বসন্তকালীন লেখা
রাস্তা খুলে যাচ্ছে কুয়াশা
শীতের গা হাওয়া চেনে
নীরব হেঁটে যায় ভোর থেকে সকাল
কালের শূন্য ডাল মুকুল পেয়েছে
মর্জিনার বসন্ত
ঝরাপাতার সঙ্গে চলে যাচ্ছে মাটির দিকে
কিম্বা আগুন সুতোয়
বোনা হয়ে যাওয়া উবু হয়ে বসেছে
নুড়ি পাথর কুড়াতে
তেমনি খিদের ভিতরে অপেক্ষা জেগে ফের ঘুম তুলে নেয়
বর্ষাকালীন লেখা
১.
এখন সিঁদুর আকাশ
গাছের শরীরে ঘ্রাণ নেয়
কল্পনা মাসি তার বাসন
পুকুরের সাথে ভাব করিয়ে
কোন বাঁশবনে যে হারালো
শিশুর কান্না রাস্তায় বেজে গেলে
বেলুন না
বড়ো মা পায়
২.
নক্ষত্রবাড়ির সামনে দিয়ে
প্রীতিদি প্রতিদিন যায়
শব্দে নিঃশব্দে তার যাওয়া
চিনে নেয় টগরের ঝোপ
এই যে তুলসী মালা
গলা ধরে আছে
সেখানে শ্যাম বাজে
অন্ধকার রান্নাঘর শোনে
আর পুড়ে যায়
নক্ষত্র হবার আগে
৩.
খাঁচার পাখিও ভোর ডাকে
আহত ডানায়
লেগে থাকে বনসাইয়ের গন্ধ
ঘরের চাবি হারিয়ে গেলে
একটা চাপ
জানালার
খুঁজতে থাকে মুক্তির মসিহা
যন্ত্রণার একটি খাঁচাজন্ম
বাবা বেশ জানত
না মানুষী
মর্জিনা জল সাজে
পুকুর পাড়ে উঠে আসে মেয়ে মাছ
বিলাপের ভগ্নাংশ থেকে জোকার
রাত দিন এক অলৌকিক সূতো ঝুলে ঝুলে কথা বলে
মাকড়সার আত্মা
দূর করার জন্য জিনগুরুকে ঝাঁটায় পেয়েছে
রাতদিনের ভিতর ঘাপটি মেরে
পড়ে আছে বনপলাশীর সেই উত্তম বড়শিটি।
লেখা পাঠান
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন