লেবেল

শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫

।। প্রতিদিন বিভাগ।। ।। জানুয়ারি সংখ্যা।। ।। দীর্ঘ কবিতা (উন্মুক্ত) -১২।। নিলাম করে দেব সব মায়া — তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।



    

       ।।  প্রতিদিন বিভাগ।। 

        ।।  জানুয়ারি সংখ্যা।। 

       ।।  দীর্ঘ কবিতা (উন্মুক্ত) -১২।।






নিলাম করে দেব সব মায়া

  তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য 


একটা গান কতখানি গান হয়ে উঠবে তা তুমিও জানো না  আমিও জানি না

শব্দ ছেঁড়া মেঘের সেতারে  আঁতকে ওঠে বিষণ্ণ
 বাদল

মন তুমি কাছে এসে চুপি চুপি বোসো 

যে পথ সোজা চলে যায় তা কখনোই  সোজা নয় 

 নদী, পাহাড় মরুভূমি নিয়ে বিতর্ক থাকে 

এক গ্লাস জল গড়িয়ে সন্ধ‍্যা ডেকে আনলো

 রাগ মারওয়া গাইছেন বড়ে গোলাম আলি 

এখন স্রোতারাও ঈশ্বর হয়ে উঠছেন 

বাজারে  পচা ফলগুলি গড়াগড়ি খাচ্ছে 

সন্তর্পণে একটি, দুটি  ইঁদুর ফল ছড়ানো রাস্তায় সাপলুডু খেলছে 

 পৃথিবীর সব উৎসবের নাম আমরা জানি না

চোখের কোণে সমুদ্রতীরের রোদ্দুরকে 
আমরা চিনি

ভালো মানুষ, মন্দ-মানুষ সব নিয়েই সকলেই  পথিক

খিদের মুখে পৃথিবীর মানচিত্র যেন বিশ্ব-পাকস্থলী।
মন নেই, অনুভব নেই বলে যে মানুষটাকে আমি দূরে ফেলে দিই, 

সে আমাকে চরম দিনে একটি সুন্দর ছাতা
 উপহার দেয়
বিনা আহ্বানে নিচু জায়গায় জল জমা হয়।

উঁচু জায়গায় নক্ষত্র আর পাখিদের আশ্রয়।

হাসি আর অশ্রুর ককটেল মেশানো ফুলগুলি  মাটিতে মিশতে চায়।

কচি মটরশুটি শাক চুবড়ি ভরে তুলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে ডুরে শাড়ি পরা চাষি বউ।

প্রতি রাতে ক্লান্ত শরীর  বিছিয়ে দেয়,  স্বামীকে
বেঁধে রাখার মন্ত্র নাকি দেহযন্ত্রে লুকানো?

এই সংসার রতি সার, চলো তুমিও টানো আমিও টানি। 

গোপনে বিড়ি ফুঁকছে তমালের ছেলে,  বেড়ে ওঠার সিঁড়ি যেন ঝমঝম রেলগাড়ি।

চোখে চোখ রাখা আরও  কাছে যাওয়ার উত্তাল হাওয়া।

শান্ত দিঘির  জল কেউ জানেনা কত অতল

খুব ভোরে ভাঙো ধান, কর্তব্যের চোখে  কে মহান?

অসাবধানী  আগুন পুষছে বিছানায় রাত 

স্বামী বলছে বউয়ের আঁচলে স্বর্গবাস 

নত হয়ে দেখি কতকাল আমি  আসিনি 
আমার কাছে।

চেঁছে পুঁছে নিয়ে  গেছে ওরা জুঁইফুলের হাট,
ভবঘুরে একা হৃদয় নিয়ে ছিপ ফেলে বসে আছে নদীর পাড়ে ।

গান দিয়ে করি সত‍্য ঢাকার সহজ অভিনয়।

একটা পাগল না স্বাভাবিক  মানুষ তা ঠিক 
জানিনা।
 চিৎকার  করে বলছে, নিলাম করে দেব সব মায়া,
একাকী গহন বনে আমি শূন্য কাঠামো নিয়ে 
 মুক্ত মনে হেঁটে যাব।

ভালো থেকো গ্রামের বৃন্দাবন, ভালো থাক বিসমিল্লার সানাই।

সংখ‍্যার ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে সময়, 

ফুল ফোটার খানিক বিরতির পর, আবার প্রজাপতির খবর।  

এখন আর আমি আগের মতো নেই,  
শান্ত নদীর জলে পানকৌড়ি ভেসে যায়।
ভ্রমণ ছাড়া আর কোথাও  হৃদয় কাব‍্য করেনা।













কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন