লেবেল

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শারদ অর্ঘ্য — মা আসছে —২৪।।নিমাই জানা।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 



শারদ অর্ঘ্য 

মা আসছে —২৪



জায়মান ইশ্বর ও পৃথিবীর ধ্রুবপদ শরীর খন্ডকগুলো

নিমাই জানা



পৃথিবীর সব কর্কটক্রান্তীয় অসুখ ভুলিয়ে দিয়ে জায়মান ব্যবচ্ছেদহীন ষড়রিপু নিশ্চিহ্ন করছেন আগুনের তৃতীয় বৃহত্তম ব্রহ্মাস্ত্র ক্লোরোফিল দিয়ে ,

মহামায়ার আদিম হাতে দশম তীর্থ , বুকের মাঝে সংগীত আর ব্রহ্ম পদ্মের ভেতর চক্ষুরুন্মিলিতং সৃষ্টির জৈবিক স্বরধ্বনি
মহাকাল ডাকছেন ,  মহাকাল ভাঙছেন ,  মহাকাল জীবাশ্ম খাচ্ছেন , অনিষ্টের প্রলয় সত্বা দুই হাতে ভরে নিয়েছেন আবির্ভূত মহা জাইগোটের আনন্দধারায় , সব সত্যিই , সব কর্মই মিথ্যা
শক্ত হয়ে যাচ্ছে আমার '  র ' চিহ্নের জিভ , সারাৎসার টেনে নেওয়ার মতো কালিদহের শৈলোৎক্ষেপ নিয়ে ঈশ্বরের অভয়ারণ্যে পরমাত্মার বৃত্তীয় বলয় হয়ে ঢুকে যাচ্ছি আমরা সবাই , বিষ্ণু নেই ,  বিষ্ণুর কোন চক্র নেই , আসলে প্রতিটি চক্র সূর্যের কাছে আত্মসমর্পণ করে নিয়েছে দক্ষ যজ্ঞের লেলিহান শিখার পর

কোন কোন বীজগণিতের উপর আজও পবিত্র বানপ্রস্থ শুয়ে থাকে প্রতিদিন আমার শান্ত ও সমাহিত ঈশ্বরী কর্মযোগের শ্বেতপত্র রেখে যায় ব্রহ্ম খন্ডকের কাছে , প্রতিদিন ছেঁড়া বস্ত্রের ভেতর থেকে অযুত সাংখ্যমানের ঈশ্বরীরা উঁকি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে গলিত ফুটপাতে ,  ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকলেই নাকি মৃতজীবী ছত্রাক গুলো কেন্নোর মতো আবার দেহ পেঁচিয়ে ওঠে , সুজাতা রঙের পদ্মের হদিস কোনদিনই কেউ রাখতে পারেনি বলে প্রতিদিন একটি করে পদ্ম লুকিয়ে ফেলেন মহামায়া , পুরোহিত করোটির ভেতরে থাকা অক্ষিগোলক দিয়ে পুজো করছেন

ক্ষুধার্ত রাত আঁৎকে উঠলে কোন নিয়ন চোখের নিচে রিরিংসা গলনাঙ্ক বিহীন মিথাইল অ্যালকোহল খুঁজে নেয় একটা ফেরোশিয়াস স্ফটিক গেলাস মাত্র , ফুটো হচ্ছে তলপেট , করোটির ভিতরে জমছে থ্রম্বাস , কেড়ে নিচ্ছি গোপনাঙ্গ , এবার মা আনন্দনিকেতন কত দূরে বলতে পারবেন বোধহয়
মহাজ্ঞানী জনকের মতো আমরা কেউই নই , তিনি আঁকছেন প্রতিটি মানুষের ভেতর দরজার কক্ষপথ , এখানে প্রতিটি মানুষ নিজের ভেতর থেকে এক একটি কৈলাশ শহর নামিয়ে আনে শিব চতুর্দশীর দিন
মহাযোগ শিখছি মায়ের কাছে, কঠিন পরাবৃত্তের মুক্ত প্রাণীর মতো আমাদের শরীরে প্রলয় শিখা জেলে দিচ্ছেন আধ্যাত্ম্যিক পুরুষ
কোন অন্তর্বাসের নিজস্ব রং নেই বলে আলোকবর্ষ থেকে যোজন কক্ষে নেমে আসা এক অপার্থিব কৃষ্ণ মেতে উঠবেন সংকট নিরসনের জন্য

অনন্ত বিজয় বাজিয়ে ইছামতী ঈশ্বরী সাদা অপরাজিতার গর্ভদণ্ডগুলো স্থাপন করে যাবেন বিলীয়মান মানস সরোবরের তীরে , পুরোহিতেরা স্বরবর্ণ হয়ে উঠছেন অনঘ অর্জনের মতো।









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন