----------------
সৈকত নায়েক
----------------
চেতনা
উৎসবগুলি অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে
বিষণ্নতার পদাঘাতে জীর্ণ দুপুরও
এক এক করে মানবতায় দূরত্ব এলে
রাষ্ট্রনায়ক কি পাশবিক হয়ে উঠবে
এই আমি ভেঙে ফেলছি ধর্মের জিগীর
এই আমি তৈরী করছি স্তব্ধতার মোড়ক
মোড়ক খুললেই দেখতে পাবে
অনাহারি মানুষের কন্ঠস্বর
যেন বিপ্লবের জয়ধ্বনি উঠে আসছে
প্রতীক্ষা
আমার সন্ধেবেলা বললো--- চলো
অভিমানী বেড়া দিয়ে ঘেরা তোমার বাড়ি
স্মৃতির পাতা দিয়ে মোড়া তোমার উঠোন
উদাসীন দেওয়ালের ফাঁকে--- তুমি
সে কি তুমি!
উপেক্ষার দ্বার ঠেলে যদি উঁকি দিই
চোখে পড়বে প্রতিক্ষার ধুলো জমা স্মৃতি
কি দরকার বলো
একদিন বুড়ো হয়ে যাব
থেকে যাব নীচের তলায়
সিঁড়ি ভেঙে ওঠার জন্য
স্বার্থপরই হবো ভবিষ্যতের কাছে
আনন্দগান
হৃৎপিণ্ডের মালিকানা নিয়ে ফাগুন খেলেছি
উড়িয়েছি অনন্ত উৎসব
একটা ক্ষণ ধীরে ধীরে কবিতা হয়ে গেলে
একটা নদী তার চেয়েও ধীরে ধীরে
গান গেয়ে উঠল
নদী গান গেয়েই যায়
উৎসবকে আনন্দ দিতে দিতে
ইশারায় যদি ডেকে নিই
ভুইফোঁড় কোনো এক গন্ধে
নৌকোয় পাল তুলি যদি
আসলে কি তুমি নিয়ে যাবে
উৎসের ওই মুখ-- নদী
দিন - রাত খেলে থাকো ছন্দে
লিখছে পড়ছে কাঁদছে
আসলে কা রাত-দিন খেলো
রং আর ভালো লাগা পদ্যে
চশমার এই ফাঁক দিয়ে
গান হয় তুমি জেনে রেখো
জীবনকে হাতিয়ার করে
সুর-তাল-ছন্দেই থেকো
প্রতিশ্রুতি
উপহারের মতো হাওয়া কথা কয়
তোমার কেশরাশি আমার পংক্তিজুড়ে
উড়ছে --- উড়ে জড়িয়েছে বুকের ভিতর
কেতকী আর কৃষ্ণচূড়ার মাঝখান দিয়ে
হাঁটতে হাঁটতে ভাতকাপড়ের আলাপচারিতায়
ছিটকিনি নির্ভরতায় স্বপ্ন বুনে যাই
কলা কৌশলে আটকানো সংসারজুড়ে
হাওয়া তুমি আটকে থাকো দোহারে
নিঃশব্দে কবিতা রচনা করতে করতে
যদি কপাল থাকে
আবারও আমাদের এ-রকম দেখা হবে
অপ্রকাশিত লেখা গদ্য ও পদ্য পাঠান
অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন