সু ব্র ত মা ই তি
মগ্ন
সকালের ছদ্মবেশী রোদ
কুয়াশা স্নান সেরে মুখ তোলে
সূর্যমুখীর চোখে চোখ
ঝরে পড়া পাঁপড়ি ওড়ায়
বাতাস ডানা ভাঙা প্রজাপতির মতো
শরীর জুড়ে উষ্ণতা ঘাম
ঘুরতে থাকা বিন্দু পাতার আড়ালে
রং বদলায়, আমি মাঠে খুঁজি চাঁদফুল
অন্ধকার নামে মগ্ন করি রাত্রির গভীরতায়.
মরচে
রাত্রির তন্দ্রা পুড়িয়ে দিচ্ছে সিগারেট
দু চোখের হলদে পাতায়
প্রতিদিনের কার্য কারণ
অমানবিক চোয়াল অমাবস্যা
হিম - শাসন,
নিশাচর জীবের মতো শব্দ সন্ধান
আকাশের ললাটে জোৎস্না পরাজয়
স্মৃতির কেন্দ্র জুড়ে
মেহনতের আখ্যান নির্মাণ।
আত্মজ
বর্ষার ভরা নদী মোহনার গভীরতা খোঁজে
কিছু জল শুনে ফেলে পলির জীবাশ্ম কথা
কোনো আত্মীয়তা নয় কেবল সুখ দুঃখ
বেড়ে চলা গাছ শোনে অগ্রজ পদধ্বনি
আলো মরচে হলে অন্ধকার
ফুলের সুগন্ধ মাখে জোৎস্না ডানা
আমার কলমের বেদীমূলে খুঁজি
নিবিড় আত্মীয়তা
দেওয়ালে কান পাতলে শুনি
উই পোকার শব্দ
ঝরে পড়ে বার্ধক্য সময়!
শেকড়
স্মৃতি সুধা বড়ো প্রিয়
আকাশ-মাঠ -নদী শেখায়
স্মৃতি রোমন্থন, আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই
মায়ের স্নেহ স্পর্শে
শুয়ে আছি ক্লান্ত শরীর
হাত বুলিয়ে জল দেয় মাথায়
সম্পর্কের শেকড় আর নাড়ীর টান
আমি নিরালায় খুঁজে ফিরি জন্মান্তর...
হিমসন্ধ্যা
সন্ধ্যা রাগের সুর বাজতে
আকাশমনির মাথায় জোনাক উৎসব
পাশে আরতি মন্দির
বাইরে ঘাসের আগায় হিম সন্ধ্যা
খুশিতে মন আর ধরে না
আমার পড়শীতে উনুন ভাত
বেঁচে থাকি অনন্তকাল...
লেখা পাঠান
অভিমত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন