রম্য কবিতা —৭
আজব মতি
শ্রীমন্ত দাস
ও পাড়ার বিপিন জ্যাঠা
লোকটা ছিল সাদা মাটা,
নাকের ডগায় চশমা তুলে
পদ্য লেখেন গদ্য ছলে।
বুদ্ধিতে সে বৃহস্পতি
আজব রকম মতি গতি,
সহজ কথা কঠিন করে
আবেগ রাখেন ভাবের ঘরে।
সঙ্গীতে ও চর্চা বেজায়
অষ্টপ্রহর গান গেয়ে যায়,
গানের কিছু নাইরে মানে
চেঁচিয়ে মরে গানের টানে।
তবলাতে ও হাত ভালো তার
শুনলে হবে ভীষণ বেজার,
সাঁটিয়ে চাঁটি মারে হাতে
কানে তালা লাগবে তাতে।
হারমোনিয়াম? আরে রাম রাম!
শুনলে তোমার হবে বিধি বাম,
ঝরবে হাসি আরোহ তানে,
বিরহে ভুগবে অবরোহনে।
ভূতের রাজা পেলে তারে
ভরাবে ঝুলি নানান বরে,
সে ও যাবে হীরক দেশে
বাঘার চেয়ে কমতি কিসে?
আজও যাচ্ছে চালিয়ে চর্চা
লাগে না তো কোন খর্চা,
গুতো খেয়ে জ্যেঠির জ্বালায়
মাঝে মাঝে বনে পালায়।
আবার জ্যেঠির ডাকে ঘরে ফেরে
নতুন করে চর্চা করে,
আর বলে না জ্যেঠি কোনো
বলে,করো না রাগ একটু যেন!
জানি তুমি লোকটা ভালো
মনে জাগাও প্রেমের আলো,
মজাটাও ও খুব প্রয়োজন
হাসিই দেয় সুস্থ জীবন।
এসো সবাই জ্যেঠুর সাথে
ফল পেতে চাই হাতে নাতে,
বাদ্যে জোরে চাঁটি মারি
চেঁচিয়ে গাইবো রকমারি।
দারুণ বেশ ভালো
উত্তরমুছুন