।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। এপ্রিল সংখ্যা।।
।। বাঙালি ও পহেলা বৈশাখ— ২৬।।
সুবীর ঘোষ -র কবিতা
নিঃশ্বাস
সেই উন্মুক্ত স্টেশনে সেদিন
আমরা দুজনই মাত্র ট্রেন ফেল করেছিলাম
কোনো হতাশা দেখিনি বনকুলের ঝোপে
দুশ্চিন্তা ছিল না তোমার সোনালি লেডিজ ঘড়িতেও ।
অম্লানবদনে বললে- হেঁটেই চলে যাবো ।
হেঁটে হেঁটে সাঁইত্রিশ কিলোমিটার !
--- কেন, রাস্তায় কোনো না কোনো ট্রেন পেয়ে যাবো ।
--ট্রেন কী বাস যে হাত দেখালে দাঁড়াবে ?
এ সব তর্কের কোনো মীমাংসা হয়নি সে দিন ।
আমরা অন্ধকার গাছের ডালে উঠে ঘুমিয়েছিলাম সারা রাত ।
কেউ টের পায়নি । না - কেউ না --
না ডাকাত না সাপ না প্যাঁচা না বৃষ্টি ।
সেই বাহুসন্ধির খোঁজ পেতে গিয়ে
আমাকে গ্রাম থেকে শহরে আসতে হয়েছে
হাট ছেড়ে বাজারের পথ ধরতে হয়েছে
তুমি কোথায় ও কেন যে আমার হাত ছেড়ে দিলে জানি না ।
কত বাসের জানলায় আমার নিঃশ্বাসের বাষ্প লেগে আছে
আমি অনেক ঘুরেছি এই ঠিকানাবিহীন পৃথিবীতে
কেউ তোমাকে দেখেনি তা কী হয় !
কত বাসের জানলায় এসে বসেই নেমে গেছি
তোমার নিঃশ্বাসের বায়োমেট্রিক মেলেনি ।
বর্ষা এলেই
বুঝতে পারিনি বিকেলের শেষে ফর্সা আকাশ জাগবে ,
সকালের সেই কান্না-চোখ যে পাল্টাবে ভাবা যায়নি ।
আমার তো ছিল বান্ধবদের মহলা যাবার দায় ---
কিছুই হল না , শুধু একা ঘরে নগ্ন নিজের নাচ ।
বর্ষা হলেই মনের ভেতর আকাশ ভাঙার পাট ,
প্রহরে প্রহরে জর্জর করে সুখশরীরের যোগিনী ।
সেই তো একদা শিখিয়ে দিয়েছে নীললালরংবাহারে ---
বৃষ্টির জল ঘরে ডেকে এনে শয্যাপ্রচার খেলতে ।
চমৎকার তিনটি কবিতা পড়লাম।কবিকে ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন