প্রেমের কবিতা - ৩০
সুবীর ঘোষ
১.
মনই মনকে ডাকে
আমাদের সহজ নিঃশ্বাসের ভিতর দিয়ে অনেক অপেক্ষা কথা বলে গেছে।
গোলাপি নিবিড়তার ওজন মেপে নেওয়ার সেই সব দিন!
ভূমির স্পর্শের বিভিন্নতায় কাছে এনে দিয়েছ তোমার অমূল্য কিশোরীকণা।
নির্জন স্টেশনের মূকপ্রায় প্ল্যাটফর্ম মনে পড়ে।
বিকেলের লোকাল ট্রেনে চেপে তুমি চলে যেতে চাইতে।
আমি অন্ধকারে মুখ ঢাকার অপেক্ষায় থাকতাম।
দূরে কাছে অনেক জারুল গাছ ---পাখিদের ঘর গেরস্থালি।
পাখির বাসার প্রসঙ্গে সীমাবদ্ধ জীবনের গল্প এসে পড়ত।
ভাবনা চিন্তায় বর্ষার মেঘ জমতেই সব কোথায় উধাও!
আঙুল স্পর্শের অধিকার থেকে আরো পাপড়ি উঁকি মেলার দিন দেখা দিত ।
দুপুরের ছায়া ঘুরে গেলেই আমরা বদলে নিতাম বসবার জায়গা।
এসব টুকরো কথার সুতোর জোর ক্ষয়ে গিয়ে এখন
বিরোধ ও বিস্মৃতির প্রলেপ লেগেছে ।
মাতাল জীবনের খোঁজখবর নিতে মনই মনকে ডাকে।
২.
তোমারই বৃত্ত পর্যটনের
প্রচ্ছদময় একটি হৃদয়
শোনিতে পেয়েছে নিজের সময় ;
ভুলকে ভুলের মাত্রা ছাড়াতে
দেখেছি তোমাকে দু’হাত বাড়াতে।
কখনো এনেছ ঘরগড়া ফুল
মেঘভাঙা রোদে দ্বিধা নির্মূল ;
চক্রব্যূহেই তুমি আর আমি
কীভাবে এগোই, কোনখানে থামি!
আনো শরতের শিউলির থালা
জগৎযাপনে সুরদীপ জ্বালা;
তোমারই বৃত্ত পর্যটনের
মিলিত চর্যা দুইটি মনের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন