।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। মে সংখ্যা।।
।। শিক্ষা ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - ১১।।
সোমা চক্রবর্তী-র কবিতা
১.
স্বপ্ন
আমি স্বপ্ন দেখি তোমাকে নিয়ে। মনে হয় জীবনটা যেন অসার। তখন মনেমনে ভাবি, তুমি তো আছো কবি, প্রাণের রবি, আমাদের ঠাকুর। বসে ঐ উত্তরের বারান্দায়, আরাম কেদারায়। তোমার শ্বেত-শুভ্র কেশ-রাশি, আলখাল্লা বসন, ধ্যানমগ্ন ঋষি তুমি বসে আছো। আর আমি, তোমার পায়ের কাছে। পরম স্নেহের হাত তোমার আমার মাথায়। তুমি আমার জীবন্ত ঈশ্বর, আমার পরম-পুরুষ, পরম-ধন হে, আমার প্রাণ! তোমার লেখা আমার শ্বাস-প্রশ্বাস। তোমার সুরে আমার আনন্দ, আমার যাপন, আমার বেদনা ভোলানোর ওষুধ। ঐ সুরে জাগি, ঐ গানে বাঁচি, আমার জীবন-মরণ কবি, সব তোমার সৃষ্টি ঘিরে। কবে থেকে তোমার সাথে পরিচয়? সেই যখন খুব ছোটো, সবে অক্ষর জ্ঞান, ছোট খোকা বলে অ আ, শেখেনি সে কথা কওয়া, সেই ক্ষণ! গুরুদেব প্রাণের স্পন্দন। আমি বসি তোমার বটবৃক্ষের ছায়ায়, তোমার পদপ্রান্তে। শান্তি নামে জীবনে-'রবি'!
২..
প্রাণের রবি
কবির লেখা পড়েই খুকির একটুখানি শেখা
ফুলটা তো তাই পেয়ে গেলো প্রজাতির পাখা
সেই পাখাটাই কবির খুকি একটু নিলো ধার
কোথাও তার হারিয়ে যাওয়া নেইকো মানা আর
প্রদীপের আলো জোনাকি হয়ে খুকির আশেপাশে
খেলা করে খুকির সাথে বড়ই ভালোবাসে
মনেমনে ওড়ে খুকি যায় চলে সে দূর
জানো কবি খুকির কানে বাজে তোমার সুর
আজও আছে পুকুর ধার জিয়ল গাছের বেড়া
ঐখানেতেই তোমার সাথে খুকির ঘোরাফেরা
তোমার লেখা তোমার আঁকা তোমার গানের সুরে
তোমার খুকির কাটছে দিন সারজীবন ধরে
প্রাণের রবি সবার কবি তোমার জন্মদিনে
তোমার খুকি সাজায় তোমায় লেখারই চন্দনে
তোমার খুকি পড়ছে দেখো কোলে 'সহজ পাঠ'
প্রাণের রবি তোমার খুকি মাত্র ঊনষাট!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন