বাবা
দীপক বেরা
আচমকা একটা অনস্তিত্বের সংজ্ঞা রেখে
যেদিন তুমি হাওয়ায় ভেসে ভেসে চলে যাচ্ছিলে
সেদিন মধ্যাহ্ন সূর্যটা মাথার উপর
হাওয়ায় থিরথির করে কাঁপছে ধূসর একটা ছবি
মাথার ওপর থেকে একটা ছায়া সরে যাচ্ছে
অয়নান্ত রেখা পার করে...
স্পর্ধা ও প্রতিবাদের দীর্ঘপথ পরিক্রমায়
আগুনরোখা এক ঋজু মেরুদণ্ড আদর্শ রেখে
দ্রোহহীন আজ হেঁটে চলেছ ভারবাহীদের গানে
দিনগুলি আজ শরীরের উষ্ণ আলিঙ্গনে
নিশ্চিত ও নিশ্চিন্ত আগুন সন্ন্যাসে এখন।
অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব সংক্রান্ত সব কথোপকথন
শুধু স্মৃতির অন্তরীক্ষে রয়ে যাবে
স্নেহ-মমতা, আদেশ, উপদেশ ও কঠোর শাসনে
উচ্চারিত যাবতীয় শব্দের অনুরণন
গভীর শূন্যতায় নৈঃশব্দ্যের দিনলিপিতে।
তোমার নিরাপত্তার নিবিড় বৃক্ষছায়ায়
ভাঁজ করা বাতাসের নৈঃশব্দ্যে জেগে থাকবে
আমার অনুভবের এক বিষণ্ণ আলো
ডানা মেলে পূবের আকাশে চিরস্থায়ী থেকে যাবে
অস্তিত্বের দ্যোতনায় এক অমলিন সত্তা—
বাবা নামক এক আদর্শ ও শৃঙ্খলার আত্মদর্শন।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন