় ধানের খেতে
বাজ পাখি দেয় হানা
পালিয়ে গেলো সব পাখিরা
মেলে তাদের ডানা।




  বৈশাখের সুখ 

আম পড়ে ধুমধাম
বৈশাখী ঝড়ে
কাচা আম পাকা আম
খোকা নেয় ঘরে।

পাকা জাম দোলে গাছে
বৈশাখ মাসে
সিঁদুররাঙা লিচু দেখে 
জিভে রস আসে।

মধু মাসে পাকা কাঠাল
মজা রস কোষে
অমৃত স্বাধ যেন
আমে দুধে মিশে।

স্কুল ছুটি তাই আমি
যাই মামা বাড়ি
আম কাঠাল লিচু খাবো
নেই কোন আড়ি।




   ছোট্ট খোকা 


ছোট্ট খোকা ছোট্ট খোকা
কোথায় তুমি যাও
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
ছাতা সাথে নাও।

মেঘের নাচন আকাশ জুড়ে
গুড়ুম গুড়ুম ডাক
জাসনে খোকা ঘরের বাইরে
খোকার মায়ের হাঁক।

গাঁয়ের মাঝে মাঠের শেষে
বাঁশ বাগানের পাশে
জলেভরা মেঘ নেমেছে
গ্রামখানি তাই হাসে।

বৃষ্টি এলে আনন্দেতে
ভিজে খোকা, কাক
ফিরে খোকা ঘরের মাঝে
মা বলে দেয় হাঁক।



  নানা বাড়ি 


কি আনন্দ কি আনন্দ
যাবো নানা বাড়ি
নতুন জামায় বাবার সাথে
চড়ছি মোটর গাড়ি।

নানা বাড়ির চতুরপাশে
টগর ফুলের মেলা
মিষ্টি ফুলের সুবাস মাখা
দারুণ বিকেল বেলা।

সন্ধ্যা হলে খুবই মজা
নানান পাখির ডাকে
ঝিঁ ঝিঁ পোকা গান ধরে ঐ
পাতার ফাঁকে ফাঁকে।

আনন্দেতে কাটলো সময়
নানা বাড়ি এসে
সময়গুলি কাটলো তখন
নেচে গেয়ে হেসে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন