অমর একুশে -৪৭
রমলা মুখার্জী
১.
অমর একুশ, আমার একুশ
অমর একুশ, আমার একুশ, একুশ সবার মান-
খুনে রাঙা দিন, স্বপ্ন রঙিন, শহীদের বলিদান।
বিশ্বসভার উদার আকাশে একুশ ধ্রুবতারা...
বাংলা পরম বাংলা ধরম, বাংলা ঝর্ণাধারা।
একুশের বান বাংলার প্রাণ, বাংলা ভাষার টান-
একুশ শোনায় বাংলা বর্ণমালায় সাজানো গান।
রফিক, আব্দুল, বরকত, সালাম, সেলাম ভাইজান-
বাংলার দুখে বুলেটের মুখে, বাংলাতে শেষ ঘ্রাণ।
ঢাকের বাদ্যি, ঈদের আজান, একুশে সবার দান-
ভেদাভেদ নাশি, মিলেমিশে হাসি, হিন্দু-মুসলমান।
প্রথম ফাগুনে একুশ পালনে একসাথে ধরি তান-
বাংলাভাষার মলিন দশা ভেঙে হোক খান খান।
কাছাড়ে আসামে বাংলার নামে দিয়েছে এগারো প্রাণ-
তাদেরও স্মরণে আনত পরাণে জানাই শত প্রণাম।
সব্বাই আসি যত বঙ্গভাষী নিই আজ এ শপথ-
বাংলাভাষার গরবে সরবে ওড়াবো জয়ের রথ।
২.
সবাই মিলে শপথ নিলে
ফাগুনের শুরু হতেই শুকনো পাতা ঝরে...
রফিক, সালাম, বরকতদের বড্ড মনে পড়ে।
বাংলা ভাষার সম্মানে সব শহীদ দিল প্রাণ...
একুশ শোনায় বীরপুত্রের রক্ত ঝরানো গান।
বাংলা ভাষা, মাতৃভাষা, মধুর মাতৃদুগ্ধ,
নকল তানে অপমানে মাতৃ- হৃদয় দগ্ধ।
ওরে হ্যাংলা শুদ্ধ বাংলা বলতে মাথা হেঁট,
বিদেশি বুলি বলার বেলায় একদম পারফেক্ট।
খিচুড়ি ছেড়ে মিষ্টি সুরে বাংলায় কথা কই,
বাঙালির মুখে ফোটে যেন সুখে বাংলা বোলের খই।
সব ভাষাকে করবো কদর তবু বাংলা আমার আদর...
বাংলার ব্যবহার হোক অফিস, কাছারি, সদর।
গরমে পরমে রবি ইসলামে বাদলে বাংলা মাদল...
শরতে-শীতে বাংলার গীতে ফোটাক হৃদয়ে শতদল।
নতুন ধান্যে শুভ নবান্নে হেমন্তিকার নৃত্য...
বাংলার বোলে অঙ্গ যে দোলে বাংলায় ভরি চিত্ত।
বাংলার বেদী শত শহীদের রক্ত-ধারায় স্নান...
সবাই মিলে শপথ নিলে বাংলা চির অম্লান।
দুটি কবিতা খুব সুন্দর লিখেছেন কবি। অনন্য সৃজন।
উত্তরমুছুনখুব মননশীল লেখা। ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনঅসাধারণ
উত্তরমুছুন