যুদ্ধ বিরোধী কবিতা -৩০
দীপক বেরা
ক্ষমতা প্রান্তিক বড়োই
মৃত্যু-কে সামনে রেখে ছুটছে যুদ্ধের ঘোড়া
সামরিক সৈনিক শপাং শপাং মারছে চাবুক
ছোটো.. ছোটো, আরো জোরে, আরো জোরে..
রণক্লান্ত ঘোড়াগুলির মুখ থুবড়ে পড়ার
ঠিক আগের মুহূর্তে,
সাময়িক 'সামরিক জলপান'-এর বিরতি,
স্নায়ুময় শনির বলয় ছুঁয়ে, স্নায়ুরা আবার
জেগে ওঠে, উজ্জীবিত হয় মারণ নেশায়!
আকন্ঠ পিপাসা এখন, — মেটাতে দাও,
—হে সেনাপতি, সারথি সময়!
অভিসন্ধির লম্বা হাতে তালুবন্দী পৃথিবী
মণিবন্ধ ভেদ করে কামানের সুদীর্ঘ নল
তাক করে আছে অমেরুদন্ডী সভ্যতার দিকে।
পৃথিবীর-ও লুকানো আছে নিজস্ব অস্ত্র কিছু—
সভ্যতা খুঁড়ে দেখ, প্রমাণ পাবে কুঠারের সতর্কতা!
সপ্তাশ্ববাহিত রথে রাজন্যবর্গ দাঁড়িয়েছে দেখ
অস্ত্রশূন্য হাতে সম্মুখ সমরে আজ মাথা নিচু!
আকাশগঙ্গায় দাঁড় বাইছে সময়,
ভরাকোটালে জোয়ারে ফুঁসছে সিন্ধুনদ...
মৃত্যুর বুকের 'পরে কান পেতে শোনো---
এগিয়ে আসছে শুশ্রূষার আদিম কনভয়,
দেখো, মহাজন্মের পাশে সৃষ্টির নটরাজ;
এই নগরসভ্যতায় ক্ষমতা, দম্ভ প্রান্তিক বড়োই!
পাঠকের আপনজন 'অঙ্কুরিশা'-কে আমার আন্তরিক ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা সতত.. 🌹❤️🙏
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর একটি কবিতা। খুব ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনআপনার মূল্যবান মন্তব্যে প্রাণিত হলাম। প্রিয় কবিবর-কে আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও অশেষ কৃতজ্ঞতা! ❤️🙏
মুছুন